লকডাউন এক মাসের জন্য বাড়ানো হল কেন?
এই পরিবর্তনকে ঠিক লকডাউন বৃদ্ধি বলা চলে না। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক যে গাইডলাইন দিয়েছে, তাতে তারা জানিয়েছে, কেবলমাত্র কনটেনমেন্ট জোনে লকডাউন চলবে। কনটেনমেন্ট জোন চিহ্নিত করবে রাজ্য, যা নির্ভর করবে ওই এলাকায় করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব কতদূর তার উপর।
কনটেনমেন্ট জোনের বাইরে লকডাউন এলাকায় ধাপে ধাপে লকডাউন তুলে নেওয়া হবে।
তাহলে কবে কী খুলবে?
মল, হোটেল, রেস্তোরাঁ, উপাসনাস্থল, স্কুল ও কলেজ আগামী দু মাসে ধাপে ধাপে খোলা হবে। মল, হোটেল ও রেস্তোরাঁ, মন্দির মসজিদ, গির্জার মত উপাসনাক্ষেত্র ৮ জুন থেকে খুলে যাবে। স্কুল, কলেজ, কোচিং ইনস্টিট্যুট এবং অন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জুলাই মাস থেকে খুলবে, এ ব্যাপারে অভিভাবক ও অন্যদের সঙ্গে কথা বলার পর।
আরও পড়ুন, করোনার কারণে যেসব অপারেশন মুলতুবি রয়েছে, তার কী হবে?
ভারতীয় রেল আগেই জানিয়েছে, সোমবার, ১ জুন থেকে ১০০ জোড়া ট্রেন চলবে। এই ট্রেনগুলির বুকিং খুলে গিয়েছে, ৩০ দিন আগে যে কেউ এ ট্রেনের বুকিং করতে পারেন।
এর আগে যে রাজধানী টাইপ ১০০ জোড়া ট্রেন চলছিল, তার সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে নতুন এই ১০০ জোড়া ট্রেন।
তাহলে এখন নিষিদ্ধ কী রইল?
আন্তর্জাতিক বিমান, মেট্রোরেল, সিনেমা হল, জিমনাশিয়াম, সুইমিং পুল, বিনোদন পার্ক, থিয়েটার, বার ও অডিটেরিয়াম, সমাবেশের জন্য হল এবং এ ধরনের ক্ষেত্র জুড়ে নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকছে। ধর্মীয়, রাজনৈতিক এবং অন্যান্য সমস্তরকম সমাবেশও নিষিদ্ধ থাকবে।
আরও পড়ুন, পঙ্গপাল রোধে একযোগে ভারত-পাকিস্তান
এর অর্থ হল আপনি মন্দিরে যেতে পারবেন, কিন্তু ধর্মীয় শোভাযাত্রায় অংশ নিতে পারবেন না। তবে আনলকিংয়ের তৃতীয় পর্যায়ে এ বিষয়ে আলোচনার পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
তাহলে ৮ জুনের পর মলে ঘোরা যাবে?
ব্যাপারটা ঠিক তেমন নয়।
এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার রাজ্যগুলির হাতে। সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকার যদি মনে করে এ ধরনের কর্মকাণ্ড তাদের কোভিড-১৯ মহামারী মোকাবিলা সমস্যায় ফেলবে, তাহলে তাতে তারা বিধিনিষেধ লাগু করতে পারে। এর অর্থ কেন্দ্র কেন্দ্র আন্তঃরাজ্য মানুষ ও পণ্য চলাচলে ছাড় দিলেও রাজ্যগুলি তাদের বর্ডার সিল করে দিতে পারে এবং অন্য রাজ্য থেকে কাউকে প্রবেশ নাও করতে দিতে পারে।
রাত ৭টা থেকে সকাল ৭টার নাইট কারফিউ কী হবে?
রাতের কারফিউয়ের সময়সীমা শিথিল করলেও তা জারি রয়েছে। এখন থেকে এই সময়সীমা রাত ৯টা থেকে ভোর ৫টা।
এতদিন নিষিদ্ধ কাজকর্ম যে শুরু দেওয়া হল, এবার কি তার কোনও প্রতিষেধক আর থাকবে?
আশা করা হচ্ছে প্রত্যেকে মাস্ক পরবেন, সামাজিক দূরত্ব মেনে চলবেন ও ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য বিধির অনুশীলন করবেন। এ ছাড়া যা যা খোলা হচ্ছে সে ব্যাপারে সাধারণ পরিচালন পদ্ধতি জানাবে দেশের স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রক।