Jammu terror attack recent time: জম্মু অঞ্চলে জঙ্গি হামলা সাম্প্রতিক সময়ে বেড়েছে। ২০২২ এবং ২০২৩ সালে নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে তিনটি করে হামলা হয়েছে। কিন্তু, এই বছর এখনও পর্যন্ত ছয়টি হামলা নথিভুক্ত হয়েছে। তার মধ্যে জম্মু ও কাশ্মীরের ডোডা জেলায় সর্বশেষ এনকাউন্টার আবারও উপত্যকার নিরাপত্তা পরিকাঠামোর ফাঁক প্রকাশ করে দিয়েছে। এর আগে বেশ কিছু বছর, উপত্যকা মোটের ওপর শান্তিতেই কাটিয়েছে। কঠোর পথে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মরিয়া কেন্দ্রীয় সরকার।
🔴 পরিসংখ্যান যা বলছে
পরিসংখ্যান বলছে ২০২১ সাল থেকেই পুঞ্চ, রাজৌরি এবং জম্মু-সহ পিরপাঞ্জাল রেঞ্জের দক্ষিণের অঞ্চলগুলোতে নিরাপত্তা বাহিনী এবং সাধারণ নাগরিকদের লক্ষ্য করে সন্ত্রাস বেড়েছে। জানুয়ারিতে, প্রাক্তন সেনাপ্রধান জেনারেল মনোজ পাণ্ডে জানিয়েছিলেন যে ২০০৩ সালের মধ্যে ওই এলাকায় সন্ত্রাসবাদ নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছিল। তার জেরেই অঞ্চলটি ২০১৭-১৮ সাল পর্যন্ত শান্তি দেখেছিল। প্রাক্তন সেনাপ্রধানের দাবি ছিল, ভারতের প্রতিপক্ষ দেশগুলো সক্রিয়ভাবে সন্ত্রাসবাদকে উৎসাহিত করছে। ওই এলাকায় ছায়াযুদ্ধ চালাচ্ছে। তার ফলে ওই অঞ্চলে সন্ত্রাসবাদ বেড়েছে।
🔴 মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে
২০২২ সালে নিরাপত্তা বাহিনীর ছয়জন সদস্য আলাদা জঙ্গি হামলায় জম্মু প্রাণ হারিয়েছিলেন। গত বছর সংখ্যাটা বেড়ে ২১ হয়েছিল। এবছর এখনই সংখ্যা ১১-য় পৌঁছে গিয়েছে। চলতি বছর এপর্যন্ত ওই অঞ্চলে পাঁচ জঙ্গি মারা গেছে। ২০২৩ সালে, এই সংখ্যা ছিল ২০। ২০২২ সালে, ওই অঞ্চলে ১৪ জঙ্গি মারা গিয়েছিল। এ বছর হামলায় ১১ জন সাধারণ নাগরিকও প্রাণ হারিয়েছেন।
আরও পড়ুন- জোমাটো সুইগি প্ল্যাটফর্ম ফি বাড়িয়েছে! কতটা প্রভাব ফেলবে গ্রাহকদের ওপর?
🔴 জঙ্গিপনা বৃদ্ধির কারণ
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস এই হিংসা বৃদ্ধির কারণ জানার জন্য প্রতিরক্ষা এবং নিরাপত্তা বাহিনীর আধিকারিক এবং জম্মু-কাশ্মীরের (J&K) পুলিশ অফিসারদের সঙ্গে কথা বলেছে। তাঁরা এই জঙ্গিপনা বৃদ্ধির কয়েকটি সম্ভাব্য কারণের কথা জানিয়েছেন। সেগুলো হল- ক) কয়েক বছর উপত্যকায় শান্তি থাকায় বাহিনীর মধ্যে আত্মতুষ্টি তৈরি হয়েছে। খ) ক্রমশ শান্তি ফেরায় বহু সৈন্যকে উপত্যকা থেকে সরানো হয়েছে। গ) কাথুয়া-সাম্বার মত জম্মুর পশ্চিমাঞ্চলে হামলাগুলো হচ্ছে। আন্তর্জাতিক সীমান্তের কাছে এই অঞ্চল দেখে সেনার ওয়েস্টার্ন রেঞ্জ। এই রেঞ্জের সঙ্গে জঙ্গিদমনের এতকাল কোনও সম্পর্ক ছিল না। ঘ) নিয়ন্ত্রণ রেখার চেয়ে আন্তর্জাতিক সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশের পথ অনেক বেশি সহজ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, হামলার নেতৃত্ব জইশ-ই-মহম্মদ এবং লস্কর-ই-তৈবার যে অভিজ্ঞ ক্যাডাররা দিচ্ছে, তারা অনুপ্রবেশের জন্য এই পথই বেছে নিচ্ছে।