আর কিছুক্ষণ পরেই হায়দরাবাদের রাজীব গান্ধী আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম অষ্টম আইপিএল ফাইনাল শুরু হতে চলেছে। মুম্বই ইন্ডিয়ান্স পঞ্চমবার ফাইনাল খেলবে। দুই দলই তিনবার করে আইপিএল জিতেছে। ক্রিকেট হোক কি পরিকাঠামো, অন্যদের থেকে সবথেকে ধারাবাহিক আইপিএলের ইতিহাসে।
চেন্নাই সুপার কিংস
* ধোনি ফ্যাক্টর
গোটা দলকে একসঙ্গে বেঁধে রাখার কাজটা তিনিই করেন। ধোনিকে দল থেকে বের করে নিলে এক্স ফ্যাক্টরই হারিয়ে ফেলে সিএসকে। এম এস ধোনি এবং সিএসকের সম্পর্ক যেন স্বর্গের বিবাহ। ধোনির ক্ষেত্রে এ কেবল চুক্তি পূরণ নয়। তিনি এ পরিবারের অংশ। ক্রিকেটের ব্যাপারে তিনিই শেষ কথা। তিনিই সিএসকে।
অধিনায়ক হিসেবে তিনি খেলার থেকে সবসময়ে এগিয়ে থাকেন। দলের প্লেয়াররা যথাযথ পদ্ধতি অবলম্বন করলেই তিনি খুশি। তাঁর দৃষ্টিভঙ্গির কারণেই হারের ভয় উবে যায়। তাঁর দলের অন্য সদস্যরা তাঁর জন্য খেলেন। ব্যাটসম্যান হিসেবে ৩৭ বছর বয়সেও তিনিই দলের সেরা ফিনিশার।
* পরিকাঠামো
সিএসকে যাঁরা পরিচালনা করেন, তাঁরা ক্রিকেটের লোক। চেন্নাই ক্রিকেট লিগের বিভিন্ন ডিভিশনে ইন্ডিয়া সিমেন্টের ১৫ টি ক্লাব রয়েছে। এন শ্রীনিবাসন এই টিমের ফাদার ফিগার। প্রাক্তন বিসিসিআই সভাপতি ক্রিকেটের বিভিন্ন ক্ষেত্রে যুক্ত রয়েছেন প্রায় অর্ধশতাব্দী ধরে। সিএসকের চিফ একজিকিউটিভ কাশী বিশ্বনাথন তামিলনাড়ু ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের প্রাক্তন সচিব।
* অভিজ্ঞতা
সিএসকে-র গেম ম্যানেজমেন্ট অন্যদের থেকে ভাল তার কারণ তাদের দলে বেশ কয়েকজন আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতাসম্পন্ন প্লেয়ার রয়েছেন। দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে কোয়ালিফায়ার ২ ম্যাচকে যদি উদাহরণ হিসেবে দেখা বয়, তাহলে ফর্মে না থাকা শেন ওয়াটসনকে ফাফ দু প্লেসি যেভাবে রান তাড়া করার প্রথম দিকে আগলে রেখেছিলেন তা দেখার মত। দুজনেই শেষ পর্যন্ত হাফ সেঞ্চুরি করে সিএসকে-কে ফের ফাইনালে তুলেছেন।
মুম্বই ইন্ডিয়ান্স
* রোহিত শর্মা
রোহিত শর্মা নিজে ধোনি স্কুলেরই ছাত্র। বেশ কয়েক মরশুম ব্যর্থ হওয়ার পর রোহিতকে ২০১৩ সালে ক্যাপ্টেন করে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। তারা এমন কারও হাতে ক্ষমতা দিতে চেয়েছিল যিনি নেতা হিসেবে উদাহরণযোগ্য। রোহিত দলকে সাজিয়ে নিয়েছেন। তাঁর ঠান্ডা মাথা দলের পক্ষে ইতিবাচক হয়েছে। ব্যাটসম্যান হিসেবে তিনি ম্যাচ উইনার। ক্যাপ্টেন হিসেবে তাঁর এক্স ফ্যাক্টর গোটা দলের সম্পদ।
* যথাযথ নিয়োগ
ক্রিকেট ফিভার- মুম্বই ইন্ডিয়ান্স নামের নেটফ্লিক্স শো-তে দেখা গিয়েছে দলের মালিক, টিম ম্যানেজমেন্ট কীভাবে গতবারের নিলামের সময়ে ক্রুণাল পান্ডিয়ার জন্য অল আউট লড়ে গেছে। এমআই ঠিকঠাক প্লেয়ার তোলে বলে দলে সবসময়েই একটা ব্যালান্স থাকে।
*মালিঙ্গা ও বুমরা
জসপ্রীত বুমরা সবে উঠেছে এবং লাসিথ মালিঙ্গা অস্তমিত। মালিঙ্গার কেরিয়ার যখন ঢলে পড়ছে সে সময়ে সাদা বলের ক্রিকেটে সেরা ফাস্ট বোলার হিসেবে উঠে আসছেন বুমরাহ। ডেথ ওভার বোলিংয়ের সবচেয়ে মারাত্মক দুজনকে নিয়েই গড়ে উঠেছে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স।
Read the Story in English