Janata Dal Secular MP Prajwal Revanna: জনতা দল (ধর্মনিরপেক্ষ)-এর সাংসদ প্রজ্বল রেভান্নার বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ আসার পরই তিনি কূটনৈতিক পাসপোর্টে জার্মানিতে পালিয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২ মে) এমনটাই জানিয়েছে বিদেশ মন্ত্রক (MEA)। এই ব্যাপারে বিদেশ মন্ত্রকের দাবি, রেভান্নাকে কোনও ভিসা দেওয়া হয়নি। কিন্তু, এবার জানা যাচ্ছে যে জার্মানিতে ভ্রমণ করার জন্য রেভান্নার নাকি সেই ভিসার দরকারও নেই।
কূটনৈতিক পাসপোর্ট
সাধারণ পাসপোর্টে গাঢ় নীল কভার থাকে। প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে তা বৈধ থাকে ১০ বছরের জন্য। কূটনৈতিক পাসপোর্টের মেরুন কভার থাকে। তা পাঁচ বছর বা তার কম সময়ের জন্য বৈধ। কূটনৈতিক পাসপোর্ট যাঁদের আছে, তাঁরা আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী কিছু বিশেষ সুবিধা এবং সুরক্ষা পান। এই সুরক্ষার মধ্যে রয়েছে, তাঁকে গ্রেফতার করা যাবে না। আটক করা যাবে না। যে দেশে তিনি যাবেন, সেখানেই এমন সুবিধা পাবেন।
কারা কূটনৈতিক পাসপোর্ট পান
বিদেশমন্ত্রক সাধারণত পাঁচ শ্রেণির লোকেদের কূটনৈতিক পাসপোর্ট ('টাইপ ডি' পাসপোর্ট) দেয়। তাঁদের মধ্যে রয়েছে- কূটনৈতিক মর্যাদা-সহ সরকার-নিযুক্ত ব্যক্তিরা। যাঁরা ব্যবসায়িক সংস্থার হয়ে বিদেশ ভ্রমণ করছেন। ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রক (IFS)-এর A এবং B শাখার অধীনে কর্মরত অফিসাররা। সাধারণত যুগ্মসচিব ও তার ওপরের পদের আধিকারিকরা। বিদেশ মন্ত্রকের আধিকারিকদের আত্মীয়স্বজন এবং IFS এবং MEA-তে নিযুক্ত আধিকারিকদের ঘনিষ্ঠরা। এছাড়াও কূটনৈতিক পাসপোর্ট, সেইসব নির্বাচিত ব্যক্তিদের ইস্যু করা হয়, যাঁরা সরকারের পক্ষ থেকে কোনও কাজে ভ্রমণ করেন। এই তালিকায় পড়েন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং সাংসদরা। কারণ, তাঁরা প্রায়শই সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে বিদেশ ভ্রমণ করেন। এই পাসপোর্টগুলোর বৈধতা থাকে এমপিদের মেয়াদ অনুযায়ী। উদাহরণস্বরূপ, কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী গত মার্চে সাংসদ হিসেবে অযোগ্য ঘোষিত হওয়ার পরে তাঁর কূটনৈতিক পাসপোর্ট সমর্পণ করেছিলেন।
আরও পড়ুন- মন্দিরভূমি বাংলা! এখানকার পাঁচ মন্দির, যেখানে বছরের কোনওসময় ভিড় কমে না
কেন রেভান্নার ভিসা দরকার হয়নি?
বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বৃহস্পতিবার বলেছেন, 'ওই সাংসদ জার্মানি সফরের জন্য কোনও ভিসা চাননি। স্বভাবতই তাঁর জন্য কোনও ভিসাও অনুমোদন করা হয়নি।' জার্মানি সেই ৩৪টি দেশের মধ্যে রয়েছে, যাদের সঙ্গে ভারতের কূটনৈতিক পাসপোর্টধারীদের জন্য কার্যকরী ভিসা ছাড় চুক্তি আছে। ২০১১ সালে স্বাক্ষরিত একটি চুক্তি অনুসারে, ভারতীয় কূটনৈতিক পাসপোর্টধারীদের জার্মানিতে যাওয়ার জন্য ভিসার প্রয়োজন হয় না। তবে তাঁরা সেখানে বিনা ভিসায় তিন মাস বা ৯০ দিনের বেশি থাকতে পারবেন না। জার্মানি ছাড়াও ফ্রান্স, অস্ট্রিয়া, আফগানিস্তান, চেক প্রজাতন্ত্র, ইতালি, গ্রিস, ইরান এবং সুইজারল্যান্ডের সঙ্গেও ভারতের তেমনই চুক্তি আছে। ভারতের আরও ৯৯টি দেশের সঙ্গে চুক্তি আছে। এই চুক্তি অনুযায়ী, কূটনৈতিক পাসপোর্টধারী ছাড়াও, পরিষেবাদাতা এবং অফিসিয়াল পাসপোর্টধারীরাও ৯০ দিন পর্যন্ত অপারেশনাল ভিসা ছাড়াই সেসব দেশে থাকতে পারবেন। এই সব দেশের তালিকায় আছে- বাহরাইন, ব্রাজিল, মিশর, হংকং, ওমান, সিঙ্গাপুর এবং সংযুক্ত আরব আমিরশাহি।