Advertisment

বর্ষাকাল মাঝপথে, তবু জলাধারে সঞ্চয়ে ব্যাপক ঘাটতি নিয়ে আশঙ্কা

পূর্বের হাল অতীব খারাপ। ঝাড়খণ্ড, ওড়িশা, পশ্চিমবঙ্গ ও ত্রিপুরায় ২০১৯ সালে জলভাণ্ডার মাত্র ১৭ শতাংশ। গত বছর তা ছিল ২৭ শতাংশ।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Low Water Level

প্রতীকী ছবি

বর্ষাকালের অর্ধেক চলে গেল, দেশের জলাধারগুলিতে জমা জলের পরিমাণের তেমন কোনও উন্নতি হয়নি। দেশের মোট ১০০টি জলাধারের মধ্যে ৭৬টিতে ক্ষমতার ৪০ শতাংশ জলও জমেনি।

Advertisment

গত ২৫ জুলাই এই বাঁধগুলিতে জলের ভাণ্ডার ছিল ৬৩ শতাংশ। কেন্দ্রীয় জল কমিশনের রিপোর্টে এ কথা জানা গিয়েছে। গত বছর এই সময়ে জলের ভাণ্ডার ছিল ৭১ শতাংশ।

গঙ্গা, কৃষ্ণা, মহানদী, কাবেরী নদীর অববাহিকায় জলভাণ্ডারে ঘাটতি তো দেখা গিয়েছেই, এবার তাপ্তী, সবরমতী ও গোদাবরী নদীতে ঘাটতির পরিমাণ ব্যাপক। কৃষ্ণা নদীতে ঘাটতির পরিমাণ ৮.২৬ শতাংশ, গঙ্গায় ৬.৪৪ শতাংশ, নর্মদায় ৫.৮০ শতাংশ, মাহিতে ১.৬৯ শতাংশ, গোদাবরীতে ১.৫১ শতাংশ।

গত বছর কেরালায় বাঁধ ভেসে ব্যাপক বন্যা হয়েছিল, সেই বাঁধগুলিই এ বছর অর্ধেক খালি। কেন্দ্রীয় জল কমিশনের রিপোর্ট অনুযায়ী দক্ষিণের রাজ্যগুলি বর্ষায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত। গত বছর যে জলভাণ্ডার ছিল ৫৬ শতাংশ, সেবার ওই একই সময়ে তার পরিমাণ ২৪ শতাংশ।

উত্তরের পরিস্থিতি অনেকটাই ভাল। হিমাচল প্রদেশ, রাজস্থান ও পাঞ্জাবে ২০১৮ সালে ৬টি জলাধারে গত বছর জলভাণ্ডার ছিল ২৫ শতাংশ, এ বছর তা বেড়ে হয়েছে ৪৮ শতাংশ।

পূর্বের  হাল অতীব খারাপ। ঝাড়খণ্ড, ওড়িশা, পশ্চিমবঙ্গ ও ত্রিপুরায় ২০১৯ সালে জলভাণ্ডার মাত্র ১৭ শতাংশ। গত বছর তা ছিল ২৭ শতাংশ।

পশ্চিমের গুজরাট ও মহারাষ্ট্রের ৩৫টি জলাধারে এ বছর মাত্র ১৯ শতাংশ জল সঞ্চিত হয়েছে। ২০১৮ সালে এই সময়কালে তার পরিমাণ ছিল ৩২ শতাংশ।

মধ্যাঞ্চলের চার রাজ্যের মোট ১২টি জলাধারের বরং সঞ্চয়ে খুব একটা ঘাটতি হয়নি। গত বছরের ৩৩ শতাংশের তুলনায় এবার তা ২৫ শতাংশ।

Advertisment