কুলভূষণ যাদবের বয়স ৪৯। তিনি একজন অবসরপ্রাপ্ত নৌ বাহিনীর অফিসার। অভিযোগ পাকিস্তানে তিনি গ্রেফতার হন ২০১৬ সালের ৩ মার্চ। ভারতকে এ সম্পর্কে জানানো হয় ২৫ মার্চ। ২০১৭ সালের এপ্রিল মাসে তাঁকে গুপ্তচরবৃত্তি ও সন্ত্রাসবাদের দায়ে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়।
২০১৬-১৭
আন্তর্জাতিক ন্যায় আদালতে কুলভূষণ যাদব সম্পর্কে ভারত জানিয়েছে, তাঁকে ইরান থেকে অপহরণ করা হয়। ভারতীয় নৌবাহিনী থেকে অবসরের পর তিনি সেথানেই ব্যবসা করতেন। এর পর পাকিস্তান দেখায় যে তাঁকে বালোচিস্তান থেকে ২০১৬ সালের ৩ মার্চ গ্রেফতার করা হয়েছে। ভারতকে পাকিস্তান এ বিষয়ে অবগত করে ওই বছরের ২৫ মার্চ। সেদিন থেকেই ভারত দূতাবাস সুরক্ষা চেয়ে আসছে। ২০১৭ সালের ২৩ জানুয়ারি পাকিস্তান যাদবের বিরুদ্ধে তদন্তে সাহায্য চায়। ২০১৭ সালের ২১ মার্চ মাসে তদন্তে সাহায্য করলে তবেই দূতাবাস সুরক্ষা বিষয়ে বিবেচনা করা হবে।
৮ মে, ২০১৭
ভিয়েনা কনভেনশন লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে ভারত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে প্রক্রিয়া শুরু করে। ভারতের তরফ থেকে দাবি করা হয় কুলভূষণের মৃত্যুদণ্ডকে আন্তর্জাতিক আইনের বিরোধী বলে আখ্যা দিয়ে দণ্ড স্থগিত করা হোক এবং পাকিস্তানকে বলা হোক এখনই কুলভূষণকে মুক্তি দিতে। একই সঙ্গে ভারতের তরফ থেকে দাবি করা হয় আন্তর্জাতিক ন্যায় আদালতে সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত পাকিস্তান শাস্তি কার্যকর করতে পারবে না।
৯ মে, ২০১৭
আদালতের প্রেসিডেন্ট সিদ্ধান্ত মুলতুবি রেখে পাকিস্তানকে বলেন, এমনভাবে কাজ করুন যাতে আদালত যে কোনও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারে।
১৫ মে, ২০১৭
জনশুনানিতে ভারত জানায় পাকিস্তান আদালতকে তাদের অনুরোধ প্রত্যাহার করতে বলেছে।
১৮ মে, ২০১৭
আদালত পাকিস্তানকে বলেছে নিজের চূড়ান্ত মতামত না দেওয়া পর্যন্ত যাদবের বিরুদ্ধে শাস্তি প্রয়োগ না করতে।
১৩ জুন, ২০১৭
১৩ সেপ্টেম্বর এবং ১৩ ডিসেম্বর ভারতের ও পাকিস্তানের তরফ থেকে অন্তিম বক্তব্য রাখার দিন স্থির করা হয়।
১৭ জানুয়ারি, ২০১৮
১৭ এপ্রিল ও ১৭ জুলাই ভারতের জবাব ও পাকিস্তানের পাল্টা জবাবের দিন নির্ধারিত হয়।
১৮-২১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯
হেগ-এ ভারত ও পাকিস্তান দু দফায় মৌখিক সওয়াল-জবাব করে।
৪ জুলাই, ২০১৯
১৭ জুলাই বিচারপতি আব্দুলকোয়াই আহমেদ ইউসুফ আদালতের রায় ঘোষণা করার কথা।