Advertisment

Kanchanjunga kavach-system: কোথায় গেল 'কবচ' ব্যবস্থা, শুধুই প্রচার? কেন রোখা গেল না কাঞ্চনজঙ্ঘা দুর্ঘটনা!

Kavach-system: প্রশ্ন উঠছে, কবচ ব্যবস্থা কেন এই ট্রেন দুর্ঘটনা রুখতে পারল না?

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Kavach, Train Acci, কবচ, ট্রেন দুর্ঘটনা

Kavach-Train Acci: মালগাড়ি ধাক্কা দিয়েছে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের পিছনে। (ছবি- এক্সপ্রেস)

Express Train Accident: ফের আরেকটা ট্রেন দুর্ঘটনা। দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে শিয়ালদহগামী কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস। রাঙাপানি স্টেশনে ঢোকার আগে উলটোদিক থেকে ওই লাইনেই ছুটে আসে একটি মালগাড়ি। ওই মালগাড়ি ধাক্কা দেয় কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের পিছনে। আর, এরপরই প্রশ্ন উঠছে, কবচ ব্যবস্থা কেন এই ট্রেন দুর্ঘটনা রুখতে পারল না?

Advertisment

কবচ সুরক্ষা ব্যবস্থা
কবচ (KAVACH), দেশীয় সংস্থা, রিসার্চ ডিজাইন অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ডস অর্গানাইজেশন (RDSO) দ্বারা দেশীয়ভাবে তৈরি একটি স্বয়ংক্রিয় ট্রেন সুরক্ষা (ATP) ব্যবস্থা। ভারতীয় রেল, ট্রেন চলাচলে নিরাপত্তা বাড়াতে এই সুরক্ষা ব্যবস্থা চালু করেছে। তবে, সর্বত্র এখনও কবচ ব্যবস্থা চালু করা সম্ভব হয়নি। এই ব্যবস্থায় সেফটি ইন্টেগ্রিটি লেভেল-৪ (SIL-4) স্ট্যান্ডার্ড-সহ একটি অত্যাধুনিক ইলেকট্রনিক ব্যবস্থা থাকে।
যা ট্রেনগুলোকে রেড বা লালসংকেত দিয়ে বিপদ বুঝিয়ে দেয়। সিগন্যাল অতিক্রম করতে এবং সংঘর্ষে বাধা দেয়। উদ্দেশ্য থাকে সুরক্ষা প্রদান।

ট্রেনের স্বয়ংক্রিয় ব্রেকিং সিস্টেম
কবচ ব্যবস্থায় ট্রেনের ব্রেকিং সিস্টেম স্বয়ংক্রিয়ভাবে সক্রিয় হয়। চালক গতির সীমাবদ্ধতা অনুযায়ী ট্রেন নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হলেই ট্রেনের ব্রেকিং সিস্টেম স্বয়ংক্রিয়ভাবে সক্রিয় হয়ে ওঠে। শুধু তাই নয়, এই ব্যবস্থার কারণে দুটি লোকোমোটিভের মধ্যে সংঘর্ষ প্রতিরোধ হয়। পাশাপাশি, কবচ সিস্টেমটি জরুরি পরিস্থিতিতে বার্তা (SoS ) পাঠায়। এই ব্যবস্থার একটি অতিরিক্ত বৈশিষ্ট্য হল, নেটওয়ার্ক মনিটর সিস্টেমের মাধ্যমে ট্রেন চলাচলের কেন্দ্রীভূত বা সেন্ট্রালি লাইভ পর্যবেক্ষণ। রেলের বিশেষজ্ঞদের দাবি, 'কাভাচ' বা কবচ হল সস্তা, এসআইএল-৪ মানের প্রযুক্তি। এই প্রযুক্তিতে ত্রুটির সম্ভাবনা ১০ হাজারের মধ্যে মাত্র একটা।

কম দৃষ্টিশক্তিতেও সিগনাল দেখা যায়
ইতিমধ্যে ২০২২-২৩ রেলবর্ষে ২,০০০ কিলোমিটার পথে এই কবচই হয়ে উঠেছে ভারতীয় রেলের পরিচয়। ২০১২ সাল থেকে এই সুরক্ষা ব্যবস্থা তৈরির কাজ চলছে। এই ব্যবস্থায় কোনও ট্রেনচালক সিগনাল না-মানলে, কেন তিনি তা মানেননি, তা দ্রুত ধরা পড়ে। এই ব্যবস্থায়, চলন্ত ট্রেনের সামনে কোন সিগনাল দেওয়া আছে, তা চালককে ধারাবাহিকভাবে দেখাতে দেখাতে যায়। যার জেরে কম দৃষ্টিশক্তিতেও চালক সিগনাল ঠিকমতো দেখতে পান। বিশেষ করে কুয়াশা বেশি হলেও চালক সিগনাল দেখতে না-পাওয়ায় কারণে ট্রেন চলাচলে বিঘ্ন হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না।

আরও পড়ুন- বছরে একলক্ষ পর্যটক অ্যান্টার্কটিকায়, কোচির বৈঠকে তোলপাড়, মৈত্রী-২ বানাচ্ছে ভার

কবচের সমস্যা
কবচ প্রযুক্তির সমস্যা, এই প্রযুক্তি ব্যবহারের জন্য প্রতি কিলোমিটারে রেল মন্ত্রকের খরচ পড়ছে ৩০ থেকে ৫০ লক্ষ টাকা। বিশ্বের রেল সুরক্ষা ব্যবস্থার যা চার ভাগের একভাগ মাত্র। ইতিমধ্যেই দক্ষিণ-মধ্য রেল তাদের ৬৫টি ইঞ্জিন এবং ১,০৯৮ কিলোমিটার পথে কবচ প্রযুক্তি যুক্ত করেছে। দিল্লি-মুম্বই এবং দিল্লি-হাওড়া ৩,০০০ কিলোমিটার রেলপথেও এই প্রযুক্তি যুক্ত হচ্ছে। ট্রেনের গতি বাড়িয়ে যাতে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১৬০ কিলোমিটার করা সম্ভব হয়, সেজন্য নির্দিষ্ট কিছু রেলপথে কবচ প্রযুক্তি সংযোগের ওপর ভারতীয় রেল আগে জোর দিচ্ছে। ধাপে ধাপে ভারতীয় রেলের সব পথ এবং ট্রেনেই যুক্ত হবে এই রক্ষাকবচ বা সুরক্ষা ব্যবস্থা।

kanchanjunga express Rail Ministry accident Train Accident
Advertisment