মৌসুমি বায়ুর গতি এ বছর কেমন, কীভাবেই বা গোটা দেশ জুড়ে ছড়িয়ে পড়বে তা?
দক্ষিণপশ্চিম মৌসুমি বায়ু হিমালয়ের পাদদেশে পৌঁছে গিয়েছে। তার জেরে দেশের উত্তর ও উত্তরপূর্বাঞ্চলে ব্যাপক বৃষ্টিপাত হচেছে। ভাল বৃষ্টিপাতের খবর আসছে উত্তর প্রদেশ, বিহার এবং দিল্লির বিভিন্ন জায়গা থেকেও। নতুন করে মৌসুমি বায়ু আসায় কেরালা, দাক্ষিণাত্যের বিভিন্ন অঞ্চল ও পশ্চিম উপকূল এ সপ্তাহে নতুন করে বৃষ্টিপাত হবে বলে আশা করা যায়। আগামী কয়েক দিনে মৌসুমি বায়ু দুর্বল হয়ে পড়বে। ২৫ জুলাই নাগাদ একটি নিম্নচাপ তৈরি হয়ে মৌসুমি বায়ুকে ফের সক্রিয় করে তুলবে বলে মনে করা হচ্ছে। মৌসুমি বায়ুর ক্ষেত্রে এ ধরনের ওঠা-পড়া ঘটেই থাকে।
আরও পড়ুন, কুলভূষণ যাদব নিয়ে আন্তর্জাতিক আদালত, সময়রেখা
তবে মুশকিল হল এ মরশুমে গোটা প্রক্রিয়াটাই শুরু হয়েছে বিলম্বে। বায়ু ঘূর্ণিঝড় দুর্বল হওয়ায় মৌসুমিবায়ুর গতিও বিলম্বিত হয়ে পড়েছিল। এর পর ফের মৌসুমি বায়ু গা ঝাড়া দিয়ে উঠেছে এনং সব মিলিয়ে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ভালই। জুলাইয়ের শেষাশেষি সারা দেশে মৌসুমি বায়ু সক্রিয় হয়ে উঠবে।
বিগত বছরগুলোয় কী ভাবে বদলে যাচ্ছে মৌসুমিবায়ুর চরিত্র?
গত দেড়শ বছরের যে বৃষ্টিপাতের হিসেব পাওয়া যায়, তাতে তেমন কোনও অদলবদল ঘটেনি। কেউ যদি বলে গত ১০ বছরে দীর্ঘমেয়াদী গড়ের হিসেবে কম বৃষ্টি হয়েছে তাহলে বলার কয়েক বছরের জন্য এমনটা অস্বাভাবিক নয়। এই ধারা কয়েক বছর চলতেই পারে। তব অনেক বছর ধরে আমরা এই ধারাতেই রয়েছি। ভাল হত যদি আমরা ১০ থেকে ১৫ বছরের মধ্যে নিম্ন মৌসুমিবায়ুর কাল থেকে ইতিবাচক মৌসুমিবায়ুকালের মধ্যে প্রবেশ করতাম, কিন্তু তেমনটা ঘটেনি। বিজ্ঞানীরা এই নিম্ন মৌসুমিবায়ুকালের কারণ অনুসন্ধান করছেন। এর অর্থ হল এমনটাই ধরে নিতে হবে যে স্বাভাবিকের চেয়ে কম বৃষ্টি হবে এখন। এর ফলে খরা পরিস্থিতি তৈরি হবে এমন নয়, কিন্তু সরল ভাবে বললে দীর্ঘ মেয়াদি গড়ের ৯৫ থেকে ৯৭ শতাংশ বৃষ্টি হবে। এবং এও সত্যি যে মৌসুমিবায়ু ইতিবাচক কালের দিকে কবে নাগাদ যাবে, তা অজ্ঞাত।
আরও পড়ুন, হাফিজ সইদের গ্রেফতারির ইতিহাস
পূর্বাভাসের ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য ভারতের প্রযুক্তিগত কী বদল আনা উচিত?
আমরা এখন ১২ কিমি গ্রিড নিয়ে কাজ করি। এর অর্থ হল আমরা প্রতি ১২ কিলোমিটারের তথ্য পেতে থাকি। ভারতের এই মডেল এখন বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ মডেল।
আঞ্চলিক স্তরে ৪ কিলোমিটারের মডেল নিয়েও কাজ করা হয়। এ ছাড়া ৩৩০ মিটারের মডেলও রয়েছে যা দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মূলত কুয়াশার পূর্বাভাস পাওয়ার জন্য ব্যবহার করা হয়।
আরও পড়ুন, এনআইএ সংশোধনী বিল: বদলগুলি কী কী
এখন আমাদের মধ্যে আলাপ-আলোচনা-উদ্যোগ চলছে কীভাবে আরও বেশি শক্তিসঞ্চয়কারী প্রযুক্তি ব্যবহার করা যায়। কারণ উচ্চ মানের কম্পিউটার ব্যবহার করার কোটি কোটি টাকার বিদ্যুতের বিল দিতে হয় এখন।
Read the Full Story in English