Advertisment

Explained: শতবর্ষ পরে যৌনসম্মতির বয়সসীমা বাড়াল জাপান, কী এমন দরকার পড়ল?

আগের বয়সসীমা স্থির হয়েছিল ১৯০৭ সালে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Japan has raised the age

যৌন অপরাধ সংক্রান্ত আইন সংশোধনের অঙ্গ হিসেবে, জাপান যৌন সম্মতির বয়স ১৩ থেকে বাড়িয়ে ১৬ বছর করেছে। আগের বয়সসীমা এক শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে অপরিবর্তিত ছিল। বিশ্বে সর্বনিম্ন যৌন সম্মতি যে দেশগুলোয় চালু ছিল, জাপান তার একটি। সেজন্য জাপানকে চরম সমালোচনাও সহ্য করতে হয়েছিল বাকি বিশ্বের থেকে।

Advertisment

শতবর্ষ পর

১৯০৭ সালের পর এই প্রথম জাপান তার যৌনসম্মতির বয়সসীমা পরিবর্তন করল। যৌনসম্মতির আইন ১৯০৭-এ চালু হয়েছিল। সেই থেকে চলছিল। এবার যেটা করা হল, তা রীতিমতো দৃষ্টান্তমূলক। আপস্কার্টিং বা ফটো ভিউরিজম নিষিদ্ধ করা হয়েছে। 'সম্মতিহীন যৌন অপরাধ' কোনগুলো, আটটি পরিস্থিতি উল্লেখ করে, তা নির্দিষ্টভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। নাবালকরা অপরাধ করলে, তাদের বিরুদ্ধেও শাস্তির ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

নতুন আইনে কী চালু হচ্ছে?

১৬ বছরের কম বয়সি ব্যক্তির সঙ্গে যৌন মিলনকে 'ধর্ষণ' আখ্যা দিয়ে এই সম্পর্ককে অপরাধীকরণ করা হয়েছে। তা ছাড়াও, জাপানের আইনসভা ডায়েট-এর উচ্চকক্ষ ১৬ জুন একাধিক আইন পাস করেছে। এরমধ্যে প্রথম এবং প্রধান পরিবর্তন হল 'ধর্ষণ'-এর সংজ্ঞা। পূর্বে 'ধর্ষণ'কে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছিল 'জোরপূর্বক' এবং 'হামলা বা ভয় দেখানোর মাধ্যমে' বা একজন ব্যক্তির 'অচেতন অবস্থা বা প্রতিরোধ করার অক্ষমতা'-র সুযোগ নিয়ে সংঘটিত যৌন সংসর্গ বা অশ্লীল কাজ। নতুন সংজ্ঞায় জোর করে যৌন মিলনের পরিধিকে বিস্তৃত করা হয়েছে। তাতে, 'অ-সম্মতিমূলক যৌন মিলন'কে ধর্ষণ বলা হয়েছে। যেখানে সম্মতির ধারণার ওপর বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন- সশস্ত্র বিদ্রোহের নেতৃত্বে ওয়াগনার গ্রুপ, শিল্পসংস্থার বিরুদ্ধে কেন এমন অভিযোগ রাশিয়ার?

আটটি পরিস্থিতি নির্দিষ্ট করা হয়েছে

সংশোধিত আইনটি 'সম্মতিহীন যৌন অপরাধ'-এর আটটি পরিস্থিতিও নির্দিষ্ট করে দিয়েছে। এমন আটটি পরিস্থিতি, যেখানে একজন শিকারের পক্ষে যৌন সংসর্গে 'সম্মতি না-দেওয়ার কারণ প্রকাশ করা কঠিন'। এর মধ্যে রয়েছে জোরপূর্বক যৌন সংসর্গ, অ্যালকোহল বা মাদক খাইয়ে যৌন সংসর্গ, ভয় বা ভয় দেখানো বা হামলার জেরে যৌনসংসর্গ। অর্থাৎ, এমন পরিস্থিতি যেখানে শিকার হিংসা বা হুমকির শিকার হয়েছেন। অথবা, প্রত্যাখ্যান করার পরিণতি ভেবে 'ভয় পেয়েছেন বা উদ্বিগ্ন' হয়েছেন। অথবা, তিনি 'চিন্তিত' হতে বাধ্য হয়েছেন। সুতরাং, যারা আগে শক বা ভয় পেয়ে বা অন্যান্য 'মনস্তাত্ত্বিক প্রতিক্রিয়া'র কারণে, কিংবা তাঁদের ওপর আক্রমণকারীদের অর্থনৈতিক ও সামাজিক অবস্থার কারণে প্রতিরোধ করতে পারেননি, প্রতিরোধের কথা বলতে পারেননি, তাঁরা এখন তা করতে পারেন। অথবা পারবেন।

Japan rape law Sexual harassment
Advertisment