এবারের ফুটবল বিশ্বকাপ শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত গোটাটাই কাটল টানটান উত্তেজনায়। আবেগের পারদ বৃদ্ধির সঙ্গেই তুঙ্গে উঠেছিল কে পাবে গোল্ডেন বল, কে পাবে গোল্ডেন বুট- সেই জল্পনাও। শেষ পর্যন্ত গোল্ডেন বুট কিলিয়ান এমবাপের কাছে গেলেও, গোল্ডেন বল- ফাইনালের টানটান ভাব বজায় রেখেই জুটল মেসির ভাগ্যে। গোল্ডেন বল পাওয়ার ব্যাপারে মেসির ঠিক পরেই যাঁর নাম উঠল, তিনি কিলিয়ান এমবাপে। অন্যবার গোল্ডেন বল আর বুট নিয়ে এত উত্তেজনা না-থাকলেও, এবার যেন তা তৈরি করে দিলেন মেসি-এমবাপেরা।
বিশ্বকাপে সেরা খেলোয়াড়রা গোল্ডেন বল পুরস্কার পান। কাতারের রবিবার রাতে লিওনেল মেসি গোড়া থেকেই বুঝিয়ে দিচ্ছিলেন তিনি ভালো কিছু করতেই মাঠে এসেছেন। বিশ্বজোড়া অঢেল প্রত্যাশাকে সঙ্গী করে শেষ মুহূর্তে আর্জেন্টিনা টাইব্রেকারে জিততেই হাঁফ ছেড়ে বাঁচলেন সমর্থকরাও। আর্জেন্টিনার তিন বার বিশ্বকাপ জয় হয়ে গেল। মারাদোনার যোগ্য উত্তরসূরি হিসেবে মেসি নিজেকে প্রতিষ্ঠা করলেন।
আর, উপরি হিসেবে মিলল মেসির গোল্ডেন বল। এই নিয়ে দু'বার, যা রেকর্ড। একইসঙ্গে ঐতিহ্য ভাঙল ফিফাও। এর আগের ছ'বার বিশ্বকাপের যুদ্ধশেষে গোল্ডেন বল দেওয়া হয়েছে রানার্স আপ বা সেমিফাইনালে হেরে যাওয়া কোনও দলের ফুটবলারকে। এই প্রথমবার কাপজয়ী কোনও দলের সেরা খেলোয়াড়ের ভাগ্যে জুটল গোল্ডেন বল।
আরও পড়ুন- আরও দামি হচ্ছে পণ্য, মধ্যবিত্তের নাভিশ্বাস বাড়বে মোদী সরকারের সিদ্ধান্তে
১৯৯৮ থেকে গোল্ডেন বলের ইতিহাসের শুরু। ৯৮-এর বিশ্বকাপে ব্রাজিলের রোনাল্ডো দলকে টেনে ফাইনালে তুলেছিলেন। কিন্তু, জিদান আর তার দলের অবিশ্বাস্য পারফরম্যান্স ফাইনালে রোনাল্ডোদের কাপের আশায় ইতি টানে। ফ্রান্স ফাইনাল জিতে নেয় ৩-০ গোলে। তবুও রানার্স ব্রাজিলের রোনাল্ডোকেই দেওয়া হয় গোল্ডেন বল। এরপর ২০০২-এ দক্ষিণ কোরিয়া-জাপান বিশ্বকাপে রোনাল্ডো আট গোল করেছিলেন।
তার মধ্যে ফাইনালে জার্মানির বিরুদ্ধে দুটো গোল করেছিলেন রোনাল্ডো। ব্রাজিলের পঞ্চমবার বিশ্বকাপ জয় রোনাল্ডোদের তুলে ধরেছে এক অতি উঁচু আসনে। সেই সময়ও কিন্তু, গোল্ডেন বল দেওয়া হয়েছে পরাজিত জার্মানির গোলকিপার তথা অধিনায়ক অলিভার কানকে। তাঁর যুক্তি, গোটা টুর্নামেন্টে মাত্র তিনটে গোল খেয়েছিলেন।
Read full story in English