৮-এর দশকে যখন শিবসেনা প্রথমবার নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল, সেবার তারা পেয়েছিল ৭০এর কিছু বেশি আসন। ১৯৯৫ সালে মহারাষ্ট্রে মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন তাদের দলের।
বেলা আড়াইটে নাগাদ নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে দেখা যাচ্ছে শিবসেনা ৫৬টি আসনে এগিয়ে রয়েছে, যা ১৯৯৫ সালের পুনরাবৃত্তি বলেই মনে করা হচ্ছে।
রাজ্য সভার সাংসদ সঞ্জয় রাউত ঘোষণা করেছেন সেনা ও বিজেপি তাদের জোট অক্ষুণ্ণ রাখবে, তাঁদের হিসেব হবে ৫০-৫০।
আরও পড়ুন, পাহাড়ের রাস্তায় দৌড়ে তাক লাগালেন মমতা
সঞ্জয় রাউত আগ্রাসী হিসেবেই পরিচিত, মহারাষ্ট্রে সেনা কর্মীরা সারা রাজ্যে জয়ের আনন্দে মেতে ওঠায় তিনি আরও জোর পেয়েছেন। দেওয়ালের লিখন স্পষ্ট, ২৮৮ আসনের বিধানসভায় যদি সেনা ৮০টির বেশি আসন পায়, তাহলে বিজেপিকে তারা জোর ধাক্কা দেবে।
সরকারিভাবে সেনা তাদের সংখ্যা নিয়ে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া দেখায়নি। ২০১৭ সালের বৃহনমুম্বই ভোটের স্মৃতি এখনও তাঁদের কাছে ফিকে হয়ে যায়নি।
এবারের ভোটের বৈশিষ্ট্যই ছিল দুই গেরুয়াপন্থী রাজনৈতিক দলের নিজেদের মধ্যেকার লড়াই। সেনা ওরলি থেকে আদিত্য ঠাকরেকে দাঁড় করায়। তাদের আশঙ্কা ছিল আগ্রাসী বিজেপি রাজ্যের একক নেতৃত্বদায়ী হতে পারে।
অন্যদিকে বিজেপি সেনার সঙ্গে জোট করেছে একটি লক্ষ্য সামনে রেখে, তারা হিন্দুত্বের সমর্থকদের নিজেদের দিকে নিয়ে এসে মহারাষ্ট্রে শিবসেনাকে প্রান্তিক করে দিতে চায়।
আরও পড়ুন, জয়ী প্রার্থীদের দিল্লিতে জরুরি তলব মোদী-শাহর
কিন্তু সেনার ভাল ফল এবং বিজেপির আসন হ্রাস জোটে সেনার শক্তি বৃদ্ধি করবে। উপমুখ্যমন্ত্রীর পদের জন্য মুখিয়ে ছিল শিবসেনা, এবার তারা বিজেপির উপর এ নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়বে এবং বিজেপি সে দাবি পূরণও করতে পারে।
সেনা যদি আরও আসন পায়, তাহলে তারা ক্ষমতার বড় অংশের জন্য ঝাঁপাবে এবং আড়াই বছরের মুখ্যমন্ত্রিত্বের জন্য চাপ দেবে।
এবারের সেনার পক্ষে অধিক তাৎপর্যপূর্ণ ছিল আদিত্য ঠাকরের ভোটে দাঁড়ানো। এবারেই প্রথম ঠাকরে পরিবারের কেউ রাজ্য বিধানসভায় সফলভাবে আবির্ভূত হলেন।
Read the Full Story in English