Sikh Riots-Kamalnath: কংগ্রেসের বর্ষীয়ান নেতা কমলনাথ বিজেপিতে যোগ দিতে চলেছেন। বেশ কিছুদিন ধরেই এনিয়ে জল্পনা চলছে। আজন্ম কংগ্রেসি প্রবীণ এই নেতার বয়স এখন ৭৭। তাঁর ছেলে নকুলও এখন মধ্যপ্রদেশের রাজনীতির চেনা মুখ। নকুল নাথের বয়স ৪৯। জল্পনা ছড়িয়েছে, শুধু কমল নাথই নন। তাঁর ছেলেও যোগ দিতে চলেছেন বিজেপিতে।
ভোটের আগে নিশানায় কমলনাথ
মাত্র কয়েকমাস আগেই হয়েছে মধ্যপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচন। সেই নির্বাচনে কমলনাথ ছিলেন কংগ্রেসের মুখ। নির্বাচনে বারবার তাঁকেই নিশানা করেছিল বিজেপি। কী বলেনি সেই সময়, কমলনাথের বিরুদ্ধে? তিনি ১৯৮৪ সালের শিখ-দাঙ্গায় অভিযুক্ত। সেনিয়েও ভোটারদের কম কুকথা শোনায়নি গেরুয়া শিবির। সেই কমলনাথই কি না এবার বিজেপিতে চলে যাবেন? আর বিজেপি নিয়েও নেবে? মধ্যপ্রদেশ শুধু নয়। দীর্ঘদিনের এই সাংসদের এমনভাবে দলবদল যেন ভাবতেই পারছেন না দেশবাসী।
কেন শিখদাঙ্গায় নাম জড়িয়েছে কমলনাথের?
প্রায় ৪০ বছর আগে, ১৯৮৪ সালের ৩১ অক্টোবর গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীকে। তাঁর শিখ দেহরক্ষীরাই গুলি করে হত্যা করেছিল প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে। ইন্দিরা গান্ধীর নির্দেশে অপারেশন ব্লু-স্টার বা ব্লু-স্টার অভিযান হয়েছিল। অমৃতসরের স্বর্ণমন্দিরে ওই অভিযান চালিয়েছিল সেনাবাহিনী। সেই অভিযান চলেছিল জুন মাসে। তার জেরেই অক্টোবরে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীকে হত্যা করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। এরপর তিন দিনে রাজধানী দিল্লিতে ৩,০০০ নিরীহ শিখকে হত্যা করা হয়। যা শিখ গণহত্যা নামে পরিচিত। কংগ্রেস নেতাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল, তাঁরা দাঙ্গার জন্য হামলাকারীদেরকে উসকে দিয়েছিলেন। নিরপরাধ শিখদের চিহ্নিত করতে সহায়তা করেছিলেন। শুধু তাই নয়, নিরীহ শিখদের হত্যার জন্য রাষ্ট্রযন্ত্রকেও ব্যবহার করেছিলেন। পুলিশ ও প্রশাসনকে নীরব রেখেছিলেন।
আরও পড়ুন- শেষ তারিখ ১৫ মার্চ, তারপরে আরবিআইয়ের নতুন নির্দেশিকায় বেকায়দায় পড়তে পারেন আপনিও
রাকাবগঞ্জে হিংসা
নয়াদিল্লির কেন্দ্রস্থলে ১৯৮৪ সালের ১ নভেম্বর, সংসদ ভবনের ঠিক পাশে প্রায় ৪,০০০ জন রাকাবগঞ্জে গুরুদ্বারকে ঘিরে ফেলে। কমপক্ষে পাঁচ ঘণ্টা ধরে লাগাতার হিংসাত্মক কার্যকলাপ চালায়। গুরুদ্বারে শিখদের লক্ষ্য করে পাথর ছোড়ে। পেট্রোল ভেজা ন্যাকড়া পাথরে পেঁচিয়ে গুরুদ্বারের ভিতরে ছুড়ে মারে। যার জেরে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় মৃত্যু হয় বহু শিখ নাগরিকের। এই ভয়ংকর ঘটনা তাঁদের লেখে বই, 'হোয়েন এ ট্রি শক দিল্লি (২০০৭)'-এ তুলে ধরেছেন মনোজ মিত্তা ও এইচএস ফুলকা। তাঁরা লিখেছেন, 'সব অপরাধের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ যে ঘটনাটি ঘটেছিল, তা হল- উত্তেজিত জনতা দুই নিরীহ শিখ নাগরিককে হত্যা করেছিল।' ওই দুই ব্যক্তি সম্পর্কে পিতা-পুত্র। তাঁদের গুরুদ্বারের গেটে পুড়িয়ে মেরেছিল উত্তেজিত জনতা। অভিযোগ ওঠে, পুলিশ সম্পূর্ণ নিষ্ক্রিয় ভূমিকা পালন করেছিল। অভিযোগ ওঠে, সেই সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন কমলনাথ। তিনিই হামলাকারীদের উসকে দিয়েছিলেন। পুলিশকে নিষ্ক্রিয় রেখেছিলেন।