Advertisment

Malayalam film industry: চলচ্চিত্র জগতে নারীকে শোষণের ভয়ংকর ছবি! কেঁপে উঠল মালয়ালাম সিনেমার দুনিয়া

Hema Committee report: আরজি কর-এর ঘটনার মতই ভয়াবহ ছবি মালয়ালাম সিনেমা জগতেও? 'ইন্ডিয়া জোট'-এর শরিকিয়ানা উধাও। বাম সরকারের বিরুদ্ধে অপরাধীদের আড়াল করার চেষ্টার অভিযোগে তুলকালাম কংগ্রেসের।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Committee, Report says, কমিটি, রিপোর্টে বলা হয়েছে,

Committee-Report says: ভয়াবহ ছবি উঠে এসেছে তদন্ত কমিটির রিপোর্টে। (ছবি- টুইটার)

Justice Hema Committee report says: কেরল হাইকোর্ট বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) গোপনীয়তার জন্য সংশোধিত বিষয়গুলো-সহ হেমা কমিটির পুরো রিপোর্ট একটি মুখবন্ধ খামে রাজ্যকে আদালতের সামনে পেশ করার নির্দেশ দিয়েছে। এই রিপোর্টে উল্লিখিত অপরাধীদের বিরুদ্ধে আদালত ফৌজদারি প্রক্রিয়া শুরু করুক। এই দাবিতে একটি জনস্বার্থ মামলা (পিআইএল) দায়ের হওয়ার পর আদালত বৃহস্পতিবারের নির্দেশ দিয়েছে। বিচারপতি হেমা কমিটির রিপোর্ট মুখ্যমন্ত্রীর কাছে জমা দেওয়ার সাড়ে চার বছর পর সোমবার (১৯ আগস্ট) কেরল সরকার প্রকাশ করেছে। ২৩৩-পৃষ্ঠার নথিতে মালায়ালাম ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে নারীরা কীভাবে বৈষম্য এবং শোষণের সম্মুখীন হয়, তা উঠে এসেছে।

Advertisment

কী কারণে বিচারপতি হেমা কমিটি গঠন করা হয়েছিল?

২০১৭ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি, একজন প্রথমসারির মালয়ালম চলচ্চিত্র অভিনেত্রীকে অপহরণ করা হয়েছিল। তাঁর গাড়িতেই তাঁকে যৌন নির্যাতন করা হয়েছিল। আর, তা করেছিল একদল পুরুষ। একজন বিশিষ্ট অভিনেতা পরে এই মামলায় জড়িয়ে পড়ে। যা কেরলজু়ড়ে ক্ষোভের জন্ম দেয়। প্রশ্ন তোলে, মালায়ালাম চলচ্চিত্র শিল্পে কেন মহিলারা বৈষম্যমূলক আচরণের শিকার হবেন? এই ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় মহিলা অভিনেতা, প্রযোজক, পরিচালক এবং প্রযুক্তিবিদদের সমন্বয়ে গঠিত হয়েছিল, 'দ্য উইমেন ইন সিনেমা কালেক্টিভ (ডব্লিউসিসি)'। ২০১৭ সালের ১৮ মে, ডব্লিউসিসি (WCC) কেরলের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে এই ঘটনায় তদন্তের দাবি জানিয়েছিল। পাশাপাশি, রাজ্যের চলচ্চিত্র শিল্পের কাছে বৃহত্তর লিঙ্গ সমস্যাগুলো মেটানোর আবেদন করে পিটিশন জমা দিয়েছিল। সেই বছরের জুলাই মাসে, কেরল সরকার মালায়ালাম ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে যৌন হয়রানি এবং ব্যাপক লিঙ্গ বৈষম্যের অভিযোগগুলো খতিয়ে দেখতে কেরল হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি কে হেমার নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছিল। বিভিন্ন বিষয়ে চলচ্চিত্র শিল্পের একাধিক মহিলার সঙ্গে কমিটির সদস্যরা কথা বলেছিলেন। এরপরে, কমিটি ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের কাছে একটি ২৯৫-পৃষ্ঠার প্রতিবেদন জমা দিয়েছিল।

আরও পড়ুন- নেহরুর পথে হাঁটতে গিয়েও পারলেন না মোদী! রাহুলের নেতৃত্বে কংগ্রেসই আটকে দিল?

প্রতিবেদন প্রকাশে বিলম্বের কারণ কী?

হেমা কমিটির রিপোর্ট প্রকাশে বিলম্বের সমালোচনা করেছেন অনেকেই। সোমবার, কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুর বলেছেন, 'এটি অত্যন্ত লজ্জাজনক এবং মর্মান্তিক যে সরকার এই রিপোর্ট প্রায় পাঁচ বছর ধরে ফেলে রেখেছিল।' রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা তথা কংগ্রেসের ভিডি সতীসানের অভিযোগ, বাম সরকার এভাবে চলচ্চিত্র শিল্পের শক্তিশালী ব্যক্তিদের রক্ষা করেছেন। তিনি অভিযোগ করেন, 'সরকার নৃশংসতায় উৎসাহ দিয়ে কার স্বার্থ রক্ষা করতে চাইল?'

Cinema kerala sextortion Kerala high Court box office report
Advertisment