দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী এবং আম আদমি পার্টি (এএপি) প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়াল শুক্রবার গুজরাটের আহমেদাবাদে এক জনসমাবেশে গুজরাটে আপের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে ৪০ বছর বয়সি ইসুদান গাধভির নাম ঘোষণা করেছেন। এই ব্যাপারে কেজরিওয়াল বলেন, 'গত সপ্তাহে আমরা জনমত চেয়েছিলাম। মোট ১৬ লক্ষ ৪৮ হাজার ৫০০ জনের প্রতিক্রিয়া পেয়েছি। তার মধ্যে ৭৩ শতাংশই ইসুদানভাই গাধভির নাম সমর্থন করেছেন।'
গত সপ্তাহে মতামত চেয়েছিলেন কেজরি
গত সপ্তাহে কেজরিওয়াল জনসাধারণকে এসএমএস, হোয়াটসঅ্যাপ, ভয়েস মেল এবং ই-মেইলের মাধ্যমে আপের সঙ্গে যোগাযোগ করতে আহ্বান জানিয়েছিলেন। গুজরাটে দুটি পর্বে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া নির্বাচনে দলের মুখ্যমন্ত্রী প্রার্থী কার হওয়া উচিত, সে সম্পর্কে জনগণের কাছে মতামত জানতে চাওয়া হয়েছিল। সময় দেওয়া হয়েছিল ১ থেকে ৫ ডিসেম্বর। এই ফলাফল ঘোষণার পরে, গাধভি দলের সহকর্মী মনোজ সোরাথিয়া এবং যুবরাজ সিংহ জাদেজাকে আলিঙ্গন করেন। মঞ্চ থেকে নেমে মায়ের আশীর্বাদ নেন। এক টুইটে তিনি কেজরিওয়াল এবং গুজরাটের জনগণকেও ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন- বিজেপিতে যোগদানের জন্য টিআরএস বিধায়কদের ঘুষ দিতে এসে তেলেঙ্গানায় গ্রেফতার তিন
ইসুদান গাধবী কে?
জন্ম ১৯৮২ সালের ১০ জানুয়ারি, গুজরাটের দ্বারকা জেলার পিপলিয়া গ্রামে এক কৃষকের ঘরে। ওবিসি সম্প্রদায়ের গাধবী ২০০৫ সালে গুজরাটের আহমেদাবাদ বিদ্যাপীঠ থেকে স্নাতক হন। সেখানে সাংবাদিকতা ও মাসকমিউনিকেশন স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। তারপর সাংবাদিক হিসেবে কাজ শুরু করেন। দূরদর্শনে কাজ করেছেন। ২০০৭ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত ইটিভি গুজরাটির পোরবন্দরে ফিল্ড সাংবাদিক হিসেবেও কাজ করেন। ২০১৫ সালে, গাধভি গুজরাটি টিভি চ্যানেল ভিটিভিতে প্রাইম-টাইম শো অ্যাঙ্কর হিসেবে যোগদান করেন। মহামন্থন নামে শোয়ে গাধভি স্টুডিওয় প্যানেললিস্টদের সঙ্গে জাতীয় ও রাষ্ট্রীয় সমস্যা নিয়ে আলোচনা করেছেন। সঙ্গে 'ফোন-ইন' এবং বিতর্ক চালিয়েছেন। ভিটিভিতে, তিনি আঞ্চলিক মিডিয়ার সর্বকনিষ্ঠ চ্যানেল প্রধান ছিলেন। আপে যোগ দেওয়ার পর গত বছর চ্যানেল সম্পাদকের দায়িত্ব ছেড়ে দেন।
ইসুদান গাধভীর রাজনৈতিক কেরিয়ার
রাজনীতিতে তাঁর কেরিয়ার কেমন ছিল? প্রাক্তন সাংবাদিক অরবিন্দ কেজরিওয়ালের উপস্থিতিতে 14 জুন, ২০২১ সালে আম আদমি পার্টিতে যোগ দিয়েছিলেন। তিনি গুজরাটে আপে যোগদানকারী প্রথম প্রভাবশালী ব্যক্তিদের অন্যতম। গত ২৭ বছর ধরে গুজরাট আপের শক্তঘাঁটি। সেখানেই গত বছর আপে যোগ দেওয়ার পর গাধভি রাজনীতিতে তাঁর যাত্রা শুরু করেন। দলে অন্তর্ভুক্তির পর তাঁকে আপের জাতীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক করা হয়। গাধভি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানিয়েছেন, 'আমি জনগণের জন্য কাজ করতে চেয়েছিলাম। তাই সাংবাদিকের চাকরি ছেড়ে দিই। বিজেপি, কংগ্রেস এবং আপ- তিন দলের সঙ্গেই আমার যোগাযোগ ছিল। তারপর, একদিন অরবিন্দজি আমাকে তাঁর সঙ্গে দেখা করার আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। আমি আপে যোগ দিয়েছিলাম, যাতে মানুষের জন্য নিজের মত কাজ করতে পারি। আপে আমি যে কাজ করছি, তাতে সন্তুষ্ট। দলে কোনও বিভেদ নেই। দিল্লিতে কেজরিওয়ালের কাজ দেখে আমি মুগ্ধ।'
Read full story in English