Advertisment

ঝাড়খণ্ডে ব্যর্থ ব্র্যান্ড মোদী

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর যতই ব্যক্তিগত জনপ্রিয়তা থাকুক না কেন, রাজ্যের ভোটে জেতার ব্যাপারে তাঁর ইমেজের সীমাবদ্ধতা ধরা পড়ছে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Jharkhand Result, Congress

একক দল হিসেবে কংগ্রেস এখনও বিজেপির বিকল্প নয়

মহারাষ্ট্র হরিয়ানা বিধানসভা ভোটে খারাপ ফলের পর ঝাড়খণ্ডেও হারের মুখে বিজেপি। ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা-কংগ্রেস-রাষ্ট্রীয় জনতা দল জোট সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে চলেছে।

Advertisment

বিজেপির ফল মোর্চার চেয়েও খারাপ। মুখ্যমন্ত্রী রঘুবর দাস জামশেদপুর পূর্ব বিধানসভা কেন্দ্রেয় নিকটবর্তী প্রার্থী বিদ্রোহী বিজেপি নেতা সরযু রায়ের কাছে হারতে চলেছেন।

এই ফল থেকে একটা ইঙ্গিত ফের মিলছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর যতই ব্যক্তিগত জনপ্রিয়তা থাকুক না কেন, রাজ্যের ভোটে জেতার ব্যাপারে তাঁর ইমেজের সীমাবদ্ধতা ধরা পড়ছে।

মহারাষ্ট্র ও হরিয়ানার মতই এখানেও বিজেপি রাম মন্দির, ৩৭০ ধারা এবং নতুন নাগরিকত্ব বিল নিয়ে প্রচারে নেমেছিল।

এর বিপরীতে কংগ্রেস ও জেএমএম স্থানীয় ইস্যুর উপর জোর দেয়। মুখ্যমন্ত্রী রঘুবর দাসের নেতৃত্বাধীন সরকার ও কোথাও কোথাও স্থানীয় বিধায়কদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ ও ক্রোধকে কাজে লাগায় তারা।

বিজেপির দলীয় সূত্র মারফৎ জানা যাচ্ছে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে রোষ সম্পর্কে দল অবহিত ছিল, কিন্তু তাদের আশা ছিল স্থায়ী সরকারের পক্ষে মানুষের আকাঙ্ক্ষা এবং অ-জনজাতি ভোটের উপর ভর করে তারা রঘুবর বিরোধী ক্ষোভ কাটিয়ে ফেলতে পারবে।

এ রাজ্যে বেশ কিছু গণপিটুনির ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু ভোটের বাজারে বিভক্তির রাজনীতির উপর সম্ভবত অতিরিক্ত ভরসা করে ফেলেছিল বিজেপি।

পুরো ঝাড়খণ্ড যদি দেখা যায়, তাহলে নরেন্দ্র মোদী সরকারের কাজে খুশিই দেখা যাবে রাজ্যের জনতাকে। কিন্তু রাজ্য সরকারের ক্ষেত্রে ব্যাপারটা সেরকম থাকেনি।

ঝাড়খণ্ডে প্যারাটিচার ও অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের আন্দোলন নিয়ে রঘুবর সরকারের ভূমিকা নিয়ে মানুষ ক্রুদ্ধ। ঝাড়খণ্ড পাবলিক সার্ভিস কমিশন ও ঝাড়খণ্ড স্টাফ সিলেকশন কমিশনে নতুন নিয়োগ না হওয়ায় তাঁরা ক্ষুব্ধ।

এ ছাড়া আজসুর ১৮ আসনের দাবি না মেনে বিজেপির একলা চলার সিদ্ধান্তও সম্ভবত ভোট কাটাকুটি করেছে। এর সঙ্গে বাবুলাল মারাণ্ডির জেভিএম (পি)-র ভোট কাটাকাটিও রয়েছে।

হরিয়ানার মতই ঝাড়খণ্ডেও মনে করা হচ্ছে মুখ্যমন্ত্রীই দলকে ডুবিয়েছেন।

ভোটের ফল কংগ্রেসের কাছেও বার্তা নিয়ে এসেছে।

তবে সোমবার সারা সকাল এবং দুপুরের পরেও বেশ কিছুটা সময় জুড়ে বিজেপি কিন্তু রাজ্যে একক সংখ্যাগরিষ্ঠ দল ছিল। পরে তারা জেএমএম-এর থেকে পিছিয়ে পড়ে। বিজেপি দেখিয়ে দিয়েছে হরিয়ানা মহারাষ্ট্রের মতই তারাই মূল রাজনৈতিক শক্তি।

জেএমএম এবং আরজেডি-র সঙ্গে কৌশলগত জোট বিজেপিকে উৎখাত করার ব্যাপারে কংগ্রেসকে সাহায্য করতে পারে, কিন্তু তা সত্ত্বেও একক দল হিসেবে তারা এখনও বিজেপির পাল্টা নয়।

দলীয় নেতা হিসেবে রাহুল গান্ধীকে ফিরিয়ে আনার কথা উঠলেও হরিয়ানা এবং ঝাড়খণ্ডে দলের ফল থেকে স্পষ্ট যে স্থানীয় ইস্যুতে স্থানীয় নেতারাই তফাৎ গড়ে দিচ্ছেন।

হরিয়ানায় তাদের নেতৃত্ব অপেক্ষাকৃত বেশি জোরদার। তবে ঝাড়খণ্ডে তারা জেএমএম-এর উপর ভরসা করে বার্তা দিতে পেরেছে যে বিরোধীরা ভরসাযোগ্য বিকল্প দিতে পারে।

jharkhand PM Narendra Modi
Advertisment