18th Lok Sabha session begins today: সোমবার শুরু হল ১৮তম লোকসভার অধিবেশন। নিয়ম অনুযায়ী, সংসদের অধিবেশন শুরুর আগে নবনির্বাচিত প্রার্থীদের সাংসদ বা এমপি পদে শপথ নিতে হয়। এদিন সেই শপথ অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়েছে। অনু্ষ্ঠানের শুরুটা হয়েছে রাষ্ট্রপতি ভবনে। সেখানে ওড়িশার কটক থেকে টানা সপ্তমবারের জন্য নির্বাচিত ভর্তৃহরি মাহতাব প্রথম ব্যক্তি, যিনি রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সামনে লোকসভার সদস্য হওয়ার শপথ নেন। রাষ্ট্রপতি নতুন স্পিকার নির্বাচিত না হওয়া পর্যন্ত, সংবিধানের ৯৫ (১) অনুচ্ছেদের অধীনে তাঁকে প্রোটেম স্পিকারের দায়িত্ব দেন। এই দায়িত্ব অনুযায়ী, মহতাব অন্যান্য নবনির্বাচিত প্রার্থীদের লোকসভার সদস্যপদ গ্রহণের সময় শপথবাক্য পাঠ করিয়েছেন।
একজন সাংসদের মেয়াদ কখন শুরু হয়?
লোকসভা সাংসদের পাঁচ বছরের মেয়াদ শুরু হয়, যখন ভারতের নির্বাচন কমিশন (ECI) ভারতের জনপ্রতিনিধিত্ব আইন, ১৯৫১-এর ধারা ৭৩ অনুযায়ী ভোটের ফল ঘোষণা করে। সেই দিন থেকে, নির্বাচিত প্রার্থীরা সংসদ সদস্যদের বিভিন্ন অধিকার পাওয়ার যোগ্য। যেমন, কমিশনের বিজ্ঞপ্তির তারিখ থেকে তাঁদের বেতন এবং ভাতা পাওয়া শুরু হয়। ২০২৪ সালের সাধারণ বা লোকসভা নির্বাচনের পরে, ইসিআই ৬ জুন ফলাফল ঘোষণা করেছে। তাঁদের মেয়াদ শুরু হওয়ার অর্থ এই যে এমপি বা সাংসদরা যদি তাঁদের দলীয় আনুগত্য পরিবর্তন করেন, তবে তাঁদের রাজনৈতিক দল স্পিকারকে দলত্যাগ বিরোধী আইনের অধীনে সংশ্লিষ্ট জনপ্রতিনিধিকে সংসদে অযোগ্য বলে ঘোষণা করার জন্য অনুরোধ করতে পারে।
শপথগ্রহণ বাধ্যতামূলক
জয়ের পরই যদি একজন এমপির মেয়াদ শুরু হয়, তবে সংসদীয় শপথ কেন বাধ্যতামূলক? এই প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক। আসলে, নির্বাচনে জয়লাভ করা এবং মেয়াদ শুরু করা কিন্তু একজন সাংসদকে সংসদের কার্যক্রমে সরাসরি অংশগ্রহণের অনুমতি দেয় না। লোকসভায় বিতর্ক ও ভোট দেওয়ার জন্য, একজন সাংসদকে সংবিধানে নির্ধারিত শপথ বা প্রতিশ্রুতি (অনুচ্ছেদ ৯৯) পাঠ করে সদস্যপদ গ্রহণ করতে হয়। আর, তারপরই সংসদে আসন গ্রহণ করার সুযোগ মেলে। যদি কোনও ব্যক্তি শপথ না নিয়েই সংসদের কার্যধারায় অংশগ্রহণ করেন বা ভোট দেন তবে ১০৪ ধারায় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে ৫০০ টাকা আর্থিক জরিমানা করার কথা সংবিধানে বলা আছে।
আরও পড়ুন- হজের সময় বিপদে পড়লে, এমনকী মারা গেলেও আছে সহায়তার ব্যবস্থা, কীভাবে জেনে নিন
ব্যতিক্রম আছে
তবে, এই নিয়মেরও ব্যতিক্রম আছে। একজন ব্যক্তি সংসদে নির্বাচিত না হয়েও মন্ত্রী হতে পারেন। লোকসভা বা রাজ্যসভায় একটি আসন নিশ্চিত করার জন্য, তখন তাঁর হাতে ছয় মাস সময় থাকে। এই সময়ের মধ্যে, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী সংসদের কার্যপ্রণালীতে অংশগ্রহণ করতে পারেন। কিন্তু, তিনি সংসদের ভোটাভুটিতে অংশ নিতে পারেন না।