প্রশ্নের মুখে টিকানীতি! ঢেউ আটকাতে কমাতেই হবে দুটি ডোজের ব্যবধান: ল্যান্সেট

সমীক্ষায় উল্লেখ, প্রথম টিকা নেওয়ার পর যে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়, সময়ে দ্বিতীয় টিকা না পেলে তা কার্যকারিতা হারায়।

সমীক্ষায় উল্লেখ, প্রথম টিকা নেওয়ার পর যে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়, সময়ে দ্বিতীয় টিকা না পেলে তা কার্যকারিতা হারায়।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Coronavirus India Update 5 June 2021

দুটি ডোজের ব্যবধান কমলেই রোখা সম্ভব পরবর্তী ঢেউ।

গ্রিক অক্ষরে করোনা প্রজাতির নামকরণ শুরু করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা হু (WHO)। ভারতকে কাৎ করে দেওয়া দ্বিতীয় ঢেউয়ের পিছনে যে স্ট্রেন, তার নাম ডেল্টা প্রজাতি। এবার এই প্রজাতিকে রুখতে দুটি ডোজের মাঝের ব্যবধান কমাতে পরামর্শ দিল ল্যান্সেট জার্নাল। সাম্প্রতিক এক সমীক্ষায় এই পর্যবেক্ষণ তুলে ধরেছে ল্যান্সেট।

Advertisment

ল্যান্সেট পর্যবেক্ষণে বলা, ‘করোনার আদি প্রজাতির ওপর কার্যকর ফাইজার টিকা। কিন্তু ডেল্টা প্রজাতির ওপর অকার্যকর এই টিকা।এই টিকায় আদি প্রজাতির বিরুদ্ধে অ্যান্টিবডি তৈরির ক্ষমতা ৭৯%। আলফা প্রজাতির বিরুদ্ধে ক্ষমতা ৫০% আর চলতি ডেল্টা প্রজাতির বিরুদ্ধে ক্ষমতা ৩২%। এমনকি, দক্ষিণ আফ্রিকান স্ট্রেন কিংবা বিটা প্রজাতির বিরুদ্ধে অ্যান্টিবডি তৈরির ক্ষমতা ২৫%।‘

তাই সমীক্ষায় উল্লেখ, প্রথম টিকা নেওয়ার পর যে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়, সময়ে দ্বিতীয় টিকা না পেলে তা কার্যকারিতা হারায়। তবে টিকা নিয়ে করোনা আক্রান্ত হলে, চিকিৎসাধীন হওয়ার শতাংশ কম। এমনটাও উল্লেখ সেই সমীক্ষায়।

এদিকে, ল্যান্সেটের এই সমীক্ষায় দেশের টিকানীতিকে প্রশ্নচিহ্নের মুখে দাঁড় করিয়েছে। জানা গিয়েছে, দ্বিতীয় ঢেউয়ের জন্য ডেল্টা প্রজাতির রমরমা। এদিকে, কোভিশিল্ডের দুটি ডোজ নেওয়ার মধ্যে ব্যবধান বাড়িয়েছে  স্বাস্থ্য মন্ত্রক। ৬ থেকে ৮ সপ্তাহ থেকে বাড়িয়ে ব্যবধান করা হয়েছে ১২ থেকে ১৬ সপ্তাহ। অর্থাৎ ৩-৪ মাস। গবেষকরা বলছে, দুটি ঢেউয়ের মাঝের সময়টা অন্তত ৫-৬ মাস। এই সময় মেনে টিকাকরণ সম্পূর্ণ হলে আটকান সম্ভব হবে।

Advertisment

বিরোধীদের অভিযোগ, টিকার ঘাটতি সামাল দিতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। ল্যানসেটের এই সমীক্ষাও কিন্তু দুই টিকার ব্যবধান বাড়ানোর বিষয়টি নিয়ে ফের প্রশ্ন তুলে দিল।

Beta Strain Modi Government Vaccination Lancet Journal Corona India