ভারতে আবারও দৈনিক সংক্রমণে দেখা যাচ্ছে। গত কয়েক দিনে ফের বেড়েছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। সোমবার একদিনে আক্রান্ত হয়েছে ২৬ হাজারেরও বেশি। মহারাষ্ট্রে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ১৬ হাজারের কাছাকাছি। তবে অনেকেই এ প্রশ্ন তুলছে যে ভারতে কি কোভিড সংক্রমণের দ্বিতীয় বৃহৎ তরঙ্গ শুরু হয়েছে। বিশেষজ্ঞ মহলের মত এই নতুন করে করোনা হানার গতি প্রথম তরঙ্গের সঙ্গে তুলনীয় নয়। আর তাই লকডাউন হয়ত সঠিক সিদ্ধান্তও নয় করোনায় রাশ টানার।
Advertisment
করোনাভাইরাসের প্রথম পর্বে গত বছর সেপ্টেম্বরে দৈনিক ২৫ হাজার আক্রান্ত হয়েছিল। এখন যদি উদ্ধব ঠাকরের রাজ্যের করোনা পরিসংখ্যানে চোখ রাখা যায় তাহলে দেখা যাবে সেখানে দিনে ১৬ হাজার কোভিড আক্রান্ত হচ্ছে প্রতিদিন। হয়ত খুব শীঘ্রই ২০ হাজারের কোঠাও পেরিয়ে যাবে। যদিও ইতিমধ্যেই ১৯টি জেলায় লকডাউন জারি রয়েছে।
প্রথম কোভিড তরঙ্গ থেকে এই সংক্রমণ আলাদা কোথায়?
সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ পার্থক্যটি হ'ল ভাইরাসটি আগের থেকে অনেক কম হারে সংক্রমিত হচ্ছে। অর্থাৎ ভাইরাল বিষয়টি অনেকাংশে কমেছে। আক্রান্তের সংখ্যার অনুপাতে মৃত্যু কিন্তু অনেক কম। উদাহরণস্বরূপ, মহারাষ্ট্রে গত এক মাসে মৃত্যুর হার ১ শতাংশের এরও কম। এটি বেশ আশাবাদী আবহ। মহারাষ্ট্রের তিন-চারটি জেলা বাদে সর্বত্রই এটি হ্রাস পাচ্ছে।
তবে কি করোনা সংক্রমণ রোধে লকডাউনই একমাত্র উপায়?
বিশ্বের সব দেশে ভৌগলিক, আর্থ সামাজিক পরিস্থিতি এক নয়। তাই অতিমারীর কারণ বুঝে তাকে সেই মত নিয়ন্ত্রণ করা উচিত দেশের, এমনটাই মত বিশেষজ্ঞ মহলের। একাধিক বিষয়ের উপর গুরুত্ব দিয়ে পরিস্থিতি বিচার করেই লকডাউনের পথে হাঁটা উচিত। এই পর্যায়ে ভাইরাস আটকানোর জন্য লকডাউন হ'ল সঠিক কৌশল এমনটা নয়। লকডাউন একটি- সাময়িক উপায়। দীর্ঘমেয়াদি নয়। প্রথম পর্যায়ে এর প্রয়োজন ছিল কারণ স্বাস্থ্য অবকাঠামোকে উন্নত করার জন্য। হাসপাতালের শয্যাগুলির সংখ্যা বাড়ানোর, পরীক্ষাগারের নেটওয়ার্ক, অক্সিজেন, ভেন্টিলেটরগুলির মতো সরঞ্জাম সরবরাহের জন্য ব্যবহার করা হয়েছে সেই লকডাউনকে। কিন্তু এর ফলে যে সামাজিক এবং অর্থনৈতিক পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হয়েছে তা ভাইরাসের থেকেও বড় সমস্যার সৃষ্টি করেছে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন