Advertisment

Muhammad Yunus: বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পদে নোবেলজয়ী ইউনুসকে চান বিক্ষোভকারীরা, জানেন কে তিনি?

Chief adviser: ইউনুস দীর্ঘদিন ধরেই বাংলাদেশের শাসক হওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছিলেন।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Muhammad Yunus, Bangladesh, মহম্মদ ইউনুস, বাংলাদেশ

Muhammad Yunus-Bangladesh: নোবেলজয়ী ইউনুস। (ছবি- টুইটার)

Yunus as interim govt’s chief adviser: ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ বা স্টুডেন্টস অ্যাগেইনস্ট ডিসক্রিমিনেশনের নেতারা মঙ্গলবারই জানিয়ে দিয়েছিলেন যে তাঁরা নোবেলজয়ী মুহম্মদ ইউনুসকে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে চান। দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করার একদিন পরে, সরকারবিরোধী বিক্ষোভের মধ্যে বাংলাদেশে অন্তত ৪০০ জন নিহত হয়েছেন। হাসিনা, ইতিমধ্যেই বাংলাদেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। রাষ্ট্রপতি মহম্মদ সাহাবুদ্দিন সংসদ ভেঙে দেওয়ার পর যত তাড়াতাড়ি সম্ভব একটি অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করা হবে বলে ঘোষণা করার কয়েক ঘণ্টা পরে ইউনুসের নাম সামনে আসে। ইউনুস বর্তমানে প্যারিসে অলিম্পিক গেমস ২০২৪-এর উপদেষ্টা হিসেবে রয়েছেন। তিনি হাসিনার শাসনের পতনকে স্বাগত জানিয়েছেন। উন্নয়নকে দেশের 'দ্বিতীয় মুক্তি' হিসেবে বর্ণনা করেছেন।

Advertisment

মুহম্মদ ইউনুস কে?

১৯৪০ সালে তিনি চট্টগ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। নোবেল বিজয়ী এবং গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক মুহম্মদ ইউনুস ১৯৬৯ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের টেনেসির ভ্যান্ডারবিল্ট ইউনিভার্সিটি থেকে অর্থনীতিতে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন। পরবর্তীকালে মিডল টেনেসি স্টেট ইউনিভার্সিটির সহকারি অধ্যাপক হন। ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ গঠিত হওয়ার পর তিনি স্বদেশে ফিরে আসেন এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের প্রধান নিযুক্ত হন। ৮৪ বছর বয়সি এই বৃদ্ধ অর্থনীতিবিদের সঙ্গে শেখ হাসিনার একটি শৈত্য সম্পর্ক ছিল। তাঁর বিরুদ্ধে বাংলাদেশের আদালতে দুর্নীতির মামলা চলছিল। যদিও সেই অভিযোগগুলো মহম্মদ ইউনুস অস্বীকার করেছেন।

'গরিবের ব্যাংকার'

স্বাধীনতা-পরবর্তী বছরগুলোতে বাংলাদেশ যখন তার অর্থনীতিকে স্থিতিশীল করতে এবং দারিদ্র্য মোকাবিলার জন্য সংগ্রাম করছে, সেই সময় ইউনুস দরিদ্রদের সাহায্য করার জন্য একটি অনন্য ধারণা প্রচলন করেছিলেন। তিনি এমন উদ্যোক্তাদের ছোট ঋণ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন, যাঁরা সাধারণত ব্যাংক লোন পান না। একটি আফ্রিকান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক গ্রুপের প্রোফাইলে বলা হয়েছে যে, প্রাথমিক স্থানীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর, '১৯৮৩ সালে ইউনুসের উদ্যোগটি গ্রামীণ ব্যাংক হিসেবে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি পায়।' সেই মডেল এখনও পর্যন্ত ১০০টিরও বেশি দেশে নকল করা হয়েছে। লক্ষ লক্ষ দরিদ্র ব্যক্তিকে দারিদ্রসীমার ওপরে তুলে ধরার জন্য গ্রামীণ ব্যাংককে কৃতিত্ব দেওয়া হয়েছে। এই ব্যাংক প্রতিষ্ঠার পর থেকে ৯.৫৫ মিলিয়ন মানুষের মধ্যে ৩৪.০১ বিলিয়ন ডলার ($) জামানত-মুক্ত ঋণ বিতরণ করেছে। গত বছর রিপোর্টে এমনটাই জানিয়েছে, বাংলাদেশের জাতীয় দৈনিক ডেইলি সান। ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, ঋণ পুনরুদ্ধারের হার ৯৭.২২%। ২০০৬ সালে, ইউনুস ও গ্রামীণ ব্যাংক যৌথভাবে শান্তির জন্য নোবেল পুরস্কার পান। 'নীচুতলার মানুষের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নের জন্য' ইউনুস 'দরিদ্রের ব্যাংকার' পরিচিতি লাভ করেন।

আরও পড়ুন- অস্থির বাংলাদেশ, বড় অশান্তির আশঙ্কা, কীসের ভয় পাচ্ছে ভারত?

ইউনুস ও হাসিনার সম্পর্ক

নোবেল পুরস্কার জেতার পরই ইউনুস নিজস্ব রাজনৈতিক দল গঠনের চিন্তা শুরু করেন। যা হাসিনা ভালোভাবে গ্রহণ করেননি। ২০০৯ সালে যখন হাসিনা ক্ষমতায় ফিরে আসেন, তখন তাঁর সরকার গ্রামীণ ব্যাংকের প্রধান হিসাবে দরিদ্র গ্রামীণ মহিলাদের কাছ থেকে ঋণ পুনরুদ্ধার করার জন্য বলপ্রয়োগ ও অন্যান্য উপায় অবলম্বন করার অভিযোগে ইউনুসের কর্মকাণ্ড নিয়ে একাধিক তদন্তের নির্দেশ দেন। দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে, চলমান সংকট এবং বিরোধী দলগুলো এই বিক্ষোভের পিছনে রয়েছে বলে হাসিনা যে অভিযোগ করেছিলেন, তার পরিপ্রেক্ষিতে ইউনুস বলেন, 'সরকার একটি মিথ্যা তৈরির কারখানা। ক্রমাগত মিথ্যা কথা বলে এই সরকার। আর, সেগুলো তারা নিজেরাই বিশ্বাস করতেও শুরু করে। তাই তারা নিজেদের মিথ্যার জালে বন্দি।'

Bangladesh India Sheikh Hasina Nobel Peace Prize
Advertisment