Advertisment

মুখ ঢাকা বাধ্যতামূলক, থুথু ফেলা নিষিদ্ধ- ভারতের নয়া বিধিসমূহ

গাইডলাইনে বলা হয়েছে সমস্ত জনবহুল স্থান ও অফিসে এবং বিয়ে বা অন্ত্যেষ্টির মত জমায়েতেও মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক। একই সঙ্গে জানানো হয়েছে, জনবহুল স্থানে থুথু ফেলা জরিমানা যোগ্য এবং গুটখা, তামাক বা মদ বিক্রি কঠোরভাবে নিষিদ্ধ।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

জনসমক্ষে থুথু ফেললে জরিমানা হবে, সমস্ত কাজের জায়গায় কর্মীদের শরীরের তাপমাত্রা মাপতে হবে এবং সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে হবে

কর্মক্ষেত্রে বা জনসমক্ষে সর্বদা মুখ ঢেকে রাখতে হবে। জনসমক্ষে থুথু ফেললে জরিমানা হবে, সমস্ত কাজের জায়গায় কর্মীদের শরীরের তাপমাত্রা মাপতে হবে এবং সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে হবে।

Advertisment

বুধবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফ থেকে কোভিড ১৯ মোকাবিলায় যে নির্দেশিকা জারি হয়েছে, এগুলি তার অন্যতম।

এসব পদক্ষেপ সেইসব ক্ষেত্রেই লাগু হবে, যেসব ক্ষেত্রকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের সাম্প্রতিকতম গাইডলাইন অনুসারে ছাড় দেওয়া হয়েছে। আগামী কয়েকমাস করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় সারা দেশে এই পদক্ষেপগুলি নেওয়া হতে চলেছে।

খাবার থেকে কি করোনা সংক্রমণ হতে পারে?

এই নির্দেশিকার সংযোজনীতে জাতীয় নির্দেশাবলী এবং অফিস, কর্মক্ষেত্র, কারখানা ও সংস্থার জন্য সাধারণ চালিকাবিধিতে বলা হয়েছে, সারা দেশ জুড়ে জেলাশাসকেরা ২০০৫ সালের বিপর্যয় মোকাবিলা আইনের মাধ্যমে জরিমানা ও শাস্তির মাধ্যমে এই আইন লাগু করবেন।

একই সঙ্গে এই নির্দেশিকায় পরিচ্ছন্নতা, জ্বর মাপা এবং সামাজিক দূরত্বের উপর জোর দেওয়া হয়েছে। কিছু রাজ্য এ ব্যাপারে ইতিমধ্যেই পদক্ষেপ করলেও মাস্কের ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা এবং জনসমক্ষে থুথু ফেলা নিষিদ্ধ করার আইন এবার সারা দেশে জারি হবে, যা আইনিভাবে কার্যকর হবে বিপর্যয় মোকাবিলা আইনের মাধ্যমে।

কোভিড ১৯-এর সময়ে সাইবার জালিয়াতিতেও নজর রাখা জরুরি

জাতীয় নির্দেশিকা অনুসারে গাইডলাইনে বলা হয়েছে সমস্ত জনবহুল স্থান ও অফিসে এবং বিয়ে বা অন্ত্যেষ্টির মত জমায়েতেও মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক। একই সঙ্গে জানানো হয়েছে, জনবহুল স্থানে থুথু ফেলা জরিমানা যোগ্য এবং গুটখা, তামাক বা মদ বিক্রি কঠোরভাবে নিষিদ্ধ।

সাধারণ চালিকাবিধিতে অফিস, কর্মক্ষেত্র এবং কারখানায় বড় মিটিং নিষিদ্ধ করা হয়েছে এবং বলা হয়েছে কর্মক্ষেত্রে ঢোকা ও বেরোনোর সময়ে জ্বর মাপা বাধ্যতামূলক।

নথিতে বলা হয়েছে, “যেসব কর্মীরা বাইরে থেকে আসছেন, তাঁদের পরিবহণের জন্য গণপরিবহণের উপর নির্ভর না করে বিশেষ পরিবহণের বন্দোবস্ত করতে হবে এবং এই যানগুলিতে পুরোসংখ্যক কর্মীর ৩০ থেকে ৪০ শতাংশকে আনা-নেওয়া করা যাবে।”

গাইডলাইনে বলা হয়েছে, কর্মীদের স্বাস্থ্যবিমা থাকা বাধ্যতামূলক, ১০ বা তার বেশি সংখ্যক ব্যক্তিকে নিয়ে মিটিং করার ব্যাপারে নিরুৎসাহ করা হয়েছে এবং লিফটে এক সঙ্গে ২ থেকে ৪ জনের বেশি (আকারের উপর নির্ভরশীল) যাতে না চড়েন তাও দেখতে বলা হয়েছে।

কাজের জায়গায় মধ্যাহ্নভোজের বিরতি নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে, দুটি শিফটের মাঝে এক ঘণ্টার বিরতি দিয়ে সেই অন্তর্বর্তী সময়ে পরিচ্ছন্নতার কাজ করতে বলা হয়েছে। গাইডলাইনে বলা হয়েছে, ৬৫-র বেশি বয়সী, যাঁদের অন্য অসুখ রয়েছে এবং যাঁদের সন্তানের বয়স পাঁচের কম, তাঁদের পক্ষে বাড়ি থেকে কাজ করায় উৎসাহ দেওয়া উচিত।

গর্ভস্থ শিশুও কোভিড ১৯ সংক্রমিত হতে পারে?

নির্মাণকারী যে সব সংস্থা রয়েছে সেখানে বাধ্যতামূলক ভাবে হাত ধোয়া এবং সকলের ব্যবহার্য সারফেস বারবার পরিষ্কার করবার কথা বলা হয়েছে।

গাইডলাইনে আরও বলা হয়েছে নিকটবর্তী কোন হাসপাতাল বা ক্লিনিকে কোভিড ১৯ চিকিৎসা হচ্ছে তা চিহ্নিত করে রাখতে হবে এবং সে তালিকা সর্বদা হাতের কাছে রাখতে হবে।

ওই গাইডলাইনে সমস্ত সরকারি ও বেসরকারি ক্ষেত্রের কর্মীদের আরোগ্য সেতু অ্যাপ ব্যবহার করতে বলা হয়েছে।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

coronavirus
Advertisment