রবিবার, দোহার লুসাইল স্টেডিয়ামে ফুটবলের একটি গৌরবময় রাতের পরে, লিওনেল মেসি অবশেষে ফ্রান্সের বিপক্ষে ফাইনালে আর্জেন্টিনাকে জয়ী করেছেন। ফিফা বিশ্বকাপ ট্রফি ঘরে তোলার সুযোগ পেয়েছে আর্জেন্টিনা। তার প্রথম বিশ্বকাপ টুর্নামেন্ট খেলার পর ১৬ বছরেরও বেশি সময় লাগল, মেসির বিশ্বকাপ জিততে। কিন্তু, মেসিরা ট্রফিটা আর্জেন্টিনায় নিয়ে যেতে পারছেন না।
জুলে রিমে ট্রফি
ফিফার প্রাক্তন সভাপতি জুলে রিমের সম্মানে মূল বিশ্বকাপ ট্রফিটিকে জুলে রিমে ট্রফি বলা হয়। বিশ্বকাপের মতো একটি বিশ্ব ফুটবল টুর্নামেন্টের ধারণা তৈরিতে রিমের ভূমিকা ছিল। ১৯৩০ সালে প্রথম ফুটবল বিশ্বকাপ থেকে ১৯৭০ পর্যন্ত ট্রফিটি সোনার প্লেটে মোড়া রুপো দিয়ে তৈরি ছিল। যার ওজন ছিল ৩.৮ কেজি। সেটা চ্যাম্পিয়নদের দেওয়া হয়েছিল। সেই সময়ে, ফিফার একটি নিয়ম ছিল যে দেশ তিনবার বিশ্বকাপ জিতেছে, এমন দেশকে আসল ট্রফি রাখার অনুমতি দেওয়া হবে। এইভাবে, ব্রাজিল তাদের তৃতীয় শিরোপা ১৯৭০ সালে জেতার পর জুলে রিমে ট্রফি ঘরে তোলে।
ট্রফিটি চুরি যায়
১৯৮৩ সালে, ব্রাজিল ১৯৭০ সালে যে জুলে রিমে ট্রফিটি নিয়েছিল সেটি রিও ডি জেনেরিওতে ব্রাজিলিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনের সদর দফতরের একটি ডিসপ্লে কেস থেকে চুরি হয়ে যায়। আজ পর্যন্ত, এটি উদ্ধার করা যায়নি। মনে করা হয় যে ট্রফিটি গলিয়ে তার সোনা বিক্রি করা হয়েছে। ওই ট্রফি শুধুমাত্র নীচের অংশটা পাওয়া গিয়েছে। বর্তমানে সেটা সুইজারল্যান্ডের জুরিখে ফিফা বিশ্বকাপ ফুটবল জাদুঘরে প্রদর্শিত হচ্ছে। প্রসঙ্গত, এটি ছিল ট্রফি চুরির দ্বিতীয় ঘটনা।
আরও পড়ুন- ব্যাপক হারে বাড়তে চলেছে চিনের করোনা সংক্রমণ, কেন এমনটা ঘটছে?
তার আগেও ট্রফিটি চুরি গিয়েছিল
এর আগে, ১৯৬৬ সালে, ইংল্যান্ড আয়োজিত বিশ্বকাপের আগে, লন্ডনে একটি প্রকাশ্য প্রদর্শনীর সময় এটি চুরি হয়েছিল। যাইহোক, ট্রফিটি পুনরুদ্ধার করা হয়েছিল মাত্র সাত দিন পরেই। একটি শহরতলির বাগানে সংবাদপত্রে মোড়ানো অবস্থায় ট্রফিটি পাওয়া গিয়েছিল। আর, তা উদ্ধার হয়েছিল পিকলস নামে একটি কুকুরের সাহায্যে।
ফিফা বিশ্বকাপ ট্রফি
১৯৭৪ সাল থেকে, চ্যাম্পিয়নদের ফিফা বিশ্বকাপ ট্রফি দেওয়া হচ্ছে। এটা জুলে রিমে ট্রফির বদলে চালু হয়েছে। শিল্পী সিলভিও গাজানিগা ট্রফিটির ডিজাইন করেছেন। আর, ৬.১৭৫ কেজি ওজনের এই ট্রফিতে ৪,৯২৭ গ্রাম খাঁটি সোনা আছে। যাইহোক, আজকাল, বিজয়ীরা ট্রফি বলতে সোনার প্লেট দেওয়া ব্রোঞ্জের রিপ্লেকা পায়। আসল ট্রফি বিজয়ী দেশকে সেদেশে নিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয় না। এটি প্রধানত ট্রফির নিরাপত্তাজনিত উদ্বেগের থেকেই। বিশেষ করে অতীতে চুরির দুটি ঘটনার কারণে। আসল বিশ্বকাপ ট্রফিটি ফিফা বিশ্ব ফুটবল জাদুঘরে প্রদর্শিত হয়।
Read full story in English