/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2023/05/Manipur-Tension.jpg)
বুধবার (৩ মে) মণিপুরের অল ট্রাইবাল স্টুডেন্টস ইউনিয়ন (এটিএসইউএম)-এর ডাকা ‘উপজাতি সংহতি মিছিল’ চলাকালীন মণিপুরের বিভিন্ন স্থানে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। সেনা ও আসাম রাইফেলস হিংসায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোয় পতাকা-সহ মিছিল করেছে। মেইতেই সম্প্রদায়কে রাজ্যের তফসিলি উপজাতির (এসটি) তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার দীর্ঘদিনের দাবির বিরোধিতা করার জন্য বুধবারের মিছিল ডাকা হয়েছিল। গত মাসে মণিপুর হাইকোর্টের নির্দেশের জেরে মেইতেই সম্প্রদায় এসটি তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হওয়ার পথে আশার আলো দেখে।
বিরোধিতা করছে উপজাতিরা
মণিপুর হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের সেই নির্দেশের তীব্র বিরোধিতা করেছে এই পার্বত্য রাজ্যের উপজাতি সম্প্রদায়। গত ১৪ এপ্রিল আদালত তার নির্দেশে, মণিপুর সরকারকে মেইতেইদের দাবি বিবেচনার নির্দেশ দেয়। আর, তাতেই মণিপুরের পার্বত্য উপত্যকায় বসবাসকারী মেইতি সম্প্রদায় এবং রাজ্যের পাহাড়ি উপজাতিদের মধ্যে ঐতিহাসিক উত্তেজনা কয়েকগুণ বেড়েছে।
মণিপুরের প্রধান সম্প্রদায় কোনগুলো?
মণিপুরের সবচেয়ে বড় সম্প্রদায় হল মেইতেই। এই পার্বত্য রাজ্যে ৩৪টি স্বীকৃত উপজাতিও রয়েছে। যাদের 'কুকি উপজাতি' এবং 'নাগা উপজাতি' হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। মণিপুরের কেন্দ্রীয় উপত্যকা অঞ্চলে গোটা রাজ্যের ১০% ভূখণ্ড আছে। এই অঞ্চলে মূলত থাকেন মেইতি এবং মেইতেই পাঙ্গালরা। আর, এঁরাই পার্বত্য রাজ্যটির মোট জনসংখ্যার প্রায় ৬৪.৬%। মণিপুরের ভৌগোলিক এলাকার অবশিষ্ট ৯০% উপত্যকা পার্শ্ববর্তী পাহাড় নিয়ে তৈরি। সেখানে মূলত স্বীকৃত উপজাতিদের বাড়ি। এই উপজাতিদের সংখ্যা মণিপুরের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৩৫.৪%।
আরও পড়ুন- তৃতীয় চার্লসের রাজ্যাভিষেক, কেমন ব্যবস্থার আয়োজন হচ্ছে ব্রিটেনে?
মেইতেই সম্প্রদায় কেন এসটি মর্যাদা চায়?
অন্তত ২০১২ সাল থেকে এই দাবির সমর্থনে এই সম্প্রদায় সংগঠিতভাবে চেষ্টা চালাচ্ছে। তারা এজন্য মণিপুরের তফসিলি উপজাতি দাবি কমিটি (এসটিডিসিএম) নামে একটি সংগঠন বানিয়ে ফেলেছে। মণিপুর হাইকোর্টের সামনে সাম্প্রতিক আবেদনটি ছিল মিটেই (মেইতেই) উপজাতি ইউনিয়নের। এই সংগঠন হাইকোর্টের কাছে আবেদন করেছিল আদালত যেন মণিপুর সরকারকে নির্দেশ দেয়। অর্থাৎ, মণিপুর সরকার যেন কেন্দ্রীয় উপজাতি মন্ত্রকের কাছে মিটেই/মেইতি সম্প্রদায়কে তফসিলি উপজাতির তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার জন্য সুপারিশ করে। সেই সুপারিশের ভিত্তিতে ভারতীয় সংবিধানে, মণিপুরের উপজাতিদের মধ্যে অন্যতম একটি উপজাতি হিসেবে মেইতেইরা ঢুকতে পারবে।