ব্রিটেনের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে লিজ ট্রাস তাঁর দলেরই ভারতীয় বংশোদ্ভূত নেতা ঋষি সুনাকের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। যদিও সুনাকের পিছনে কনজারভেটিভ পার্টির এমপিদের সমর্থন রয়েছে। সম্প্রতি হয়ে যাওয়া বেশ কয়েকটি রাউন্ডের ভোটে এই সমর্থন প্রমাণিত হয়েছে। কিন্তু, ট্রাস আবার তাঁর দলের তৃণমূলস্তরের সদস্যদের মধ্যে বেশ জনপ্রিয়। শুধু দলের এমপিরাই নন। আগামী ২ সেপ্টেম্বর দলের এই তৃণমূলস্তরের সদস্যরাও নেতা নির্বাচন করতে ভোট দেবেন। তার আগে অবশ্য বহু টেলিভিশন বিতর্ক এবং জনগণের মধ্যে প্রচারের ঘটনাও ঘটবে। কনজারভেটিভ পার্টি পরিচালিত বেশ কয়েকটি ওয়েবসাইটের ভোটাভুটিতে ট্রাসই জয়ী হয়েছে। ২৫ জুলাই পর্যন্ত বিভিন্ন ম্যাগাজিনের সমীক্ষাও বলছে, ট্রাসের জয়ের সম্ভাবনা ৬৬ শতাংশ।
কে এই লিজ ট্রাস?
বছর ৪৬-এর লিজ ট্রাস উত্তর ইংল্যান্ডের বাসিন্দা। ঐতিহ্যগতভাবে উত্তর ইংল্যান্ডে লেবার পার্টি শক্তিশালী। অক্সফোর্ডোর বাসিন্দা ট্রাস নিজেকে সোশ্যাল ডেমোক্র্যাট বলে দাবি করেন। যা তাঁর কেন্দ্রীকরণ নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। এলিজাবেথ ট্রাস অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি থেকে দর্শন, রাজনীতি এবং অর্থনীতি নিয়ে পড়েছেন। সেখানই তিনি সরকারের ভূমিকার হ্রাস ঘটা ও অর্থনীতিতে বেসরকারি খাতের বৃহত্তর ভূমিকার রক্ষণশীল পার্টির আদর্শের প্রতি আরও ঝুঁকতে শুরু করেন। তিনি বেসরকারি ক্ষেত্রে কমার্শিয়াল ম্যানেজমেন্টের কর্মী হিসেবে ১০ বছর জ্বালানি ও টেলিযোগাযোগ শিল্পে কাজ করেছেন।
আরও পড়ুন- অপরাধ প্রক্রিয়ার দুষ্টচক্রে আটকে মহম্মদ জুবের, পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের
পদমর্যাদার অগ্রগতি
২,০০০ সালের পরবর্তী সময়ে তিনি একাধিক নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। আর, প্রতিটিতেই পরাজিত হয়েছেন। এরপর ২০১০ সালে তিনি হাউস অফ কমন্সে একটি আসন জিতেছিলেন। ২০১২ সালে, ট্রাস শিক্ষা ও শিশু যত্ন বিভাগের উপসচিব পদে নিযুক্ত হন। পরে পরিবেশ, খাদ্য এবং সম্পর্কিত বিভাগেরও দায়িত্ব পান। প্রচারে এই বিষয়গুলোরও উল্লেখ করছেন বরিস জনসন মন্ত্রিসভার এই বিদেশসচিব। ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর থেকেই ব্রিটেনের বিদেশ সচিবের দায়িত্ব তিনিই সামলাচ্ছেন।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে ট্রাস ব্রিটেনের বিদেশসচিব হিসেবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। প্রায় তাঁকে দেখা গিয়েছে রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার আহ্বান জানাতে। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের কঠোর নিন্দা করতে। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে এর আগে তিনি ব্রেক্সিট নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে আলোচনার দায়িত্বে ছিলেন। ২০১৬ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ছেড়ে যাওয়া নিয়ে গণভোটের বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছিলেন। পরে, অবশ্য ট্রাস ভুল স্বীকার করেন। গণভোটের বিরুদ্ধে ভোট দেওয়ার পরও তাঁকে ব্রেক্সিট নিয়ে গুরুদায়িত্ব দেওয়ার প্রশংসা করেন।
Read full story in English