Labour election win India-UK Free Trade Agreement: ব্রিটেনের নির্বাচনে লেবার পার্টির জয় ভারত-ব্রিটেন মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (India-UK Free Trade Agreement/FTA)-র ক্ষেত্রে বিরাট পরিবর্তন আনতে পারে। এই চুক্তির ফলে গাড়ি, জামাকাপড়, অ্যালকোহলযুক্ত পানীয় এবং চিকিৎসা যন্ত্রের মতো বিভিন্ন পণ্যের ওপর পারস্পরিক শুল্ক শিথিল হতে পারে। নয়াদিল্লি এবং লন্ডন, দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য বৃদ্ধি করতে দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে প্রস্তাবিত মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (FTA) নিয়ে আলোচনা করেছে। এবার, ব্রিটেনের নির্বাচনে লেবার পার্টির ব্যাপক জয় এফটিএ আলোচনাকে কার্যকরী রূপ দিতে পারে।
ব্রিটেন গণভোটে সায় দিয়েছিল
যেহেতু ব্রিটেন অপ্রত্যাশিতভাবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ত্যাগ করার পক্ষে গণভোটে সায় দিয়েছে, তাই সেখানে উচ্চ শুল্ক ব্যবস্থা রয়েছে। তবে, ভারতের সঙ্গে চুক্তির ক্ষেত্রে গণভোটের মত কোনও রাজনৈতিক প্রয়োজন ব্রিটেনের নেই। আর, যদি লেবার পার্টি স্বাচ্ছন্দ্যে জয়লাভ করে, তাহলে শেষ পর্যন্ত ভারতের সঙ্গে অনায়াসে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করতে পারে। ব্রেক্সিটের পর থেকে, ব্রিটেনের দ্বারা স্বাক্ষরিত বাণিজ্য চুক্তিগুলোর বেশিরভাগই ব্রিটেনের ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য থাকাকালীন চুক্তিগুলোর সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ।
লেবার পার্টি আর 'ভারত-বিরোধী' নয়
কের স্টারমার-এর অধীনে, লেবার পার্টি ইতিমধ্যেই অনেকটা পরিবর্তিত হয়েছে। পূর্বসূরি জেরেমি করবিনের নেতৃত্বাধীন দলের থেকে যা অনেকটাই আলাদা। করবিন কাশ্মীরে আন্তর্জাতিক হস্তক্ষেপের আহ্বান জানিয়েছিলেন। স্টারমার সেটা করবেন না বলেই নয়াদিল্লির বিশ্বাস। এই বিশ্বাসের কারণ, স্টারমার ব্রিটেনের ভারতীয় বংশোদ্ভূত জনসংখ্যার ক্রমবর্ধমান রাজনৈতিক প্রভাবকে স্বীকৃতি দিয়েছেন। বলেছেন, ব্রিটেনে ভারতীয়রাই বৃহত্তম বিদেশ থেকে আসা স্থানীয় বাসিন্দা।
বদল এনেছেন স্টারমার
পাশাপাশি, স্টারমার তাঁর দলের 'ভারত-বিরোধী মনোভাব' বন্ধ করারও চেষ্টা করেছেন। শুক্রবার এক অনুষ্ঠানে, লেবার পার্টির সভাপতিত্ব করা অ্যানেলিজ ডডস দাবি করেছেন যে স্টারমারের অধীনে লেবার পার্টি ভারত সম্পর্কে 'চরমপন্থী দৃষ্টিভঙ্গি' বদলাতে বদ্ধপরিকর। শুধু একথা বলাই নয়। স্টারমারের নেতৃত্বাধীন লেবার পার্টি, ভারতের সঙ্গে ব্রিটেনের এফটিএ স্বাক্ষরে টোরিদের বিলম্ব নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে।
আরও পড়ুন- সাংহাই সহযোগিতা সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক, এবার রাশিয়ার পথে মোদীও, জানাল জয়শংকরের মন্ত্রক
তবে ভিসানীতিতে দু'দলই একমত
তবে, ভিসানীতি নিয়ে টোরি আর লেবার পার্টি একমত। কারণ, দুই দলই মনে করে যে, অভিবাসন ব্রিটিশ রাজনীতির সবচেয়ে উত্তপ্ত সমস্যাগুলোর অন্যতম। সেই কারণে, টোরি এবং লেবার, উভয় পার্টিই মনে করে যে ব্রিটেনে ভিসা সীমাবদ্ধ হওয়া উচিত। যা ভারতের সঙ্গে মুক্তি বাণিজ্য চুক্তির ক্ষেত্রে অন্তরায় হতে পারে। কারণ, নয়াদিল্লি এফটিএর অধীনে তার পরিষেবা খাতের কর্মীবাহিনীর জন্য অস্থায়ী ভিসা চাইছে। এটিই এই চুক্তিতে সর্বাধিক লাভজনক বিষয়। তথ্যপ্রযুক্তি এবং আর্থিক পরিষেবা ক্ষেত্রে ব্রিটেন একটি পাওয়ার হাউস। ভারত সেই পরিষেবা থেকে উপকৃত হতে পারে। তবে ব্রিটেনের রাজনৈতিক আবহাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে, শ্রমভিসা ইস্যুতে আলোচনা উত্তপ্ত হয়ে উঠতে পারে।