Maldives’ pro-China PresidentMuizzu’s New Delhi visit: চিনপন্থী মু্ইজ্জুর প্রচারের জেরেই মালদ্বীপের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছে। রবিবার (৯ জুন), প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে সেই মুইজ্জুই উপস্থিত ছিলেন। কোনও প্রতিনিধি পাঠাননি। নিজেই চলে এসেছিলেন। শুধু তাই নয়, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ তিনি আলাদাভাবে বৈঠকও করেছেন ওই সময়ের মধ্যেই। যা বুঝিয়ে দিচ্ছে, মুইজ্জুর এই সফর রীতিমতো ইঙ্গিতবাহী। আর, তা ভারত-মালদ্বীপ সম্পর্কের গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত দিক হতে চলেছে।
‘ইন্ডিয়া আউট’
প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী মুইজ্জু গত বছরের ১৭ নভেম্বর 'ইন্ডিয়া আউট' প্রচারের মাধ্যমে মালদ্বীপের ক্ষমতায় আসেন। 'ইন্ডিয়া আউট' প্রচারাভিযান ২০২০ সালে মালদ্বীপের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম সোলিহের নীতির বিরুদ্ধে শুরু করেছিলেন মালদ্বীপের বিরোধীরা। তাঁদের অভিযোগ ছিল সোলিহ নয়াদিল্লির বন্ধু। তাই ভারত মালদ্বীপ থেকে নানা সুবিধা পায়। এমনকী, মালদ্বীপে ভারতীয় সেনার জওয়ানদেরও রাখা হয়েছে। এই অভিযোগ শীঘ্রই মালদ্বীপে ভারতের বিরুদ্ধে আন্দোলনে পরিণত হয়। সেই আন্দোলনের নেতৃত্বে ছিলেন মুইজ্জু। সোলিহ সরকার এবং ভারত অবশ্য মুইজ্জুদের এই সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছিল। কিন্তু, চিনের উসকানিতে তারপরও আন্দোলন থামাননি মুইজ্জুরা। আর, সেই আন্দোলনকে হাতিয়ার করেই তাঁরা দ্বীপপুঞ্জে ক্ষমতাতেও এসেছেন।
প্রচারে মুইজ্জুর প্রতিশ্রুতি
প্রেসিডেন্ট পদে প্রচারের সময়, মুইজ্জু বারবার 'বিদেশি' বা ভারতীয় সৈন্যদের ফেরত পাঠানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। শপথ নেওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তিনি মালদ্বীপ থেকে সমস্ত ভারতীয় সেনা প্রত্যাহারের দাবিও জানান ভারতের কাছে। ফলে, ভারতীয় সৈন্যদের যে কয়েকজন মালদ্বীপে দুটি হেলিকপ্টার পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য নিযুক্ত ছিলেন এবং আগেই ভারতের উপহার দেওয়া তিনটি ডর্নিয়ার বিমানের দেখভালের দায়িত্বে ছিলেন, তাঁরা নয়াদিল্লিতে ফিরে আসেন। বদলে, ওই সব কাজে মে মাসে বেসরকারি কর্মীদের নিযুক্ত করা হয়।
আরও পড়ুন- পিছনে কোন রহস্য? বিজেপি, এনডিএ শরিক, বিরোধীরা, সকলেই কাছের কাউকে স্পিকার পদে চাইছে
মুইজ্জুর চিনপন্থী ঝোঁক
তার পরামর্শদাতা, প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট আবদুল্লাহ ইয়ামিন আবদুল গাইয়ুমের শাসনকালে (২০১৩-২০১৮) ভারত-মালদ্বীপ সম্পর্কের চরম অবনতি হয়েছিল। সেই গাইয়ুমের মতই, মুইজ্জু প্রকাশ্যে ভারত মহাসাগরে ভারতের ভূ-রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী চীনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়িয়ে তোলেন। জানুয়ারিতে, মুইজ্জু প্রেসিডেন্ট হিসেবে তাঁর প্রথম বিদেশ সফরে নয়াদিল্লির পরিবর্তে বেইজিংকে বেছে নেন। যা মালদ্বীপের দীর্ঘ ঐতিহ্যকেই ভেঙে দেয়। মুইজ্জু চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে দেখা করেন। আর, পর্যটন থেকে সামাজিক ক্ষেত্র, আবাসন থেকে ই-কমার্স পর্যন্ত ২০টি চুক্তি স্বাক্ষর করেন।