Advertisment

বিন লাদেনকে খুঁজে বের করা কুকুর এবার কলকাতা পুলিশে

২০১১ সালের নিউ ইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদন অনুসারে, ওসামা বিন লাদেনকে ধরতে যে কুকুর ব্যবহার করা হয়েছিল তা হয় জার্মান শেফার্ড বা বেলজিয়ান মালিনয়েস।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Kolkata Police

ছবি- উইকিমিডিয়া কমন্স

কলকাতা পুলিশ বৃহস্পতিবার ঘোষণা করেছে, ২০১১ সালে পাকিস্তানে ওসামা বিন লাদেনকে পাকড়াও করবার জন্য যে প্রজাতির কুকুরের সাহায্য নেওয়া হয়েছিল, সেই কুকুর নিজেদের কুকুর দলে অন্তর্ভুক্ত করবে।

Advertisment

সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ের প্রতিবেদন অনুসারে, বেলজিয়ান মালিনয়েস প্রজাতির কুকুর বিশেষ ডগ স্কোয়াডের অন্তর্ভুক্ত করা হবে। উদ্দেশ্য কলকাতার জঙ্গি কার্যকলাপকে রোখা। গত বছরের প্রথম দিকে মুম্বই পুলিশও এই প্রজাতির কুকুর নিজেদের ডগ স্কোয়াডে নিয়েছে।

২০১১ সালের নিউ ইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদন অনুসারে, ওসামা বিন লাদেনকে ধরতে যে কুকুর ব্যবহার করা হয়েছিল তা হয় জার্মান শেফার্ড বা বেলজিয়ান মালিনয়েস। যুদ্ধে কুকুরের উপর সামরিক নির্ভরতা যে বাড়ছে এ ঘটনা তার প্রমাণ। বোমা খোঁজার ক্ষেত্রে মানুষ বা যন্ত্রের চেয়ে কুকুরের সামর্থ্য বেশি বলে প্রমাণিত হয়েছে।

পুলিশ ও মিলিটারির কাছে কুকুর কতটা গুরুত্বপূর্ণ?

আমেরিকান ওয়ার ডগ অ্যাসোসিয়েশনের বক্তব্য, কুকুরের যে সংবেদনশীলতা রয়েছে তা একজন সৈনিকের নেই। তারা অনেক দ্রুত শত্রু চিনতে পারে।

এ কারণেই কুকুরকে কয়েক শতাব্দী ধরে সামরিক প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়ে থাকে। কুকুরেরা নাক মানুষের চেয়ে ১০ - ২০ গুণ বেশি ক্ষমতাসম্পন্ন। এর ফলে পিছু নেওয়া, বিস্ফোরক বা নেশার দ্রব্য খুঁজে বের করা এবং খোঁজা ও উদ্ধার করার কাজে এরা অনেক বেশি সফল।

ভারতে পুলিশ কুকুর

২০০৮ সালে মুম্বই হামলার পর, ফরেন পলিসিতে প্রকাশিত ওয়ার ডগস অফ ওয়ার্লড নামে এক ফোটো প্রতিবেদন প্রকাশিত হবার পর বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞ কুকুরের চাহিদা এত বাড়তে থাকে যে ভারত সে অনুরোধ ফেলতে পারেনি।
ওয়াশিংটন পোস্টের এক রিপোর্ট অ

নুসারে জঙ্গিদের টার্গেট সারা দেশ জুড়ে বাড়তে থাকায় মল, মেট্রো স্টেশন, বিলাসবহুল হোটেল এবং ভারতের নতুন শহর গুলির জনবহুল স্থানে কুকুর নিয়োগ করা হতে থাকে।

২০১৯ সালের অক্টোবর মাসে দিল্লি পুলিশ বলে, তারা নিজেদের স্কোয়াডে পাঁচটি গোল্ডেন রিট্রিভার নেবে। এ কুকুরগুলিকে হায়দরাবাদের কেনেল থেকে নিয়ে এসে মধ্য প্রদেশের এক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ৬ মাসের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।

২০১৯ সালের অক্টোবর মাসে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে এক বরিষ্ঠ পুলিশ আধিকারিক জানান, এরা যে কোনও বোমা ও আরডিএক্সের মত বিস্ফোরক খুঁজে বের করতে পারে। কখনও কখনও, অপরাধীরা চেষ্টা করে গোবর বা অন্য কিছু দিয়ে বোমার উপর ঢাকা দিতে যাতে কুকুর সেগুলি খুঁজে না পায়। কিন্তু এই নতুন কুকুরগুলিকে সে বিষয়ে ভাোমত প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।

kolkata police
Advertisment