Telangana MLC was arrested in the Delhi excise policy case: ইডি হেফাজতে তেলেঙ্গানার এমএলসি কে কবিতা। ২৩ মার্চ পর্যন্ত তিনি ইডি হেফাজতে থাকবেন। গত ১৬ মার্চ, কে কবিতাকে ইডি গ্রেফতার করে। দিল্লি আবগারি নীতি মামলায় কে কবিতাকে হায়দরাবাদ থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কে কবিতা তেলেঙ্গানার বিরোধী দল ভারত রাষ্ট্র সমিতি (বিআরএস)-র নেত্রী। শুধু তাই নয়, তিনি বিআরএসের প্রধান কর্তা চন্দ্রশেখর রাওয়ের মেয়ে। দিল্লি আবগারি নীতি মামলায় কবিতা ছাড়াও ইতিমধ্যেই আম আদমি পার্টির নেতা তথা দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়াকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। জেলে আছেন আম আদমি পার্টির অপর শীর্ষ নেতা সঞ্জয় সিং। শুধু তাই নয়, খোদ দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আপ সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়ালকেও পর্যন্ত দিল্লি আবগারি নীতি মামলায় বারবার তলব করেছেন ইডি কর্তারা।
- ইতিমধ্যেই আম আদমি পার্টির নেতা তথা দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়াকেও গ্রেফতার করা হয়েছে।
- জেলে আছেন আম আদমি পার্টির অপর শীর্ষনেতা সঞ্জয় সিং।
- এই মামলার সূত্রপাত হয়েছিল দিল্লির মুখ্যসচিব নরেশ কুমারের এক চিঠি থেকে।
কী এই দিল্লি আবগারি নীতি মামলা?
এই মামলার সূত্রপাত হয়েছিল দিল্লির মুখ্যসচিব নরেশ কুমারের এক চিঠি থেকে। তিনি দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর (এলজি) বিনাই কুমার সাক্সেনাকে ২০২২ সালের জুনে একটি চিঠি দিয়েছিলেন। সেই চিঠিতে তিনি দিল্লি সরকারের এই আবগারি নীতি তৈরিতে পদ্ধতিগত ত্রুটির উল্লেখ করেছিলেন। সেই রিপোর্টে নরেশ কুমার উল্লেখ করেছিলেন যে, আবগারি মন্ত্রী থাকাকালীন সিসোদিয়া যে নীতি তৈরি করেছিলেন, তাতে দিল্লি সরকারের ৫৮০ কোটি টাকার রাজস্বের ক্ষতি হয়েছিল। রিপোর্টে দিল্লির মুখ্যসচিব অভিযোগ করেছিলেন যে, আবগারি নীতির মাধ্যমে কিছু ব্যক্তিকে সুবিধা পাইয়ে দিয়েছিলেন মণীশ সিসোদিয়া ও তাঁর লোকজন। বদলে, যাঁরা আবগারির লাইসেন্স পেয়েছিলেন, তাঁদের থেকে বিভিন্ন সুবিধা নিয়েছিলেন আম আদমি পার্টির নেতৃত্ব ও আম আদমি পার্টি।
আরও পড়ুন- ক’দিন পরেই লোকসভা ভোট, আপনার প্রয়োজনীয় বিস্তারিত বিষয়গুলো জেনে নিন এখানেই
অভিযুক্ত দক্ষিণী গ্রুপের সদস্য কারা?
দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর (এলজি) বিনাই কুমার সাক্সেনা, তাঁর রিপোর্ট সিবিআইয়ের হাতে তুলে দিয়েছিলেন। তার ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয়েছিল মণীশ সিসোদিয়াকে। সিবিআই এফআইআরে ১৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছিল। গত মার্চে ইডি আদালতকে জানিয়েছিল যে, এই অপরাধের পরিমাণ ২৯২ কোটি টাকা। এই টাকাটা স্বল্প মূল্যে পাইকারি হারে মদ বিক্রির লাইসেন্স পাওয়ার জেরে আম আদমি পার্টি ব্যবসায়ীদের থেকে ফেরত পেয়েছিল। যার মধ্যে 'সাউথ গ্রুপ' বা দক্ষিণ ভারতের ব্যবসায়ীরাই আম আদমি পার্টিকে ১০০ কোটি টাকা দিয়েছিল বলে রিপোর্টে উল্লেখ করেছে ইডি। সেই 'সাউথ গ্রুপ'-এর অংশ হিসেবেই কে কবিতাকে এবার গ্রেফতার করলেন ইডির কর্তারা। এই 'সাউথ গ্রুপ'-এর অন্যান্যরা হলেন অঙ্গোলের সাংসদ মাগুনতা শ্রীনিবাসুলু রেড্ডির ছেলে রাঘব মাগুনতা, হায়দরাবাদের অরবিন্দ ফার্মার কর্তা পি শরৎচন্দ্র রেড্ডি।