মঙ্গলবার মহারাষ্ট্র ও গুজরাট, এই দুই রাজ্যে ৫০ জনেরও বেশি কোভিড-১৯ সংক্রমণের কারণে মৃত্যু হয়েছে। দেশে এই সংক্রমণে মোট মৃত্যুর সংখ্যা ১০০০ ছাড়াল। দুই রাজ্যে মোট মৃত্যুর ৬০ শতাংশ ঘটেছে।
আমেদাবাদে ফের একবার একদিনে ১৯ জনের মৃত্যুর খবর এসেছে, ফলে শহরে মৃত্যুর সংখ্যা ১২৯। দু দিন আগে এখানে ১৯ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছি। মহারাষ্ট্রে মোট ৩১ জনের মধ্যে ২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে মুম্বইতে। তাঁদের মধ্যে কেউ কেউ কয়েকদিন আগে মারা গিয়েছেন, কিন্তু তাঁদের টেসেটের রেজাল্ট এসেছে মঙ্গলবার। মহারাষ্ট্র ও গুজরাটে এই রোগে অন্তত ৫৮৩ জনের মৃত্যু ঘটেছে।
ভারতের সর্বত্র একই পরিমাণ টেস্টের প্রয়োজন নেই, বলছেন বিশেষজ্ঞ
করোনাভাইরাস সংক্রমণের দৈনিক বৃদ্ধি আরও একবার শীর্ষ স্পর্শ করেছে মঙ্গলবার, নতুন ১৯০৫ জনের দেহে সংক্রমণ ধরা পড়েছে। সাম্প্রতিক ধারার দিকে চোখ রাখলে দেখা যাবে, অধিকাংশ ঘটনাই ঘটেছে হাতে গোনা কয়েকটি রাজ্যে। মঙ্গলবার সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ঘটেছে মহারাষ্ট্র, গুজরাট, মধ্য প্রদেশ, দিল্লি ও তামিলনাড়ুতে- ১৯০৫টি নতুন সংক্রমণের মধ্যে ১৫০৩টি, অর্থাৎ প্রায় ৭৯ শতাংশ।
শুধু মহারাষ্ট্রে নতুন ৭২২টি সংক্রমণের খবর এসেছে, যেখানে গুজরাট, দিল্লি ও মধ্য প্রদেশে ২০০-র বেশি নতুন সংক্রমণ ঘটেছে। উত্তরপ্রদেশের অবস্থা এদিন একটু ভাল, মাত্র ৬৭টি নতুন সংক্রমণ ঘটেছে।
এরই সঙ্গে তুলনীয়, তিনটি পৃথক রাজ্যের ঘটনা- কেরালা, কর্নাটক ও তেলেঙ্গানা- যেখানে সংক্রমণ অধিক ছিল, সেখানে রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধির হার শ্লথ। তেলেঙ্গানায় মোট সংক্রমণ ১০০৭, সেখানে গত চারদিনে মাত্র ১৭টি নতুন সংক্রমণ ধরা পড়েছে। কর্নাটকে মোট রোগীর সংখ্যা ৫২৩, সেখানে গত চারদিনে মাত্র ২৩জন নতুন রোগীর সন্ধান মিলেছে। কেরালায় মোট রোগীর সংখ্যা ৪৮৫, সেখানে গত চারদিনে নতুন সংক্রমণ মাত্র ২৮।
শীর্ষ ১০ রাজ্য
ইতিমধ্যে সরকারি পরিসংখ্যান দেখাচ্ছে রেড জোন বা হটস্পটের সংখ্যা গত দু সপ্তাহে ১৭৭ থেকে কমে ১২৯-এ দাঁড়িয়েছে, অরেঞ্জ জোনের সংখ্যা ২০৭ থেকে বৃদ্ধি পেয়েছে ২৫০-এ, তার কারণ সম্ভবত, রেড জোনগুলি অরেঞ্জ জোনে পরিণত হচ্ছে।
হোম আইসোলেশনের ব্যাপারে কেন্দ্রীয় সরকারের নতুন গাইডলাইন
সরকার একইসঙ্গে জানিয়েছে দেশে মোট ২২ হাজার সক্রিয় সংক্রমিত থাকলেও, তাঁদের মধ্যে মাত্র ৮০ জনের ভেন্টিলেটরের প্রয়োজন হয়েছে। রবিবার পর্যন্ত ভারতের সংক্রমিতদের মাত্র ২.১৭ শতাংশকে ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে রাখার প্রয়োজন হয়েছে, ১.২৯ শতাংশের অক্সিজেন সাপোর্ট দরকার হয়েছে, মাত্র ০.৩৬ শতাংশের ভেন্টিলেটর সাপোর্ট প্রয়োজন হয়েছে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন