নির্বাচন কমিশন ঘোষণা করেছে ঝাড়খণ্ড বিধানসভার ভোট হবে পাঁচ দফায়। প্রথম পর্যায়ের ভোট গ্রহণ হবে ৩০ নভেম্বর। ৮১ জন বিধায়ক নির্বাচিত করেত ভোট দেবেন ২.২৬ কোটি ভোটার। ঝাড়খণ্ড বিধানসভার মোট ৮২টি আসনের মধ্যে ১ জন মনোনীত সদস্য।
২০১৪ সালের বিধানসভা ভোটে বিজেপি জিতেছিল ৪৩টি আসনে। সম্প্রতি ৫ জন বিরোধী সদস্য তাদের দলে যোগ দেওয়ায় বিদায়ী বিধানসভায় তাদের আসনসংখ্যা ৪৮। মুখ্যমন্ত্রী রঘুবর দাস ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে দাবি করেছেন জনগণের বিজেপির উপর বিশ্বাস রয়েছে। তাঁর হিসেবে আসন্ন নির্বাচনে দল ৮১টির মধ্যে ৬৫টি আসন পাবে।
আরও পড়ুন, বিশ্লেষণ: বাংলা পক্ষ – জনপ্রিয়তা, প্রাসঙ্গিকতা ও সমালোচনা
রাজ্যে রাজনৈতিক উত্তাপ এখনও তুঙ্গে ওঠেনি, এ সময়ে একবার দেখে নেওয়া যাক বিজেপি এবং বিরোধীরা কে কোথায় দাঁড়িয়ে।
বিজেপি
মুখ্যমন্ত্রী রঘুবর দাস ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেছেন, হরিয়ানা এবং মহারাষ্ট্রে বিজেপি নির্বাচনে যে ধাক্কা খেয়েছে তার কোনও প্রভাব ঝাড়খণ্ডের ভোটে পড়বে না। "এখানকার পরিস্থিতি পুরোপুরি আলাদা। ঝাড়খণ্ডের মত ২৬ শতাংশ জনজাতির বাস মহারাষ্ট্র এবং হরিয়ানায় নেই। আমরা নিশ্চিত ভাবেই জিততে চলেছি।"
শাসক দল রঘুবর দাস সরকারের কাজ নিয়ে প্রচার চালাবে। মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেছেন, তাঁর সরকার প্রধানমন্ত্রী-কিসান, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা, এবং উজ্জ্বলার মত কেন্দ্রীয় সরকারি প্রকল্প সফলভাবে চালু করেছেন। একইসঙ্গে স্টার্ট আপেও উৎসাহ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন, সরকারের বিরুদ্ধে কেন তথ্যের অধিকার আইন ধ্বংসের অভিযোগ আনলেন সোনিয়া গান্ধী?
শাসক দলের কোয়ালিশন ছিল অল ঝাড়খণ্ড স্টুডেন্টস ইউনিয়ন (আজসু)-র হতে, কিন্তু তাদের সঙ্গে নতুন করে কোনও কথাবার্তা হয়নি। বিহারে বিজেপির সঙ্গী রামবিলাস পাসওয়ানের লোক জনশক্তি পার্টি। তারাও এরাজ্যেও বিজেপির সহযোগী হতে পারে।
বিরোধীরা
বিরোধীরাও এখনও পর্যন্ত কার্যকরী কোনও জোট গড়ে তুলতে পারেনি। ঝাড়খণ্ড প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির সভাপতি অজয় কুমারের পদত্যাগের ধাক্কা এখনও সামলে উঠতে পারেনি কংগ্রেস। এজয় কুমার তাঁর শেষ চিঠিতে দলের প্রবীণ নেতা সুবোধ কান্ত সহায় এবং প্রদীপ বালমুচুর বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করেছেন।
কংগ্রেসের বর্তমান নেতৃত্ব এখনও একযোগে কাজ করে উঠতে পারেনি। সম্প্রতি রাঁচিতে নিজের দলের নেতৃত্বের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন দলের সদস্যরা।
ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা কংগ্রেসের সঙ্গে যদি যায়ও, সেক্ষেত্রে তারা কতগুলি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে সে কথা স্পষ্ট করেনি। ঝাড়খণ্ড বিকাশ মোর্চা এবং আরজেডি-র মত দলগুলির পরিকল্পনাও এখনও অস্পষ্ট।
বিরোধীরা সরকারের অপশাসন এবং আদিবাসী বিরোধী সিদ্ধান্তের সমালোচনা করছেন। তাঁদের বর্শামুখ সরকারের ভাড়াটিয়া আইন বদলের চেষ্টা এবং আদিবাসীদের সম্মতি ছাড়া ল্যান্ড তৈরির সিদ্ধান্ত।