বিসিসিআইয়ের দীর্ঘদিনের অফিসিয়ালরা পদত্যাগ করেছিলেন কেন?
২০১৬ সালের ১৮ জুলাই সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে আর এল লোঢা কমিটির সুপারিশ গ্রহণ করা হয়। ওই সুপারিশে বিসিসিআইয়ের কাঠামোগত পরিবর্তনের কথা বলা হয়েছিল। একইভাবে ভারতীয় বোর্ড নতুন এক সংবিধান পায়, যেখানে মেম্বারশিপের যোগ্যতার জন্য বেশ কিছু কঠোর বিধির কথা বলা হয়েছিল। অন্য নির্দেশিকার ছাড়াও নতুন সংবিধানে ৭০ বছরের বেশি বয়স্কদের কমিটিতে না রাখার কথা বলা হয়েছিল। এ ছাড়া মন্ত্রী বা সরকারি কর্মচারী, অন্য স্পোর্টস ফেডারেশনের সঙ্গে যুক্ত অথবা সব মিলিয়ে ৯ বছর ধরে অফিস বেয়ারার পদে থাকা ব্যক্তিদের বিসিসিআইয়ের কমিটিতে রাখা যাবে না বলা হয়েছিল।
লোঢা সংস্কারের জেরে কোন আধিকারিকদের পদত্যাগ করতে হয়?
পরিচিত মুখদের মধ্যে বিসিসিআইয়ের প্রাক্তন সভাপতি এন শ্রীনিবাসন এবং প্রাক্তন সচিব নিরঞ্জন শাহ অযোগ্য বলে বিবেচিত হন। দুজনেরই বয়স ৭০ পেরিয়েছে এবং দুজনেই ৯ বছরের বেশি অফিস বেয়ারার থেকেছেন। বিসিসিআইয়ের আরেক প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট শরদ পাওয়ারের বয়স ৭৮ হওয়ায় তিনিও ক্রিকেট প্রশাসনে থাকার যোগ্যতা হারান। ২০১৭ সালে অসহযোগিতার জন্য বিসিসিআই প্রেসিডেন্টের পদ থেকে অনুরাগ ঠাকুরকে অপসারণ করে সুপ্রিম কোর্ট। এখন তিনি অর্থ ও কর্পোরেট বিষয়ক রাষ্ট্রমন্ত্রী হওয়ার সুবাদে আর ক্রিকেট প্রশাসনে ফিরতে পারবেন না। এ ছাড়া অনুরাগ ঠাকুরকে কুলিং অফ পিরিয়ডও কাটাতে হবে।
আরও পড়ুন, বিশ্লেষণ: নির্বাচনী ইস্তাহারের প্রতিশ্রুতি ও আইনি বিধি
বর্তমান কার্যকরী সচিব অমিতাভ চৌধরী এবং কোষাধ্যক্ষ অনিরুদ্ধ চৌধরীকেও বোর্ড প্রশাসনে ফেরার আগে কুলিং অফ পিরিয়ড কাটাতে হবে।
নতুন সংবিধানে কি বিসিসআই অফিসিয়ালদের সন্তানরা তাঁদের জায়গা নিতে পারে?
কোনও রাজ্য অ্যাসোসিয়েশন যদি বিসিসিআইয়ে তাদের প্রতিনিধিত্বের জন্য এমন কাউকে বেছে নেয়, তাহলে সে ব্যাপারে কোনও নিষেধাজ্ঞা নেই। সাংবিধানিক কাঠামো মেনে তাঁরা রাজ্য অ্যাসোসিয়েশন বা বিসিসিআইয়ের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতেই পারেন। এর ফলেই ভোটে এন শ্রীনিবাসনের মেয়ে রূপা তামিলনাড়ু থেকে এবং নিরঞ্জন শাহের ছেলে জয়েশ সৌরাষ্ট্র থেকে নির্বাচনে জিতেছেন।
প্রাচীনরা কি এখনও বিসিসিআইয়ের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে রাখতে পারেন?
নিজেদের ছেলে মেয়ে বা বিশ্বস্ত কোটারির মাধ্যমে দীর্ঘদিনের সদস্যরা এখনও কমিটিগুলি চালাতে পারেন। লোধা কমিটি বারতীয় ক্রিকেটের গণতন্ত্রীকরণের জন্য কিছু নিয়ম কানুন তৈরি করেছে। নয়া সংবিধানে শীর্ষ কমিটির হাতে পূর্ণ ক্ষমতা দেওয়া রয়েছে। এই কমিটিতে অন্য অফিস বেয়ারারদের সঙ্গে খেলোয়াড়দের দুজন প্রতিনিধি এবং কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেলের প্রতিনিধিরাও থাকবেন। কয়েকজন ক্ষমতাশালীর হাতে ক্ষমতা কুক্ষিগত হবে না এ কথা নিশ্চিত করতেই কমিটিতে স্বাধীন ন্যায়পাল, এথিকস অফিসার এবং নির্বাচনী অফিসারদের রাখা হয়েছে।
Read the Full Story in English