New Update
/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2024/08/ie-wayanad-landslide.webp)
Wayanad-Landslide: চুরমালা, ওয়ানাডের হেলিক্যাম ছবি (ছবি- পিআরডি, কেরল)
Tragedy in Wayanad: সব মিলিয়ে ভূমিধসে ২,০০০-এরও বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে।
Wayanad-Landslide: চুরমালা, ওয়ানাডের হেলিক্যাম ছবি (ছবি- পিআরডি, কেরল)
Landslides tragedy in Wayanad: চলতি বছর বিশ্বজুড়ে ভূমিধসের একটি সিরিজ দেখা গেছে। জানুয়ারিতে চিনের ইউনান থেকে মে মাসে পাপুয়া নিউ গিনি কিংবা ইন্দোনেশিয়ার সুলাওয়েসি দ্বীপ। এরপর জুলাইয়ে কেরলের ওয়ানাদ। সব মিলিয়ে ভূমিধসে ২,০০০-এরও বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে। এর মধ্যে বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) সকালে ওয়ানাদ জেলার মেপ্পাডিতে ধারাবাহিক ভূমিধসের ফলে মৃতের সংখ্যা ৩০০-র কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছে। অন্তত ২৪০ জন এখনও নিখোঁজ। আহত প্রায় ২০০।
এতকিছু ঘটলেও ভূমিধসকে কিন্তু এখনও খরা, ঝড় বা বন্যার মত বিধ্বংসী বলে মনে করা হয় না। এগুলি স্থানীয় ঘটনা বলেও চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলে। যদিও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব তীব্র হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ভূমিধসের ঘটনা বাড়ছে। আর, তাতে মানুষের জীবন-জীবিকার উল্লেখযোগ্য ক্ষতি হচ্ছে। আইআইটি-মাদ্রাজের একটি দল এই ভূমিধস নিয়ে কাজ করছে। এখানকার বিশেষজ্ঞদের মতে, ভূমিধসের কারণে বিশ্বব্যাপী প্রাণহানির প্রায় ৮% ভারত ঘটে। ২০০১-২১ সময়কালে, ভূমিধসের কারণে ভারতে ৮৪৭ জন মারা গেছেন। হাজার হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।
উল্লেখযোগ্য সংখ্যক প্রাণহানি সত্ত্বেও, ২০১৩ সালের কেদারনাথ ভূমিধস এবং বন্যা হওয়া পর্যন্ত ভারতে ভূমিধসকে যথেষ্ট গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। এমনটাই অভিযোগ করেছেন মাদ্রাজ আইআইটির (IIT-M) বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা মেশিন লার্নিং মডেল ব্যবহার করে একটি উচ্চ-রেজোলিউশন ইন্ডিয়া ল্যান্ডস্লাইড সংবেদনশীল মানচিত্র (ILSM) তৈরি করেছেন।
আরও পড়ুন- তফসিলি জাতির শ্রেণিবিভাজনে অনুমতি সুপ্রিম কোর্টের, কেন এমনভাবে হস্তক্ষেপ করল শীর্ষ আদালত?
সেই মানচিত্র অনুযায়ী, ভারতের ১৩.১৭% অঞ্চল ভূমিধসের জন্য সংবেদনশীল। তার মধ্যে ৪.৭৫% এলাকা অতি সংবেদনশীল। মাদ্রাজ আইআইটির রিপোর্ট অনুসারে সিকিমের ৫৭.৬% অঞ্চল ভূমিধস-প্রবণ। হিমালয়ের বাইরে কেরল হল সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ রাজ্য যার ১৪%-এর বেশি ভূমি উচ্চ সংবেদনশীল ধসপ্রবণ। ওড়িশার আশপাশে পূর্বঘাটের কিছু অঞ্চলও সংবেদনশীল ধসপ্রবণ। তবে, দেশে সবচেয়ে বেশি সংবেদনশীল অরুণাচল প্রদেশ। সেখানকার ৩১,৮৪৫ বর্গ কিলোমিটার এলাকা অত্যন্ত ধসপ্রবণ। ২০২৩ সালে, ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশন বা ইসরো (ISRO) ভারতের ধসপ্রবণ এলাকাগুলো চিহ্নিত করেছে। যেখানে বলা হয়েছে সবচেয়ে ধসপ্রবণ হল হিমালয় এবং পশ্চিমঘাট পর্বতমালা অঞ্চল।