Ladakh and the Sixth Schedule of the Constitution: সম্প্রতি লাদাখের প্রতিনিধিদের সঙ্গে এক বৈঠকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এই অঞ্চলে ৩৭১ ধারায় সুরক্ষা বৃদ্ধির প্রস্তাব দিয়েছেন। সম্প্রতি, মোদী সরকার বিরোধী বিক্ষোভের সাক্ষী হয়েছে লাদাখ। এই নিয়েই লে কর্তৃপক্ষ এবং কার্গিল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স (কেডিএ)-এর সঙ্গে বৈঠক করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি বৈঠকে অংশগ্রহণকারীদের আশ্বাস দিয়েছেন, তাঁদের চাকরি, জমি এবং সংস্কৃতি সম্পর্কিত উদ্বেগের সুরাহা করা হবে। তবে সরকার লাদাখকে সংবিধানের ষষ্ঠ তফসিলে অন্তর্ভুক্ত করতে পারবে না বলেও বৈঠকে শাহ জানিয়ে দিয়েছেন।
- জম্মু-কাশ্মীর থেকে বিভাজনের পর, এবিএল এবং কেডিএর মত সংগঠনগুলো লাদাখকে ষষ্ঠ তফসিলে অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানিয়েছে।
- ষষ্ঠ তফসিলে আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরা এবং মিজোরামের মত উপজাতি অধ্যুষিত রাজ্যগুলোও রয়েছে।
- এই সব রাজ্যে উপজাতি এলাকার প্রশাসন সংক্রান্ত আলাদা আইন আছে।
সংবিধানের ষষ্ঠ তফসিল
২০১৯ সালের আগস্টে সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিল হওয়ার পরে এবং পরবর্তীতে জম্মু ও কাশ্মীর পুনর্গঠন আইন, ২০১৯ কার্যকর হওয়ার পরে, লাদাখকে বিধানসভাহীন একটি পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। নয়াদিল্লি এবং পন্ডিচেরির মত কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলোর নিজস্ব বিধানসভা থাকলেও লাদাখকে তা দেওয়া হয়নি। জম্মু-কাশ্মীর থেকে বিভাজনের পর, এবিএল এবং কেডিএর মত সংগঠনগুলো লাদাখকে ষষ্ঠ তফসিলে অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানিয়েছে। এই তফসিলে আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরা এবং মিজোরামের মত উপজাতি অধ্যুষিত রাজ্যগুলোও রয়েছে। এই সব রাজ্যে উপজাতি এলাকার প্রশাসন সংক্রান্ত আলাদা আইন আছে।
স্বায়ত্তশাসনের সুবিধা
ষষ্ঠ তফসিলের অধীনে অন্তর্ভুক্ত করা হলে আইন, লাদাখকে স্বায়ত্তশাসিত জেলা এবং আঞ্চলিক পরিষদ (ADCs এবং ARCs) তৈরি করার অনুমতি দেবে। উপজাতীয় অঞ্চলগুলো পরিচালনা করার ক্ষমতা দেবে। নির্বাচিত সংস্থা তৈরির ক্ষমতা প্রদান করবে। এতে বন ব্যবস্থাপনা, কৃষি, গ্রাম ও শহরের প্রশাসন, উত্তরাধিকার, বিবাহ, বিবাহবিচ্ছেদ এবং সামাজিক রীতিনীতির মতো বিষয়গুলোর ওপর স্থানীয়স্তরে আইন প্রণয়নের ক্ষমতা থাকবে স্থানীয় প্রশাসনের। লাদাখের জনসংখ্যার অধিকাংশই তফসিলি উপজাতিভুক্ত।
আরও পড়ুন- ক্রেডিট কার্ড নিয়ে বিরাট নির্দেশ রিজার্ভ ব্যাংকের! এবার কী করবেন গ্রাহকরা?
তফসিলভুক্তির সুবিধা
এডিসি এবং এআরসিও তফসিলি উপজাতি পক্ষের মধ্যে বিরোধ মেটাতে গ্রাম পরিষদ বা আদালত গঠন করতে পারে। তাদের প্রণীত আইনগুলোর অধীনে প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে অফিসার নিয়োগ করতে পারে। যেসব ক্ষেত্রে অপরাধের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড বা পাঁচ বছরের বেশি কারাদণ্ড, রাজ্যের গভর্নর এডিসি এবং এআরসিকে দেশের ফৌজদারি এবং দেওয়ানি আইনের অধীনে বিচার করার ক্ষমতা প্রদান করতে পারে। তফসিলভুক্ত হলে এআরসি এবং এডিসি ভূমি রাজস্ব সংগ্রহ করতে পারবে। কর আরোপ করতে পারবে। অর্থ ঋণ নিতে পারবে। অর্থ লেনদেন করতে পারবে। অর্থ নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে। এলাকায় খনিজ উত্তোলনের জন্য লাইসেন্স বা ইজারা থেকে রয়্যালটি সংগ্রহ করতে পারবে। স্কুল, বাজার এবং রাস্তার মত সরকারি প্রতিষ্ঠান তৈরির ক্ষমতা পাবে লাদাখ প্রশাসন। আর এই সব কারণেই চিন ও পাকিস্তানের সীমান্ত অঞ্চল লাদাখকে তফসিলভুক্ত করতে নারাজ প্রশাসন।