Advertisment

Explained: লুনা ২৫-এর ধ্বংস বিরাট শিক্ষা দিল, কেন ভেঙে পড়ল রাশিয়ার চন্দ্রযান?

সাম্প্রতিক অতীতে কেবলমাত্র চিনেরই তিনটি অভিযান সফল হয়েছে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Luna-25

রুশ মহাকাশযান লুনা-২৫।

লুনা-২৫ সেই মহাকাশযান, যা আধুনিক রাশিয়ার চাঁদে প্রথম চন্দ্রাভিযানের সাক্ষী। কিন্তু, তা ধ্বংস হওয়ায় বর্তমান রাশিয়ার মহাকাশযান অবতরণের প্রথম প্রচেষ্টা বড় ধাক্কা খেল। রাশিয়ান মহাকাশ গবেষণা সংস্থা রোজকসমস রবিবারই অভিযানের ব্যর্থতার কথা স্বীকার করে নিয়েছে। কিন্তু, এই ব্যর্থতা শুধুমাত্র রাশিয়ার চন্দ্রাভিযানের ব্যর্থতা নয়। লুনা-২৫ এর ধ্বংস চাঁদের নরম-ভূমিতে মহাকাশযান অবতরণের ঝুঁকিকেই কার্যত তুলে ধরল। এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। চাঁদে ২০ বারের বেশি সফল অভিযান চালিয়েছে বিশ্ববাসী। তার মধ্যে ছয়বার মানবহীন যানের অভিযান হয়েছে পৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহে। কিন্তু, তারপরও এখনও চাঁদের নরম ভূমিতে (দক্ষিণ মেরু সংলগ্ন এলাকা) অবতরণের কৌশল গবেষণকরা আয়ত্ত করতে পারেননি। আশ্চর্যের হলেও গত ১০ বছরে তিনটি চিনা মহাকাশযানের অবতরণকে বাদ দিলে, চাঁদে মহাকাশযানের সমস্ত সফল অবতরণ ঘটেছে ১৯৬৬ থেকে ১৯৭৬ সালের, এক দশকের মধ্যে।

Advertisment

ভারতের চন্দ্রযান-২ ব্যর্থ হয়েছিল
গত চার বছরে ভারত, ইজরায়েল, জাপান এবং বর্তমান রাশিয়া- চারটি দেশের সরকারি ও বেসরকারি মহাকাশ সংস্থাগুলো চাঁদে তাদের মহাকাশযান অবতরণের চেষ্টা চালিয়েছে এবং ব্যর্থ হয়েছে। প্রতিবারই দেখা গিয়েছে যে অভিযান একেবারে শেষ পর্যায়ে সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে। অবতরণ প্রক্রিয়া চলার সময় চন্দ্রযান চাঁদের পৃষ্ঠে বিধ্বস্ত হয়েছে। লুনা-২৫ এর সঠিক সমস্যাটি এখনও জানা যায়নি। যদিও রোজকসমস-এর বিবৃতিতে বলা হয়েছে যে মহাকাশযানটি অবতরণের আগের কক্ষপথে যাওয়ার সময় যে গতিবেগের পরিবর্তন অনুভব করেছিল, তা নির্ধারিতর চেয়ে ভিন্ন। অন্য তিনটি দেশের অভিযানের ব্যর্থতার ক্ষেত্রে- ইসরোর চন্দ্রযান-২, ইজরায়েলের বেরেশিট এবং জাপানের হাকুটো-আর বিভিন্ন ত্রুটির কারণে তাদের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জন করতে পারেনি।

আরও পড়ুন- ‘শেষ ১৫ মিনিটের সন্ত্রাস’, চন্দ্রযানের সাফল্য নিয়ে কেন এখনও চিন্তায় ইসরো?

চিনের তিনটি অভিযান সফল
এই হিসেবে একমাত্র চিন ব্যতিক্রম। তারা ২০১৩ সালে তার প্রথম চেষ্টায় চাঙ্গা ৩-এর সফল অবতরণ ঘটিয়েছে। ২০১৯ সালে চাঙ্গা ৪ এবং ২০২০ সালে চাঙ্গা ৫ (যা ছিল একটি নমুনা নিয়ে ফিরে আসা) অভিযান সফল করেছে। আর, ভারতই একমাত্র দেশ যা ইতিমধ্যেই দ্বিতীয়বার চেষ্টা চালিয়েছে। এর আগের ব্যর্থতা থেকে শিখে চন্দ্রযান ৩-এ বেশ কিছু সুরক্ষার বৈশিষ্ট্য যুক্ত করা হয়েছে। এমন ব্যবস্থা করা হয়েছে, যাতে একটি ব্যবস্থা কাজ না-করলে অন্য ব্যবস্থায় সেই সমস্যার মোকাবিলা করা যায়। তবুও ইসরোর বিজ্ঞানীরা না-আঁচালে বিশ্বাস নেই এর মত শেষ মুহূর্তে কী হয়, তা নিয়ে চিন্তায়!

India russia Lunar Mission
Advertisment