Advertisment

Explained: সেজেছে উজ্জ্বয়িনী, সৌন্দর্য দেখে চোখ ঘোরাতে পারবেন না, জানেন কী হয়েছে?

এখনও অনেক কাজ বাকি। এর মধ্যেই ৩৫০ কোটি টাকা খরচ হয়ে গেছে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Mahakal Maharaj Mandir Parisar Vistar Yojna

উজ্জ্বয়িনীর মহাকাল করিডর। এই মহাকালেশ্বর করিডরের প্রথম পর্যায় তৈরিতে খরচ পড়েছে ৩৫০ কোটি টাকা। সেই কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে। চলুন এই প্রকল্প সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিই।

Advertisment

মহাকাল করিডর কী?

মহাকাল মহারাজ মন্দির পরিসর বিস্তার যোজনা একটি বিস্তার ও সৌন্দর্যায়ন প্রকল্প। মহাকালেশ্বর মন্দির এবং উজ্জ্বয়িনী এলাকার সংশ্লিষ্ট জায়গা থেকে ঘিঞ্জি পরিবেশের দূরীকরণ। এই প্রকল্প অনুযায়ী, ২.৮২ হেক্টরের মহাকাল মন্দিরের চত্বর বেড়ে হল ৪৭ হেক্টর। দুই পর্যায়ে উজ্জ্বয়ন জেলা প্রশাসন কাজ চালাচ্ছে। এই প্রকল্পের আওতায় ১৭ হেক্টরের রুদ্রসাগর হ্রদও পড়বে। বর্তমানে মহাকাল মন্দির দেখতে বছরে দেড় কোটি লোক আসেন। প্রকল্প শেষ হলে, সেটাই বেড়ে তিন কোটি হয়ে যাবে বলে আশা করছে প্রশাসন।

publive-image

মন্দির পরিসরের প্রথম পর্যায়ের বিস্তার

বিস্তার প্রকল্পের প্রথম পর্যায় অনুযায়ী, ভিজিটরস প্লাজার দুটি দরজা থাকবে। একটির নাম নন্দী দ্বার বা দরজা। অন্যটি পিনাকি দ্বার বা দরজা। প্রতিবারে ২০ হাজার দর্শনার্থী ভিজিটরস প্লাজায় প্রবেশ করতে পারবেন। দর্শনাথীদের মন্দিরে প্রবেশের পথ যাতে ভিড়ে ভিড়াক্কার হয়ে না-যায়, তারও ব্যবস্থা রাখা হয়েছে পরিকল্পনায়। প্রবেশ পথের বিভিন্ন জায়গায় গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে। প্রবেশপথে থাকছে মন্দির চত্বরে প্রবেশের জন্য টিকিট কাটার কেন্দ্র বা কিয়স্ক।

আরও পড়ুন- এবার সুপ্রিম ধাক্কা সোনালী চক্রবর্তীর, উপাচার্য পদে পুনর্নিয়োগ মামলায় হাইকোর্টের রায়ই বহাল

বিশাল এলাকাজুড়ে সৌন্দর্যায়ন

হেঁটে ৯০০ মিটার যেতে হবে দর্শনার্থীদের। সেই রাস্তা তৈরি হয়ে গিয়েছে। এই রাস্তা গিয়ে মহাকাল মন্দিরে মিশছে। ১০৮টি ভাস্কর্য এবং ৯৩টি মূর্তি করিডরে বসানো হয়েছে। যা থেকে শিবের বিয়ে, ত্রিপুরাসুর বধ, শিবপুরাণ, শিব তাণ্ডব-সহ বিভিন্ন বিষয়ে জানা যাবে। ফুটপাথ থাকছে। সঙ্গে, খাবারের দোকান, কেনাকাটার জায়গা, ফুলের দোকান, হস্তশিল্পের দোকানও থাকছে। মঙ্গলবার উজ্জয়িনীতে এক ক্যাবিনেট বৈঠকে মহাকাল করিডরের নাম বদলে হয়েছে মহাকাল লোক।

দ্বিতীয় পর্যায়ের পরিকল্পনাটা কী?

দ্বিতীয় পর্যায়ে বিস্তারের জন্য ৩১০.২২ কোটি টাকার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। মন্দিরের পূর্ব এবং উত্তর অংশে বিস্তারের কাজ এই দ্বিতীয় পর্যায়ে করা হবে। পাশাপাশি, মহারাজওয়াড়া, মহল গেট, হরিফটক ব্রিজ, রামঘাটের সামনের অংশ, বেগম বাগ রোড-সহ উজ্জয়িনী শহরের বিভিন্ন অঞ্চলের উন্নয়নও ঘটানো হবে।

Read full story in English

Mahakaleshwar Temple modi Ujjain DM
Advertisment