টুইটারে বিবাদ চলছেই। বেশিরভাগ কর্মীই এখন পদত্যাগ করতে প্রস্তুত। ইলন মাস্ক তাঁর শেষ ইমেলে কর্মীদের বলেছেন, হয় ব্যাপক পরিশ্রম করুন। অথবা, টুইটার ছাড়ুন। আর, তারপরই প্রায় সব কর্মীই চাকরি ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, মাস্কের ওই ইমেলের পর ৮০ শতাংশ কর্মীই চাকরি ছেড়ে দিতে প্রস্তুত। পরিস্থিতি দেখে পিছু হঠেছেন মাস্কও। তিনি কর্মীদের কাছে চাকরি ছেড়ে না-যাওয়ার জন্য আবেদন করেছেন। বিশেষ করে সংস্থার গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকা ব্যক্তিরা যাতে চাকরি না-ছাড়েন, তেমন আবেদনই কর্মীদের প্রতি জানিয়েছেন টুইটার কর্তা।
কর্মীদের কী ইমেল করেছেন মাস্ক?
বুধবার মধ্যরাতে, টুইটারের কর্মীরা এলন মাস্কের থেকে একটি ইমেল পেয়েছেন। সেখানে তিনি কর্মীদের বলেছেন, যাঁরা চাকরিতে থাকতে চান, তাঁদের আট ঘণ্টারও বেশি সময় কাজ করতে হবে। তার মধ্যে উইকএন্ডগুলোও ঢুকবে। যে কর্মচারীরা এই শর্ত মানতে চান না, তাঁদের চাকরি ছাড়তে হবে। যাতে আগামী তিন মাসের বেতনও পাবেন কর্মীরা। ইমেলটিতে একটি Google ফর্মের লিংক ছিল। যেখানে কর্মচারীদের 'হ্যাঁ'-এ ক্লিক করতে বলা হয়েছিল। ফর্মে শুধু 'হ্যাঁ' বিকল্প রাখা হয়েছিল। কর্মীদের মতে, এই ইমেলের ফর্ম মাস্ক এবং তার অভ্যন্তরীণ বৃত্তের প্রতি 'আনুগত্যে প্রতিশ্রুতি' জানানো ছাড়া আর কিছুই না।
আরও পড়ুন- পকসোর ১০ বছর: ভারতের ঐতিহাসিক শিশুনিগ্রহ আইনের বিশ্লেষণ
যুগান্তকারী টুইটার ২.০ তৈরি করতে, ক্রমবর্ধমান প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে সফল হতে, তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলেই জানিয়েছেন মাস্ক। যার একমাত্র রাস্তা হল প্রচণ্ড গতিতে কর্মীদের কাজ করতে হবে। আর, দীর্ঘ সময় ধরে কাজ করতে হবে। মাস্কের এই পরিকল্পনায় শুধুমাত্র ব্যতিক্রমী কর্মক্ষমতা একটি পাসিং গ্রেড পাবে। 'অসাধারণ পারফরম্যান্স' কী পাবে, তা তিনি স্পষ্ট করেননি। এর মধ্যে আরও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল যে কর্মীদের বলা হয়েছে তাঁদের নিউ ইয়র্কের সময় অনুযায়ী বৃহস্পতিবার বিকেলের মধ্যে মতামত জানাতে হবে। ইমেলের শেষে মাস্ক লিখেছেন, 'আপনি যে সিদ্ধান্তই নিন না কেন, টুইটারকে সফল করার জন্য আপনার প্রচেষ্টার জন্য অশেষ ধন্যবাদ।'
মাস্কের ইমেইলের পরই টুইটারে বিশৃঙ্খলা
কর্মীরা গণহারে ইস্তফা দেওয়া শুরু করেছেন। হাজার হাজার কর্মী চাকরি ছেড়ে যাওয়ার প্রস্তাবে মত দিয়েছেন। এমনিতেই মাস্ক দায়িত্ব নেওয়ার পর টুইটার তার সাত হাজার কর্মীকে বরখাস্ত করেছিল। এরপর হাজার হাজার কর্মীর পদত্যাগ এই সংস্থার অবস্থাকে আরও করুণের দিকে ঠেলে দিয়েছে। এই কোম্পানি এবং সামাজিক নেটওয়ার্কে সঠিকভাবে কাজ করার মত পর্যাপ্ত কর্মী থাকবে কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন ওঠা শুরু হয়ে গিয়েছে। মাস্ক ইতিমধ্যেই সংস্থার অগ্রগতিতে টুইটার ব্লু থেকে শুরু করে নানারকম পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন। কর্মীদের গণহারে ইস্তফায় সেই সব পরিকল্পনা মার খাবে।
Read full story in English