Advertisment

Karnataka temple Bill: কর্ণাটকে মন্দির আইন বদলাতে বিরাট উদ্যোগ সিদ্দারামাইয়ার, প্রাণপণে ঠেকাল বিজেপি

Hindu temple Bill: বিলটি গত ১৯ ফেব্রুয়ারি বিধানসভায় উত্থাপিত হয়। এই বিল ২২ ফেব্রুয়ারি বিধানসভায় পাশ হয়। কিন্তু, দুই দিন পরে তা বিধান পরিষদে প্রত্যাখ্যাত হয়।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Siddaramaiah temple Bill, Karnataka

Siddaramaiah temple Bill-Karnataka: কংগ্রেস সরকার এই বিল হিন্দু প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য তৈরি করেছে। (ছবি: পিটিআই)

Karnataka temple Bill controversy: কর্ণাটক মন্দির বিল বিতর্ক: কর্ণাটক সরকারের হিন্দু মন্দির কর আইনে পরিবর্তনের চেষ্টা বিধান পরিষদে বাধাপ্রাপ্ত হল। কারণ, বিধান পরিষদে প্রধান বিরোধী দল ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) সংখ্যাগরিষ্ঠ। কর্ণাটক হিন্দু ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, চ্যারিটেবল এনডাউমেন্টস (সংশোধন) বিল, ২০২৪- গত ১৯ ফেব্রুয়ারি বিধানসভায় উত্থাপিত হয়। এই বিল ২২ ফেব্রুয়ারি বিধানসভায় পাশ হয়। কিন্তু, দুই দিন পরে তা বিধান পরিষদে প্রত্যাখ্যাত হয়।

Advertisment
  • গত ১৯ ফেব্রুয়ারি বিলটি বিধানসভায় উত্থাপিত হয়।
  • এই বিল ২২ ফেব্রুয়ারি বিধানসভায় পাশ হয়।
  • ২৪ ফেব্রুয়ারি বিলটি বিধান পরিষদে প্রত্যাখ্যাত হয়।

মন্দির কর আইনে কী পরিবর্তনের প্রস্তাব করা হয়েছে?

এই বিলের উদ্দেশ্য ছিল, কর্ণাটক হিন্দু ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান এবং দাতব্য এনডাউমেন্টস অ্যাক্ট, ১৯৯৭-এর একাধিক বিধান সংশোধন। নতুন বিলে বলা হয়েছে, যে মন্দির প্রতিষ্ঠানের বার্ষিক আয় ১ কোটি টাকার বেশি, তার মোট আয়ের ১০% মন্দিরের রক্ষণাবেক্ষণ খাতে ব্যয় করা হবে। বর্তমান আইনে, যেসব মন্দিরের বার্ষিক নিট আয় ১০ লক্ষ টাকার বেশি, তার ১০% মন্দিরের রক্ষণাবেক্ষণ খাতে ব্যয় করার কথা বলা হয়েছে। এছাড়াও নতুন বিল ১০ লক্ষ টাকা থেকে ১ কোটি টাকার মধ্যে উপার্জনকারী প্রতিষ্ঠানের আয়ের ৫% জনসাধারণের স্বার্থে ব্যয়ের কথা বলেছে। এতদিনকার আইনে ৫ লক্ষ থেকে ১০ লক্ষ টাকা উপার্জনকারী মন্দিরের ক্ষেত্রে ৫% জনসাধারণের স্বার্থে ব্যয়ের কথা বলা ছিল।

নতুন আইনে সরকারের লাভ

বিজেপি ২০১১ সালে কর্ণাটকে ক্ষমতায় থাকাকালীন ১৯৯৭ সালের আইন সংশোধন করেছিল। সেই রাস্তাই এবার নিতে চেয়েছিল কর্ণাটকের কংগ্রেস সরকার। সাম্প্রতিক সংশোধনীগুলো পাশ হয়ে গেলে, ১ কোটি টাকার বেশি আয়ের ৮৭টি মন্দির থেকে এবং ১০ লক্ষ টাকার বেশি আয়ের ৩১১টি মন্দির থেকে অতিরিক্ত ৬০ কোটি টাকা উপার্জন হত। এই আইনের ১৯ নম্বর ধারা অনুযায়ী ধর্মীয় অধ্যয়ন, প্রচার, মন্দির রক্ষণাবেক্ষণ এবং অন্যান্য দাতব্য কারণে সাধারণ তহবিল ব্যবহার করা যেতে পারে। কংগ্রেস সরকার চাইছিল, ৬০ কোটি টাকা ব্যবহার করে নিম্ন আয়ের মন্দিরগুলোকে সহায়তা করতে। অসুস্থ পুরোহিতদের শেষ সময়ের বিভিন্ন সুবিধা প্রদান করতে। আর, পুরোহিতদের পরিবারের শিশুদের বৃত্তি প্রদানের ব্যবস্থা করতে।

আরও পড়ুন- ব্যাসজি কা তেহখানা’য় পুজোর অনুমতি এলাহাবাদ হাইকোর্টের, কেন টিকল না মসজিদ কমিটির যুক্তি?

বিজেপি নেতাদের অভিযোগ

বিজেপি নেতারা অভিযোগ করেছেন, সিদ্দারামাইয়া সরকার মন্দিরগুলো ছিনতাইয়ের চেষ্টা করছেন। বেছে কেবলমাত্র হিন্দু মন্দিরগুলোকেই লক্ষ্যবস্তু বানানো হচ্ছে। কর্ণাটক রাজ্য বিজেপির সভাপতি বিওয়াই বিজয়েন্দ্র বলেন, 'কয়েক কোটি ভক্তের প্রশ্ন হল, সরকার কেন বেছে কেবল হিন্দু মন্দিরের আয়ের দিকেই নজর রাখছে? কেন অন্য ধর্মের আয়ের দিকে সরকারের কোনও নজর নেই?' যদিও সিদ্দারামাইয়া সরকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, এই অতিরিক্ত অর্থ হিন্দু মন্দিরগুলোর স্বার্থেই তাঁরা ব্যয় করতে চান। কিন্তু, বিজেপি সরকারের প্রতিশ্রুতিভঙ্গের আশঙ্কা করছে। তাই কর্ণাটকের কংগ্রেস সরকারের প্রস্তাব মানতে নারাজ।

karnataka CONGRESS bjp
Advertisment