Lalkrishna Advani Interview: ২০০৯ সালে লোকসভা নির্বাচনের পর সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছিলেন এলকে আদবানি। তিনি এখন আর বিজেপির নেতা নন। শেষ ছিলেন বিজেপির মার্গদর্শক মণ্ডলীর নেতা। কিন্তু, তার অনেক আগে, ২০১০ সালেই আদবানি তাঁর রথযাত্রার পরিণতি সম্পর্কে বীতশ্রদ্ধ হয়ে পড়েছিলেন। সেবছর ছিল, আদবানির সোমনাথ-অযোধ্য রথযাত্রার ২০তম বার্ষিকী। সেবছরই আদবানি বলেছিলেন, তাঁর রথযাত্রার এমন পরিণতি হবে জানলে, কিছুতেই রথযাত্রা করতেন না। তবে, সংঘের সঙ্গে আদবানির বিবাদ বেধেছিল জিন্নাহর প্রশংসা করা নিয়ে। সেই ব্যাপারেও ২০১০ সালে তাঁর সাক্ষাৎকারে অটল থেকেছেন আদবানি। তাঁর ধারণা, গেরুয়া শিবির জিন্নাহর বিবৃতিতে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বিজেপি সুযোগ হাতছাড়া করেছে। আদবানির এই সাক্ষাৎকার নেন বন্দিতা মিশ্র ও সৌভিক চক্রবর্তী। তার মধ্যে বন্দিতা মিশ্রের নাম শুনেই তিনি চিনতে পেরেছিলেন। আদবানি বলেছিলেন, 'যিনি রাহুল গান্ধীর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন, তিনি?'
- এই সাক্ষাৎকার ২০১০ সালের।
- সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বন্দিতা মিশ্র।
- খোলাখুলি কথা বলেছেন বিজেপির লৌহপুরুষ।
প্রশ্ন- আপনি ভারতীয় রাজনীতিতে রথযাত্রার সূচনা করেছেন। আপনি অন্তত তিনটি বড় যাত্রা করেছেন- অযোধ্যা যাত্রা, স্বর্ণজয়ন্তী রথযাত্রা এবং ভারত উদয় যাত্রা।
আদবানি- এর মধ্যে সোমনাথ থেকে অযোধ্যা পর্যন্ত প্রথম রথযাত্রা হয়েছিল। যা সমস্তিপুরে গ্রেফতার হওয়ার পর শেষ হয়। গ্রেফতার হলেও জনগণ, যাঁরা আমাকে বুঝতে চেয়েছিলেন, বুঝতে পেরেছিলেন। আর, সেই কারণেই একজন রাজনৈতিক ব্যক্তির কাছে মিছিল বা যাত্রার চেয়ে কার্যকর আর কিছুই নেই। কারণ একটি জনসভায় যাঁরা আসেন, তাঁদের বেশিরভাগই হয় ইতিমধ্যে আপনার দৃষ্টিভঙ্গির প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। অথবা, তাঁরা কৌতূহল থেকে এসেছেন। কিন্তু, একটি যাত্রায়, আপনি বিভিন্ন ধরনের মানুষের কাছে পৌঁছনোর সুযোগ পাচ্ছেন।
আরও পড়ুন- এবার তামিল রাজনীতিতে সিনে দুনিয়ার আরেক সুপারস্টার, বিজয়ের ক্ষমতা দখলের সম্ভাবনা কতটা?
প্রশ্ন- আপনি যখন ১৯৯০ সালে প্রথম রথযাত্রা করেন, তখন রাজনীতি উত্তেজনাপূর্ণ ছিল। সেই সময় আপনি ঐক্যমত্যের বিরুদ্ধে একটি চ্যালেঞ্জের প্রতিনিধিত্ব করেছেন।
উত্তর- সেই যাত্রা হয়তো কাউকে মুগ্ধ করেছে। আমাকে নির্বাচনে জিতিয়েছে। কিন্তু, আমার প্রতিপক্ষকে আরও ক্ষুব্ধ করেছে। যাকে আমি আমার প্রধান শিক্ষা হিসেবে মনে করি। আমি সরাসরি রাজনীতিতে আসিনি। আমি ১৪ বছর বয়সে আরএসএস-এ যোগদান করি। আমার প্রাথমিক তাগিদ ছিল এমন একটি সংগঠনের অংশ হওয়া যা চরিত্র এবং শৃঙ্খলা তৈরি করে। যা, দেশকে স্বাধীন করার উদ্দেশ্যে যুবকদের মধ্যে দেশপ্রেম জাগ্রত করে। আরএসএস আমার কাছে কোনও ধর্মীয় সংগঠন ছিল না। আমি ভাবিনি যে আমি কোনও ধর্মীয় সংগঠনে যোগ দিচ্ছি। কিন্তু, রথযাত্রা আমাকে ভাবিয়েছে। হঠাৎ, আমি এমন এক ধরনের প্রতিক্রিয়া দেখলাম, যা আমি আগে কখনও দেখিনি। সোমনাথ থেকে শুরু করে গুজরাতের মধ্যে দিয়ে যাওয়ার সময় বাধ্য হয়ে আমি জিজ্ঞেস করলাম, কী হচ্ছে?
আরও পড়ুন- স্বয়ংসেবক থেকে বিজেপির শীর্ষ পদ, নানা বিতর্ক- একনজরে আদবানির যাত্রা