Agalega Island: মরিশাসের রাজধানী পোর্ট লুইসের উত্তরপ্রান্ত থেকে আগালেগার দূরত্ব ১,১০০ কিলোমিটার। আর মালদ্বীপের রাজধানী মালের দক্ষিণ-পশ্চিম প্রান্ত থেকে আগালেগার দূরত্ব ২,৫০০ কিলোমিটার।
Agalega Island: মরিশাসের রাজধানী পোর্ট লুইসের উত্তরপ্রান্ত থেকে আগালেগার দূরত্ব ১,১০০ কিলোমিটার। আর মালদ্বীপের রাজধানী মালের দক্ষিণ-পশ্চিম প্রান্ত থেকে আগালেগার দূরত্ব ২,৫০০ কিলোমিটার।
Airstrip-India: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং মরিশাসের প্রধানমন্ত্রী প্রবিন্দ জুগনাউথ ২০২৪ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারি, একটি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মরিশাসের আগলেগা দ্বীপে যৌথভাবে বেশ কয়েকটি ভারত-সহায়ক উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করেছেন। (পিটিআই ছবি)
Agalega Island & India: চলতি সপ্তাহের গোড়ায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও মরিশাসের প্রধানমন্ত্রী প্রবিন্দ জগনাউথ যৌথভাবে একটি এয়ারস্ট্রিপ এবং একটি জেটি উদ্বোধন করেছেন। এর মধ্যে সেন্ট জেমস জেটিটি ভারত মহাসাগরের আগালেগা দ্বীপে তৈরি হয়েছে। এর পাশাপাশি, ওই অনুষ্ঠানে আরও উন্নয়ন প্রকল্পেরও উদ্বোধন করা হয়েছে। মরিশাসের প্রধান উত্তর দ্বীপ এবং অপেক্ষাকৃত ছোট দক্ষিণ দ্বীপের জন্য এই আগালেগা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মরিশাসের রাজধানী পোর্ট লুইসের উত্তরপ্রান্ত থেকে আগালেগার দূরত্ব ১,১০০ কিলোমিটার। আর মালদ্বীপের রাজধানী মালের দক্ষিণ-পশ্চিম প্রান্ত থেকে আগালেগার দূরত্ব ২,৫০০ কিলোমিটার।
Advertisment
মালদ্বীপের মত এখানেও ভারত-বিরোধী প্রচার গত কয়েক বছর ধরেই ভারতীয় মহাসাগরে আগালেগাকে সামরিক ঘাঁটি হিসেবে গড়ে তোলার চেষ্টা চালাচ্ছে ভারত। এমন খবর বারবার সামনে এসেছে। তবে, এই অভিযোগ বারবারই অস্বীকার করেছেন মরিশাসের প্রধানমন্ত্রী জগনাউথ। তাঁর পালটা অভিযোগ, কিছু ভারত-বিরোধী শক্তি এসব কথা বলে আসলে ভারতের বিরুদ্ধে প্রচার চালাচ্ছে। আর, ভারতের বক্তব্য অত্যন্ত পরিষ্কার। ভারত বলেছে, ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশীর মধ্যে মরিশাস অন্যতম। সেই কারণে ভারতের কাছে মরিশাসের বিশেষ মর্যাদা রয়েছে। দুই দেশ, 'ভিশন সাগর' প্রকল্পের অংশীদার। শুধু তাই নয়, দুই দেশের মধ্যে এক- 'প্রাণবন্ত, শক্তিশালী, অনন্য অংশীদারিত্ব রয়েছে।'
ভারতের কাছে আগালেগা এয়ারস্ট্রিপের গুরুত্ব আপগ্রেড করা এয়ারস্ট্রিপ এবং জেটি হল, মূলত ভারত-মরিশাস কৌশলগত প্রকল্প। এই প্রকল্প ভারত মহাসাগরে ভারতের ক্ষমতাকে প্রসারিত করবে। আফ্রিকার পূর্ব উপকূলের জলসীমা পর্যন্ত ভারতের ক্ষমতাকে বাড়িয়ে নিয়ে যাবে। একইসঙ্গে, এই অঞ্চলে ক্রমবর্ধমান চিনের প্রভাবকে রুখে দেবে। উত্তর আগালেগা দ্বীপে আগের এয়ারস্ট্রিপটি ভারতীয় নৌবাহিনীর ডর্নিয়ার এয়ারক্রাফট বিমান চালানোর জন্য উপযুক্ত ছিল। কিন্তু, আপগ্রেড করা এয়ারস্ট্রিপটি, ভারতীয় নৌবাহিনীর বড় বিমান চলাচলের জন্য উপযুক্ত। এই দ্বীপে স্থায়ীভাবে বিমান রাখার জন্য আরও পরিকাঠামো বৃদ্ধি করা দরকার। সেটা হলে, আগালেগাকে পূর্ণাঙ্গ নৌঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে।
ভারতের লক্ষ্য আগালেগা থেকে পরিচালিত, ভারতীয় নৌবাহিনীর দূরপাল্লার বিমানগুলোকে, পশ্চিম এবং দক্ষিণ ভারত মহাসাগরে এবং আফ্রিকার পূর্ব ও দক্ষিণ উপকূলে নজর রাখতে ব্যবহার করা হবে। এই অঞ্চলে ভারতের সামুদ্রিক ক্ষমতাকে উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়াতে কাজে লাগানো হবে। একইসঙ্গে ভারতের সামুদ্রিক অভিযানের ক্ষমতা এবং সামুদ্রিক মালপত্র বহনের ক্ষমতাকেও এই সব বিমানের মাধ্যমে বৃদ্ধি করা হবে।