প্রয়াত হয়েছেন লেখক ডমিনিক লাপিয়ের। ভারতের সঙ্গে তাঁর ছিল গভীর সম্পর্ক। গত ৪ ডিসেম্বর প্রয়াত হয়েছেন পদ্মভূষণে সম্মানিত এই ফরাসি লেখক। তাঁর লেখা 'সিটি অফ জয়' এবং 'ফ্রিডম অ্যাট মিডনাইট' বেস্ট সেলার হয়েছিল। শুধু তাই নয়, ভোপাল গ্যাস দুর্ঘটনা নিয়েও প্রতিবেদন তৈরি করেছিলেন তিনি। অসামান্য কাজের জন্য ২০০৮ সালে তিনি রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে পদ্মভূষণ পুরস্কারে সম্মানিত হন।
গত ২০০৭ সালে নয়াদিল্লিতে এসেছিলেন লাপিয়ের। এর কিছুদিন পরেই তাঁর 'ওয়ানস আপন অ্যা টাইম ইন দ্য সোভিয়েত ইউনিয়ন' বইটির ইংরেজি সংস্করণ প্রকাশের কথা ছিল। ১৯৫৬ সালে লাপিয়ের সোভিয়েত রাশিয়া ভ্রমণ করেছিলেন। ৭৬ বছরের লাপিয়ের সেই সময় মিনস্ক, মস্কো, খারকভ, কিয়েভ-সহ নানা শহর ঘুরে দেখেছিলেন। সেই সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন প্রথম স্ত্রী এলিয়েট ও ফরাসি ফটোগ্রাফার জাঁ-পিয়েরে পেড্রাজিনি।
তাঁর লেখায় উঠে এসেছে স্তালিন পরবর্তী সোভিয়েতের টালমাটাল পরিস্থিতির কথাও। নিকিতা ক্রুশ্চেভের জমানায় সোভিয়েতে যে সব রাজনৈতিক পরিবর্তন ঘটেছিল, সেই প্রসঙ্গ উঠে এসেছে। নিজের কলমে তিনি তুলে ধরেছেন সাধারণ রাশিয়ানদের জীবনের কথাও। তাঁর ১৩ হাজার কিলোমিটার রাশিয়া ভ্রমণে বিশেষ দাগ কেটেছিল সুলভ শৌচাগারগুলোয় জীবাণুনাশকের ব্যবহার।
আরও পড়ুন- ইরানে অ্যাটর্নি জেনারেল জানাচ্ছেন নীতি পুলিশ বিভাগ উঠে গেছে, নীরব স্বরাষ্ট্র দফতর
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে লাপিয়ের তাঁর ভ্রমণের সেরা অংশটুকুও তুলে ধরেছিলেন। তিনি জানিয়েছিলেন, এক সোভিয়েত বৃদ্ধা ফ্রেঞ্চ মার্লি গাড়ির টায়ার চুপসে দিতে বলেছিলেন। কারণ, ওই মহিলা দমকা ফরাসি বাতাস অনুভব করতে চেয়েছিলেন। প্রাক্তন সোভিয়েত ইউনিয়নের গল্পই হোক বা আশির দশকের কলকাতা। যেখানে সবচেয়ে সুবিধাবঞ্চিত মানুষের জীবন সম্পর্কে নিজের লেখায় পর্যবেক্ষণকে তুলে ধরেছেন লাপিয়ের। সেই লেখা তাঁর ১৯৮৫ সালের উপন্যাস, 'সিটি অফ জয়'। যে উপন্যাসে লাপিয়েরের লক্ষ্য ছিল, শহর কলকাতার হৃৎপিণ্ডের, তার জীবনযাত্রার ক্ষুদ্রতাকে তুলে ধরা। উপেক্ষিত মানুষের কথা বলা। যাকে অবশ্য শাসকশ্রেণি ফ্রান্সের এই বেস্ট সেলার লেখকের কল্পকাহিনী বলে দাবি করেছেন।
Read full story in English