ED case against Kejriwal: কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে ইডি মামলার কথা উল্লেখ করে, মুম্বইয়ের এক ট্রায়াল কোর্ট পিএমএলএ মামলায় এক অভিযুক্তকে মুক্তি দিয়েছে। ১২ জুলাই সুপ্রিম কোর্ট(SC) দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে জামিন দিয়েছিল। সেই সময় আদালত, ইডি (ED)-র গ্রেফতারির ক্ষমতা নিয়ে বৃহত্তর উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল। কেজরিওয়াল, তাঁর গ্রেফতারের বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে যুক্তি দিয়েছিলেন যে তাঁকে গ্রেফতার করার জন্য ইডির কাছে পর্যাপ্ত কারণ নেই।
Advertisment
সুপ্রিম কোর্টের আদেশের উদ্ধৃতি
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে জামিন দেওয়ার সময় সুপ্রিম কোর্টের আদেশের উদ্ধৃতি দিয়ে, মুম্বইয়ের এক বিশেষ আদালত, গত সপ্তাহে একটি তহবিল তছরূপ মামলায় একজন অভিযুক্তকে মুক্তি দিয়েছে। আদালত মনে করছে, এই গ্রেফতারির জন্য এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) যথেষ্ট, 'বিশ্বাসযোগ্য কারণ' দেখায়নি। অভিযুক্ত, পুরুষোত্তম মন্ধনা নামে ওই ব্যবসায়ী, ৯৭৫ কোটি টাকার ব্যাংক জালিয়াতি মামলায় অভিযুক্ত। তহবিল তছরূপের অভিযোগে ১৯ জুলাই ইডি তাঁকে গ্রেফতার করেছিল।
Supreme Court: সুপ্রিম কোর্ট।
Advertisment
ইডিকে 'বিশ্বাস করার' প্রসঙ্গ আসছে কেন?
তহবিল তছরূপ আইনের (পিএমএলএ) ধারা ১৯ অনুযায়ী, কাউকে গ্রেফতার করতে হলে ইডি অফিসারকে 'বিশ্বাসযোগ্য কারণ' আদালতে পেশ করতে হবে। জানাতে হবে, অভিযুক্ত ব্যক্তি কোন অপরাধের জন্য দোষী। আইনে আরও বলা হয়েছে যে গ্রেফতারের পরে, 'যত তাড়াতাড়ি সম্ভব অভিযুক্তকে গ্রেফতার করার কারণ সম্পর্কেও জানাতে হবে।' এই বাক্যাংশ এবং তার সুনির্দিষ্ট অর্থগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ পিএমএলএর কঠোর কাঠামো জামিন মঞ্জুর করাকে কার্যত অসম্ভব করে তোলে। তাই জামিনের জন্য একজন অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেফতার করার সময় আইনটি যথাযথভাবে মানা হয়েছে কি না, তা স্পষ্ট করা অত্যন্ত জরুরি।
এমনিতে পিএমএলএর ৪৫ নম্বর ধারা, একজন অভিযুক্তকে জামিন দেওয়ার ক্ষেত্রে আদালতকে বাধা দেয়। তবে আদালত যদি মনে করে যে অভিযুক্ত 'দোষী নয়', সেই ব্যাপারটা আলাদা। কিন্তু বিচার শুরু হওয়ার আগেই একজন অভিযুক্তকে নির্দোষ প্রমাণ করা যায় না। তাই গ্রেফতারের বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে অভিযুক্তের মুক্তি নিশ্চিত করার আইনি পথ নেওয়া ছাড়া এক্ষেত্রে অন্য গতি থাকে না।