Advertisment

Explained: ইরানে অ্যাটর্নি জেনারেল জানাচ্ছেন নীতি পুলিশ বিভাগ উঠে গেছে, নীরব স্বরাষ্ট্র দফতর

পথেঘাটে ব্যাপক বিক্ষোভ, তার মধ্যেই ইরানে বাতিল নীতি পুলিশ বিভাগ।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Iranian women, Hijab protest, Mahsa Amini, death in detention, Morality Police

রবিবারই ইরান সেদেশের নীতি পুলিশ বিভাগ বন্ধ করে দিয়েছে। এমনটাই জানিয়েছেন ইরানের অ্যাটর্নি জেনারেল জাফর মনটাজেরি। এই নীতি পুলিশের হেফাজতেই সেপ্টেম্বরে মৃত্যু হয়েছিল বছর ২২-এর তরুণী মাহসা আমিনির। তবে, ইরানের অ্যাটর্নি জেনারেল নীতি পুলিশ বিভাগ বন্ধের কথা জানালেও সেদেশের স্বরাষ্ট্র দফতর এই নিয়ে কিছুই বলেনি। আর, ইরানের সরকারি গণমাধ্যম জানিয়েছে, পুলিশ বিভাগ সরকারি আইনজীবী দেখেন না। তাই, বাহিনী তুলে দেওয়া নিয়ে তাঁর বক্তব্যের কোনও গুরুত্ব নেই।

Advertisment

টানা বিক্ষোভ
আর, এতেই উঠছে প্রশ্ন। গত দু'মাসে টানা বিক্ষোভে উত্তাল ইরান। ১৯৭৮ এবং ১৯৭৯-এর পর আর পথে নেমে এতবড় বিক্ষোভ দেখেনি ইরান। তাহলে কি পথে নেমে আসা বিক্ষোভ সামলাতেই নীতি পুলিশের বাহিনী তুলে দেওয়ার কথা জানালেন ইরানের অ্যাটর্নি জেনারেল? জাফর মনটাজেরি অবশ্য জানিয়েছেন, তেমনটা নয়। বরং, নিজের বক্তব্যে অনড় থেকে তিনি বলেন, 'যারা এই নীতি পুলিশ বিভাগ চালু করেছিল, তারাই এর অবসান ঘটিয়েছে। পার্লামেন্ট এবং বিচার বিভাগ এই ব্যাপারে কাজ করছে।'

নীতি পুলিশ
ইরানের এই নীতি পুলিশ বিভাগের নাম গাস্ত-ই ইরশাদ। এই বিভাগ দেখভাল করেন ইরানের শীর্ষ ধর্মীয় নেতা আয়াতোল্লাহ আলি খামেনেই। তবে, নির্বাচিত সরকারেরও এই নীতি পুলিশের ব্যাপারে এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। বিশেষ করে ভূমিকা রয়েছে ইরানের স্বরাষ্ট্র দফতরের। এই পুলিশ বিভাগে পুলিশদের পাশাপাশি মহিলারাও রয়েছেন। এই নীতি পুলিশই মাহসা আমিনি মাহসা আমিনিকে আটক করেছিল। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, তিনি ঠিকমতো হিজাব বা মাথার স্কার্ফ পরেননি। পরে পুলিশের হেফাজতের আমিনির মৃত্যু হয়।

আরও পড়ুন- একই অভিযোগে খালিদের বিরুদ্ধে হাজারো মামলা, ক্ষুব্ধ হয়েই জামিন বিচারপতির

দায় অস্বীকার
ইরান পুলিশ অবশ্য আমিনির মৃত্যুর দায় অস্বীকার করেছে। কিন্তু, মৃত্যুর সময় ২২ বছরের ওই তরুণীর শরীরে মারধরের চিহ্ন ছিল। তাঁকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে বলেই তাঁর পরিবারের লোকজন অভিযোগ করেছে। এরপরই প্রশাসনের বিরুদ্ধে ইরানজুড়ে বিক্ষোভ শুরু হয়। সেই বিক্ষোভ কড়া হাতে দমনের চেষ্টা করে ইরান পুলিশ। কিন্তু, বিষয়টি ইরান প্রশাসনের হাতের বাইরে বেরিয়ে যায়। গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে যায় মাহসা আমিনির নাম। আমেরিকা, ইজরায়েল-সহ বিভিন্ন দেশ ইরানের বিক্ষোভকে সমর্থন করে।

Read full story in English

police Iran Arrest
Advertisment