Krishna Janmashtami Bank Holiday: এবারের শ্রীকৃষ্ণ জন্মাষ্টমী পড়েছে, সোমবার ২৬ অগাস্ট। সপ্তাহের কর্মদিবস শুরুর দিন। তাই ব্যাংক খোলা আছে কি না, আগে থেকেই জেনে নেওয়া জরুরি। না-হলে অযথা হয়রান হতে হবে। পাশাপাশি, কাউকে কথা দিয়ে থাকলে, আর্থিক লেনদেনের সময়ও সমস্যায় পড়তে হতে পারে।
আরবিআই নির্দেশিকা
সপ্তাহের প্রথম কাজের দিনেই উৎসব থাকায় অনেকের মনেই তাই প্রশ্ন রয়েছে, ২৬ আগস্ট ব্যাংক খোলা না বন্ধ থাকবে, সেনিয়ে। সেই জল্পনার অবসান ঘটিয়ে দিয়েছে রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া বা আরবিআই। তারা নির্দিষ্ট গাইডলাইন দিয়ে জানিয়েছে, সোমবার জন্মাষ্টমীর জন্য ব্যাংক বন্ধ থাকবে। তবে, সেটা গোটা দেশে কার্যকর নয়। যার অর্থ, দেশের একটা বড় অংশের ব্যাংককর্মীরা ছুটি পেলেও দেশের বাকি জায়গায় পরিষেবা স্বাভাবিক ভাবেই চলবে।
কোথায় থাকবে বন্ধ
ঠিক কোথায় কোথায় জন্মাষ্টমী উপলক্ষে ব্যাংক বন্ধ থাকবে, তা ইতিমধ্যেই নির্দেশিকায় স্পষ্ট করে দিয়েছে আরবিআই। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তালিকা অনুযায়ী, ২৬ অগস্ট সোমবার মোট ২০টি সার্কেলের ব্যাংককর্মীরা ছুটি পাবেন। সেই সার্কেলগুলো হল:- আহমেদাবাদ, ভোপাল, ভুবনেশ্বর, চণ্ডীগড়, চেন্নাই, দেরাদুন, গ্যাংটক, হায়দরাবাদ (যার মধ্যে রয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশ এবং তেলেঙ্গানা উভয়ই), জয়পুর, জম্মু, কানপুর, কলকাতা, লখনউ, পাটনা, রায়পুর, রাঁচি, শিলং, সিমলা এবং শ্রীনগর। তবে, এই এলাকাগুলোয় অনলাইন ব্যাংকিং বা ইউপিআই-র ক্ষেত্রে ব্যাংক বন্ধ থাকার কোনও প্রভাব পড়বে না। পাশাপাশি, এই ২০টি সার্কেলে খোলা থাকবে এটিএমও।
বাকি অংশের ব্যাংকগুলোতে পরিস্থিতি
নির্দিষ্ট ২০টি সার্কেল বাদ দিয়ে দেশের বাকি অংশে ব্যাংকগুলোর পরিষেবা স্বাভাবিক থাকবে বলেই আরবিআই জানিয়েছে। এই সার্কেলগুলি বাদ দিয়ে দেশের বাকি অংশে ব্যাংকের পরিষেবা স্বাভাবিক থাকবে বলেই জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। আসলে উৎসবের ছুটির ক্ষেত্রে রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে তারতম্য রয়েছে। এক্ষেত্রে নেগোশিয়েবল ইন্সট্রুমেন্ট (এনআই) অ্যাক্ট মেনে ছুটি পেয়ে থাকেন ব্যাংককর্মীরা। কারণ, ব্যাংক জরুরি পরিষেবার মধ্যেই পড়ে। ফলে, যে কোনও ক্ষেত্রে গোটা দেশে ব্যাংক বন্ধ থাকলে দেশের অর্থব্যবস্থা কার্যত ধসে পড়বে।
আরও পড়ুন- এবার কি তাহলে আন্দোলন প্রত্যাহারের পথে? চিকিৎসকরা যা সাফ জানিয়েছেন
বর্তমানে যা চলছে
এমাসে মোট ১৩ দিন ব্যাংক বন্ধ থাকবে বলে আগেই জানিয়েছিল রিজার্ভ ব্যাংক। সেই অনুযায়ী, ছুটি পাচ্ছেন ব্যাংককর্মীরা। তাঁরা দীর্ঘদিন ধরেই মাসের প্রতি শনিবার ব্যাংক বন্ধ রাখার দাবি তুলছেন। বর্তমানে প্রতিমাসে দ্বিতীয় এবং চতুর্থ শনিবার এবং রবিবার গোটাদেশে ব্যাংক বন্ধ থাকে। এছাড়াও জাতীয় ছুটি এবং উৎসবের দিনেও ব্যাংককর্মীরা ছুটি পান। এই পরিস্থিতিতে চলতি বছরের ডিসেম্বরে অথবা ২০২৫ সালের গোড়ার দিকে তাঁদের দাবি নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারে নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকার। এমনটাই আশা ব্যাংককর্মীদের একাংশের।