যাঁরা বাড়ি থেকে কাজ করছেন, বা আদৌ কাজ করছেন না, এই লকডাউন তাঁদের জীবনে বদল এনে দিয়েছে। কোনও কোনও ক্ষেত্রে এর জেরে যে একঘেঁয়েমি ও ধকল এসেছে, তাতে বদলে গিয়েছে খাদ্যাভ্যাসও। কীভাবে মানিয়ে নিতে পারেন এর সঙ্গে?
কেউ খুব সামান্য খান, কেউ বেশি খান। বাড়িতে থাকাকালীন কেউ টুকটাক বেশি খান, পুরো খাবার কম খান বা আদৌ খানই না। স্ট্রেসের জন্য মানুষ কার্বোহাইড্রেট ও ফ্যাটসম্পন্ন খাবার বেশি খান বলে দেখা গিয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন এ ব্যাপারে নজর রাখা দরকার।
যদি আপনি বোঝেন যে আপনি বেশি স্ন্যাক জাতীয় খাবার খাচ্ছেন তাহলে তার বদলে বরং স্বাস্থ্যকর খাবার খান। খিদে না থাকলেও যদি স্ন্যাকজাতীয় খাবার খেতে ইচ্ছে করে, তাহলে অন্যদিকে মন দিন।
স্ট্রেসের কারণে অনেকে তাঁদের যতটা প্রয়োজন, তার চেয়ে কম খান। এরকম ক্ষেত্রে যে ধরনের খাবার তাঁদের সহ্য হয়, সেদিকে তাঁদের লক্ষ্য রাখা উচিত, এবং তা যেন স্বাস্থ্যকর হয়, যেমন হট চকোলেট জাতীয় কিছু। এ ছাড়া নিয়মিত জল পান অত্যন্ত জরুরি।
যখন খাচ্ছেন না তখন কী করতে পারেন! একএকজনের ক্ষেত্রে এর উত্তর একএকরকম হবে। অনেকেই এসময়ে ঘরদোর পরিষ্কার করেন, কিন্তু সকলেই তাতে আটকে থাকতে চাননা। বেশ কিছু প্রকাশিত প্রবন্ধে মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, বাড়ির সকলের সঙ্গে এই সময়ে কথা বলুন, এমনকী রোগের প্রকোপ নিয়েও। অথবা তিক্ত সংবাদ থেকে চোখ সরিয়ে কোনও সিনেমা দেখতে পারেন বা কোনও বইও পড়ত পারেন।
ভাইরাসের ভয়ে সবকিছু বন্ধ করে রাখার খারাপ দিকও রয়েছে- সকলেরই তাজা হাওয়া প্রয়োজন। মাঝে মাঝে জানালা বা ভেন্টিলেটর খুলে দিলেই ভাল।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন