কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন রবিবার (৩০ এপ্রিল) 'দ্য কেরালা স্টোরি'-এর নির্মাতাদের নিন্দা করে জানিয়েছেন যে একনজরেই ছবিটি সাম্প্রদায়িক মেরুকরণ এবং কেরলের বিরুদ্ধে মিথ্যা ঘৃণা ছড়ানোর লক্ষ্যে তৈরি বলে মনে হচ্ছে। বিজয়ন জানিয়েছেন যে 'লাভ জিহাদ' ইস্যুটি তদন্ত সংস্থা, আদালত এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক মানতে চায়নি। তারপরও এটা শুধুমাত্র, 'বিশ্বের সামনে কেরলকে অপমানিত করার' জন্য সামনে আনা হয়েছে বলেই মনে হচ্ছে।
ট্রেলার মুক্তি পেয়েছে
গত সপ্তাহে এই ছবির ট্রেলার মুক্তি পেয়েছে। ৫মে ছবিটি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাওয়ার কথা। ছবির পরিচালক সুদীপ্ত সেন। প্রযোজক বিপুল অমৃতুল শাহ। ছবিতে অভিনয় করেছেন আদা শর্মা, যোগিতা বিহানি, সোনিয়া বালানি ও সিদ্ধি ইদনানি। ট্রেলার প্রকাশের পর থেকে শুধু হয়েছে তীব্র বিতর্ক। উঠেছে প্রবল সমালোচনার ঝড়। অনেকেই দাবি করেছেন যে, এই সিনেমার গল্পটা সম্পূর্ণ বানানো। অনেকের আবার দাবি, এটি কেরলে জোর করে ধর্মান্তরিত হওয়ার অসংখ্য উপেক্ষিত গল্পের ওপর আলোকপাত করেছে।
ছবির গল্প
সিনেমাটি কেরলের একদল মহিলার ওপর তৈরি। এই মহিলাদের প্রতারণার মাধ্যমে এবং জোর করে ইসলামে ধর্মান্তরিত করা হয়। আর, তারপর জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট অফ ইরাক অ্যান্ড সিরিয়া (আইএসআইএস)-এ তারা যোগ দিতে বাধ্য হয়। ছবিতে আদা শর্মা, ফাতিমা বা-এর চরিত্রে অভিনয় করেছেন। তিনি একজন হিন্দু মালয়ালি নার্স। যিনি ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন। আর তারপরে আফগান কারাগারে জীবন শেষ হওয়ার আগে জঙ্গি সংগঠন আইএসআইএসে যোগদান করেছেন।
আরও পড়ুন- রাষ্ট্রদ্রোহ আইন নিয়ে শলা-পরামর্শ অনেকটাই এগিয়েছে, সুপ্রিম কোর্টকে জানাল কেন্দ্র
তিনি হিন্দু ও খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের '৩২ হাজার মেয়ে' এই সংখ্যাটি, ইউটিউবে ছবির ট্রেলারের বর্ণনা বাক্সে উল্লিখিত, এখন তিনটিতে পরিবর্তিত হয়েছে) একজন হিসাবে চিহ্নিত। যাঁরা কেরল থেকে নিখোঁজ হয়েছেন এবং তাঁদের ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত হওয়ার পর ইসলামিক স্টেট-এর কাজে নিয়োগ করা হয়েছে। সিনেমাটির দাবি, তা সত্য ঘটনা অবলম্বনে তৈরি। এর ক্যাপশনে সেই কারণে লেখা হয়েছে, 'গোপন রাখা সত্যের উদঘাটন।'