দিন দিন স্বস্তি দিচ্ছে দেশের করোনা গ্রাফ। এক ধাক্কায় অনেকটাই নিম্নমুখী দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। যার ফলে দেশে মোট অ্যাকটিভ কেসের সংখ্যাও কমে দাঁড়িয়েছে ৮ লক্ষের নিচে। যেটা গত আগস্ট মাসে ছিল। গত ২৪ ঘণ্টায় ৬২ হাজারের মতো নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন। যেখানে সুস্থ হয়েছেন ৭০ হাজারেরও বেশি। দৈনিক আক্রান্তের তুলনায় সুস্থতা এই নিয়ে টানা ১৪ দিন বেশি। যা একদিন থেকে অনেকটাই স্বস্তিদায়ক স্বাস্থ্যমন্ত্রকের কাছে। কিন্তু এর নেপথ্যে কোন কারণ!
গত ১৭ সেপ্টেম্বর দেশের মোট অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি ছিল। কিন্তু দেখা যাচ্ছে তারপর থেকে তা ক্রমশ নিম্নমুখী। গত এক মাসে ২.২৫ লক্ষ অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা কমেছে। এই সময়ের মধ্যে ২৯,৮০০ মৃত্যুও হয়েছে। যা অ্যাক্টিভ কেসের কমার ১৩ শতাংশ। বাকি ৮৭ শতাংশ হল সুস্থ হওয়ার তুলনায় খুব কম সংখ্যক মানুষ এখন অসুস্থ হচ্ছেন। তবে এর একটা অন্যতম কারণ, মহারাষ্ট্র। এই রাজ্যে অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা ৩ লক্ষ থেকে কমে ১.৯ লক্ষে গিয়ে দাঁড়িয়েছে। মহারাষ্ট্র ছাড়া কর্ণাটকই হল আরেকটি রাজ্য যেখানে অ্যাক্টিভ কেস এখন ১ লক্ষের বেশি।
আরও পড়ুন কোভিডের বাড়বাড়ন্ত কমাতে নয়া দাওয়াই, খোঁজ পেলেন গবেষকরা
করোনা সংক্রমিতের বৃদ্ধির হার এখন এক শতাংশেরও নিচে। যা সর্বনিম্ন গোটা দেশে। টেস্টের তুলনায় কোভিড পজিটিভ হওয়ার হারও মাত্র ৮ শতাংশ এখন। গত জুলাই মাসের মাঝামাঝি সময়ে এমন পরিসংখ্যান দেখা গিয়েছিল। পজিটিভ কেসের তুলনায় মৃত্যুহারও কমে হয়েছে ১.৫২ শতাংশ। সেটাও এখনও পর্যন্ত সর্বনিম্ন। সুস্থতার হার প্রায় ৯০ শতাংশ ছুঁইছুঁই। যা আশার আলো বইকী! এমনকী কেরালা, কর্ণাটকের মতো বহুল সংক্রমিত রাজ্যেও এখন অ্যাক্টিভ কেস কমছে। তবে দিল্লি ফের খারাপ দিকে যাচ্ছে। গত চারদিন ধরে গড়ে দৈনিক ৩ হাজারের মতো সংক্রমিত হচ্ছেন। যা আগের ১১ দিন নিম্নমুখী ছিল।
তবে ভারতে করোনার গ্রাফ নিম্নমুখী হলেও বিশ্বের একাধিক দেশে তা আবার ঊর্ধ্বমুখী। শুক্রবারই আমেরিকায় একদিনে ৫৯ হাজার মানুষ নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন। আগস্টের পর যা সর্বোচ্চ। ইউরোপিয়ান দেশগুলিতেও নতুন করে সংক্রমণ বৃদ্ধি চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। ব্রিটেন, স্পেন, ফ্রান্সে সংক্রমণ বাড়ছে।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন