Advertisment

মুসলমানদের সাহায্য না করা নিয়ে মানেকা গান্ধীর মন্তব্য: ধর্ম প্রসঙ্গে আদর্শ আচরণবিধি

নির্বাচন কমিশন এর আগেও ভোট চাইতে ধর্মকে ব্যবহার করার জন্য বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ সহ রাজনৈতিক নেতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। ২০১৪ সালের লোকসভা ভোটে প্রচারের সময়ে আদর্শ আচরণবিধি ভঙ্গ করেছিলেন অমিত শাহ।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Maneka Gandhi, Maneka Gandhi Muslim Vote Speech

"এক একটা বুথে আমি ৫০-১০০ টা ভোট পাব, আর তারপর তোমরা নিজেদের কাজের জন্য আসবে..."

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা প্রবীণ বিজেপি নেতা মানেক গান্ধী বলেছিলেন, যদি মুসলিমরা তাঁকে ভোট না দেয় তাহলে তিনি মুসলিমদের সাহায্য করতে চান না। আদর্শ আচরণবিধি লাগু থাকাকালীন তাঁর এই মন্তব্য খুঁটিয়ে দেখা হচ্ছে।

আদর্শ আচরণবিধি চলাকালীন কোনও দল বা প্রার্থী এমন কিছু করতে পারেন না, যার ফলে ধর্ম বা ভাষাভিত্তিক বিভিন্ন জাত ও সম্প্রদায়ের মধ্যেকার বিভাজন বৃদ্ধি পায় বা তৈরি হয় বা তাদের মধ্যে ঘৃণার বাতাবরণ সৃষ্টি হয়।

Advertisment

আরও পড়ুন, নির্বাচনী ইস্তেহার ও মানবাধিকার

ভোট পাওয়ার জন্য ধর্মকে ব্যবহার করা অথবা দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে সংহতি বিনষ্টকারী বিবৃতি দেওয়া নির্বাচনী বিধির বিরোধী এবং ১৯৫১ সালের জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের ১২৫ ধারা ও ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৫৩এ, ১৫৩ বি, ১৭১ সি, ২৯৪ এ এবং ৫০৫ (২) ধারা ও ১৯৮৮ সালের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান আইন অনুসারে অপরাধযোগ্য।

মানেকার বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসন তাঁর বিরুদ্ধে নোটিস জারি করেছে।

একটি ভিডিওয় দেখা যাচ্ছে, সুলতানপুরে গৌরবারিক গ্রামে মুসলিম ভোটারদের উদ্দেশে Iমানেকা গান্ধী বলছেন, "আমি জিতছি, আমি জিতছি... মানুষের সাহায্যে, মানুষের ভালবাসায় আমি জিতছি। কিন্তু যদি আমি মুসলমানদের ভোট ছাড়াই জিতি, তাহলে আমার খুব ভাল লাগবে না। তেমনটা হলে মনটা তেতো হয়ে যায়। এর পর মুসলমানরা যখন কাজের জন্য আসে, আমার মনে হয় কী হবে করে, কী আসে যায়! চাকরি তো শেষ পর্যন্ত দোকানদারিই, ঠিক কী না! এমন তো নয় যে আমরা সবাই মহাত্মা গান্ধীর মত নই, যে শুধু দিয়েই যাব, দিয়েই যাব। আর তারপর ভোটে মার খেতেই থাকব, খেতেই  থাকব।"

সুলতানপুরে ভোট হবে ১২ মে। এখানে মোট ১১.৫৭ লক্ষ ভোটার রয়েছেন, এঁদের মধ্যে প্রায় চারলক্ষ মুসলমান।

আরও পড়ুন, নরেন্দ্র মোদী বা রাহুল গান্ধী আপনার এলাকা চালাবেন না: প্রকাশ রাজ

আজিকোড়ের মুসলিম লিগ বিধায়ক কে এম শাজির বিরুদ্ধে ২০১৬ সালের বিধানসভা ভোটে ধর্মকে ব্যবহার করার অভিযোগ উঠেছিল ২০১৮ সালে কেরালা হাইকোর্ট তাঁকে ৬ বছরের জন্য খারিজ করে দেওয়া হয়। আদালত নির্বাচন কমিশনকে তাঁর বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থাও নিতে বলে।

নির্বাচন কমিশন এর আগেও ভোট চাইতে ধর্মকে ব্যবহার করার জন্য বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ সহ রাজনৈতিক নেতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। ২০১৪ সালের লোকসভা ভোটে প্রচারের সময়ে আদর্শ আচরণবিধি ভঙ্গ করেছিলেন অমিত শাহ। তাঁর বিরুদ্ধে ফৌজদারি ব্যবস্থাগ্রহণ করতে বলা হয় উত্তরপ্রদেশ সরকারকে। নিঃশর্ত ক্ষমাপ্রার্থনার পর তাঁকে ছাড় দেওয়া হয়।

সমাজবাদী পার্টি আজম খানকেও দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে সংহতি বিনষ্ট করার অভিযোগে আদর্শ আচরণবিধি ভঙ্গের কারণে জনসভা থেকে নিষিদ্ধ করা হয়, কিনতু তিনি ক্ষমাপ্রার্থনা না করায়, গোটা নির্বাচন চলাকালীন তাঁর বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকে।

Read the Full Story in English

General Election 2019 election commission bjp
Advertisment