জম্মু কাশ্মীর বিশেষ মর্যাদা হারানোর সঙ্গে সঙ্গে এবং দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিভক্ত হয়ে যাওয়ার পর তাদের পতাকারও আর স্বীকৃতি রইল না। লাল পতাকায় একটি লাঙল ও তিনটি ডোরা আর কোনও কাজে লাগবে না শুধু নয়, জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখ দুয়েরই এখন পতাকা বলতে থাকবে ত্রিবর্ণ।
জম্মু কাশ্মীর নিজস্ব সংবিধান গ্রহণ করছিল ১৯৫৬ সালে, যে সংবিধানের আওতায় থাকবে শুধু নিজেদের পতাকা। ভারতের সঙ্গে এ রাজ্যের যোগাযোগ ছিল কেবল ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ নং অনুচ্ছেদের মাধ্যমে।
আরও পড়ুন, জম্মু কাশ্মীর বিশেষ মর্যাদা হারিয়ে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত: একটি টাইমলাইন
১৯৫২ সালে জম্মু কাশ্মীর ও ভারতের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। সে চুক্তিতে সই করেন শেখ আবদুল্লা এবং জওহরলাল নেহরু। সেখানে বলা হয়, ভারতের পতাকা ছাড়াও রাজ্যের একটি নিজস্ব পতাকা থাকবে যা জাতীয় পতাকার প্রতিদ্বন্দ্বী নয়, যে পতাকা জম্মু কাশ্মীর সহ দেশের সর্বত্র ভারতের জাতীয় পতাকার সমান মর্যাদা পাবে। এ রাজ্যের স্বাধীনতার যুদ্ধের ঐতিহাসিকতাতেই রাজ্যের পতাকা এই মর্যাদা পাবে।
এ পতাকার রং লাল। ১৯৩১ সালের ১৩ জুলাই কাশ্মীর আন্দোলনের রক্তঝরা দিনটিকে মনে রেখে, যে দিনটি শহিদ দিবস হিসেবে পালিত হয়। রাজ্যের পতাকায় যে তিনটি দাগ রয়েছে তা তিনটি স্থানের প্রতিনিধি- জম্মু, কাশ্মীর ও লাদাখ। লাঙ্গল রাখা হয়েছে কৃষকের প্রতিনিধিত্বকারী হিসেবে।
৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে রাজ্যের এই রাজ্যে আর এই পতাকা ব্যবহার করা যাবে না।
Read the Full Story in English