/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2023/02/Shaktikanta-Das.jpg)
রিজার্ভ ব্যাংকের গভর্নর শক্তিকান্ত দাস
রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া (আরবিআই)-এর মুদ্রানীতি কমিটি (এমপিসি) বুধবার মূল নীতির হার, রেপো রেট বা যে হারে আরবিআই ব্যাংকগুলোকে ধার দেয়, তা ২৫ বেসিস পয়েন্ট বাড়িয়ে ৬.৫০ শতাংশ করেছে। লক্ষ্য খুচরো বাজারে মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ। রিজার্ভ ব্যাংকের এই সিদ্ধান্তের ফলে সমস্ত বাহ্যিক বেঞ্চমার্ক লিংকযুক্ত (রেপো রেটের ওপর ভিত্তি করে) ঋণ অবিলম্বে ব্যয়বহুল হবে বলে মনে করা হচ্ছে। আরবিআই আগামী অর্থবছরে জিডিপি বৃদ্ধির অনুমান করেছে ৬.৪ শতাংশ। একইসঙ্গে মুদ্রা নীতি কমিটি মনে করছে আগামী অর্থবর্ষে খুচরো বাজারে মুদ্রাস্ফীতি বেড়ে হবে ৫.৩ শতাংশ।
রেপো রেট বাড়ানোর সিদ্ধান্ত কি সর্বসম্মত ছিল?
রেপো রেট বাড়ানোর সিদ্ধান্ত সর্বসম্মত ছিল না। আরবিআইয়ের নীতি প্যানেলের ৪:২ সমর্থনে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। ২০২২ সালের মে থেকে এই নিয়ে ছ'বার এমপিসি সদস্য অসীমা গোয়েল এবং জয়ন্ত আর ভার্মা রেপো রেট বৃদ্ধির বিরুদ্ধে ভোট দিলেন। মুদ্রানীতি কমিটি সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে আবাসন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তও বহাল রেখেছে। রেপো রেটের মত এক্ষেত্রেও অসীমা গোয়েল ও জয়ন্ত আর ভার্মা সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধেই মত দিয়েছেন। তবে, মুদ্রানীতি কমিটির সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশের দাবি, মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এই সিদ্ধান্ত বহাল রাখা জরুরি।
এর প্রভাব কী?
মুদ্রা নীতি কমিটি মনে করছে, আগামী দিনে তহবিলের ব্যয় আরও বাড়তে পারে। পাশাপাশি, ব্যাংকগুলোর ঋণের হারও বাড়বে বলেই মনে করছেন কমিটির সদস্যরা। একইসঙ্গে বাড়বে যানবাহন, বাড়ি এবং ব্যক্তিগত ঋণের ইএমআই। এর কারণ হল, ব্যাংকগুলোর এক্সটার্নাল বেঞ্চমার্ক লিংকড লেন্ডিং রেট (ইবিএলআর) ২৫ বেসিস পয়েন্ট বাড়বে। এক বেসিস পয়েন্ট হল শতাংশের একশত ভাগ। ঋণগুলি রেপো রেটের সঙ্গে যুক্ত। মোট ঋণের ৪৩.৬ শতাংশ এখন রেপো রেটের সঙ্গে যুক্ত।
আরও পড়ুন- উত্তাল বিধানসভা, ফুঁসছেন বিজেপি বিধায়করা, রাজ্যপালকেই বললেন ‘গো ব্যাক’
তহবিল-ভিত্তিক ঋণের হারের প্রান্তিক ব্যয় (এমসিএলআর), যা ব্যাংকগুলোর লোন পোর্টফোলিওর ৪৯.২ শতাংশের জন্যই দায়ী, সেই এমসিএলআরও বাড়বে বলেই মনে করছে মুদ্রা নীতি কমিটি। এই বৃদ্ধি দেশের মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সহায়ক হবে বলেই মুদ্রা নীতি কমিটি মনে করছে।
Read full story in English