Advertisment

অতি গুরুত্বপূর্ণ সপ্তাহ

ক্রমশ লকডাউন তুলে নেবার কৌশল কতটা কার্যকর, সেখানে আর্থিক কাজকর্ম শুরু করা যাবে কিনা, নাকি লক ডাউন চালিয়ে সংক্রমণ শৃঙ্খল ভাঙা বেশি লাভের হবে, তা বোঝার জন্য এই সপ্তাহ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

টেস্টিংয়ের মাত্রা বাড়লে তা প্রশাসনের লক ডাউন পদক্ষেপ নিয়ে এগোতে সাহায্য করবে

এখন থেকে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের বিভাগীয় সম্পাদকরা বিভিন্ন শিরোনামে উঠে আসা সংবাদের তুল্যমূল্য আলোচনা ও বিশ্লেষণ করবেন। এবার লিখেছেন পত্রিকার পলিটিক্যাল এডিটর তথা চিফ অফ দ্য ন্যাশনাল পলিটিক্যাল ব্যুরো রবীশ তেওয়ারি।

Advertisment

জাতীয় পর্যায়ের লকডাউনের চতুর্থ সপ্তাহ আসতে চলেছে, লক্ষ্য করোনা সংক্রমণ মৃত্যুর সংখ্যা কমানো।

সোমবার সন্ধে অবধি কোভিড ১৯ এ সংক্রমিতের সংখ্যা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া খতিয়ান অনুসারে ১৭২৬৫, এক সপ্তাহ আগে, ১৩ এপ্রিলের ৯৩৫২ সংখ্যার প্রায় দ্বিগুণ।

সংক্রমণের এই হারবৃদ্ধি কিছুটা আশার সূচক। সংক্রমণ দ্বিগুণ হতে এক সপ্তাহ সময় লাগায় মনে করা যেতেই পারে যে অভীষ্ট কিছুটা পূরণ হয়েছে। মন্ত্রকের খতিয়ান থেকে দেখা যাচ্ছে এই সোমবার মৃত্যুর সংখ্যা ৫৪৩, গত সোমবার যা ছিল ৩২৪।

এই পরিস্থিতিতে সরকারও তার অবস্থান গত সপ্তাহে বদলেছে। প্রথমত সরকার ১৭০টি জেলা, যেখানে সংক্রমণ বৃদ্ধির দ্বিগুণত্বের হার জাতীয় গড়ের চেয়ে বেশি, সেগুলিকে হটস্পট হিসেবে চিহ্নিত করেছে।

দ্বিতীয়ত কিছু জেলাকে চিহ্নিত করা হয়েছে, যেখানে সংক্রমণের বিচ্ছিন্ন ঘটনা রয়েছে বা সংক্রমণ নেই, এমন জেলা থেকে ধীরে ধীরে লকডাউন তুলে নেওয়া হবে। শেষ হিসেব পাওয়া পর্যন্ত দেশে ৩০০ জেলা রয়েছে, যেখানে একজনও করোনা সংক্রমিত নন।

ক্রমশ লকডাউন তুলে নেবার এই কৌশল কতটা কার্যকর, সেখানে আর্থিক কাজকর্ম শুরু করা যাবে কিনা, নাকি লক ডাউন চালিয়ে সংক্রমণ শৃঙ্খল ভাঙা বেশি লাভের হবে, তা বোঝার জন্য এই সপ্তাহ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে মূল বাণিজ্য কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত মুম্বই, দিল্লি-এনসিআর, পুনে, সুরাট এবং আমেদাবাদ সম্ভবত বিধিনিষেধের আওতাতেই থাকবে কারণ এগুলি হটস্পট হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।

১৭০টি হটস্পট চিহ্নিত জেলায় প্রচুর পরিমাণ টেস্টিং ও কনটেনমেন্ট ইপারেশনের উপর নজর থাকবে সবার।

কনটেনমেন্ট এবং হটস্পট কৌশল যেসব জায়গায় সংক্রমণের সংখ্যা কম সেখানে ভালভাবেই কাজ করেছে। এর মধ্যে ৫০টি জেলায় গত ১৪ দিনে নতুন কোনও সংক্রমণের ঘটনা ঘটেনি।

র‍্যাপিড টেস্টিং কিটের লভ্যতা বাড়ায় এবং বেশ কিছু রাজ্য পুলড টেস্টিং পদ্ধতি অবলম্বন করায় টেস্টিংয়ের মাত্রাও এই সপ্তাহে বাড়বে বলে আশা করা যায়।

এর ফলে দেশের বিভিন্ন অংশে স্বাস্থ্য প্রশাসকরা রোগ ও সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার বিষয়টি চিহ্নিত করতে পারবেন। টেস্টিংয়ের মাত্রা বাড়লে তা প্রশাসনের লক ডাউন পদক্ষেপ নিয়ে এগোতে সাহায্য করবে।

এই রোগের প্রকোপ সবচেয়ে খারাপভাবে ছড়িয়েছে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে। কেউ কেউ আশা করছেন, এই পরিস্থিতি স্থিতিশীল হবে- ওই দেশগুলি তাদের অর্থনীতি খুলে দেবার ব্যাপারে অগ্রসর হবে। এখনও পর্যন্ত আমেরিকায় এই রোগ সবচেয়ে বেশি আক্রমণ করেছে।

 সকলেই সংক্রমণের কার্ভের দিকে তাকিয়ে রয়েছেন। আমরাও তাই।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

Lockdown COVID-19
Advertisment