Muslim women-Ramzan in Jaipur: রমজান মাসের শেষ পর্বে রাজস্থানের জয়পুরে কেনাকাটায় ব্যস্ত মুসলিম মহিলারা। (রোহিত জৈন পারসের তোলা এক্সপ্রেস ফাইল ছবি)
Muslim divorced woman’s right: বুধবার সুপ্রিম কোর্ট মুসলিম মহিলার ভরণপোষণ চাওয়ার অধিকার নিয়ে ঐতিহাসিক রায় দিয়েছে। সিআরপিসি ১৯৭৩ অনুযায়ী, সুপ্রিম কোর্ট এক মুসলিম ব্যক্তির আবেদন খারিজ করে দিয়ে তাঁর প্রাক্তন স্ত্রীকে ভরণপোষণ দেওয়া নিয়ে তেলেঙ্গানা হাইকোর্টের নির্দেশ বহাল রেখেছে।
Advertisment
আদালত জানিয়েছে বিচারপতি বিভি নাগারথনা ও জর্জ মাসিহ-এর দুই বিচারপতির বেঞ্চ পুনরায় জানিয়েছে যে একজন মুসলিম মহিলা সিআরপিসির ধারা ১২৫-এর অধীনে তার স্বামীর কাছ থেকে ভরণপোষণ পাওয়ার অধিকারী। তা সেই বিবাহবিচ্ছেদ কোনও ধর্মনিরপেক্ষ আইনেই হোক বা ধর্মীয় ব্যক্তিগত আইনে। ভরণপোষণ পাবেই। এই রায়, ২২ বছরের পুরোনো যুগান্তকারী এক নির্দেশের অনুসারী। যা মুসলিম মহিলাদের রক্ষণাবেক্ষণের অধিকারের আইনি এবং রাজনৈতিক ইতিহাসের ওপর আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
Supreme Court: সুপ্রিম কোর্ট।
বর্তমান মামলা আবেদনকারী মহম্মদ আবদুল সামাদ ২০১৭ সালের পারিবারিক আদালতের একটি আদেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিলেন। সেই আদেশে তাঁকে প্রতিমাসে তাঁর প্রাক্তন স্ত্রীকে ২০,০০০ টাকা ভরণপোষণ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এরপর সামাদ তেলেঙ্গানা হাইকোর্ট আপিল করেছিলেন। কিন্তু, তেলেঙ্গানা হাইকোর্টও পারিবারিক আদালতের নির্দেশ বাতিল করতে অস্বীকার করে।
Advertisment
#BREAKING: Supreme Court says that Muslim Woman can file a petition for maintenance under Section 125 CrPC against her husband.
Justice BV Nagarathna and Justice Augustine George Masih pronounced separate but concurrent judgment. pic.twitter.com/usJhu2CBys
প্রাক্তন স্ত্রী ধারা ১২৫ সিআরপিসি (CrPC), 'যথেষ্ট উপায় আছে এমন কোন ব্যক্তি' কীভাবে 'তাঁর স্ত্রী' বা 'তাঁর বৈধ বা অবৈধ নাবালক সন্তান'-এর দায়িত্ব নেবেন, সেই ব্যাপারে বলেছে। আইন বলছে, এক্ষেত্রে নিয়মিত আর্থিক সহায়তা করতে হবে। এক্ষেত্রে আইনে স্পষ্টভাবে বলা আছে যে, প্রাক্তন 'স্ত্রী' শব্দটি এমন একজন তালাকপ্রাপ্ত মহিলাকে বোঝায়, যিনি পুনরায় বিয়ে করেননি।
বিচারপতি নাগারথনা জানিয়েছেন বিচারপতি নাগারথনা তাঁর মতামতে বলেছেন যে ধারা ১২৫ সিআরপিসি (125 CrPC) সামাজিক ন্যায়বিচারের পরিমাপ হিসাবে, 'সংবিধানের পাঠ্য, কাঠামো এবং দর্শনের কথা বলেছে। এই ক্ষেত্রে রক্ষণাবেক্ষণের প্রতিকার- দরিদ্র, অসহায় এবং বঞ্চিত মহিলাদেরকে সাহায্যের এক গুরুত্বপূর্ণ উত্স। এই উৎস সামাজিক ন্যায়বিচারের সাংবিধানিক দর্শনের এক দৃষ্টান্ত। যা তালাকপ্রাপ্ত মহিলা-সহ সকল ভারতীয় স্ত্রীকে শিকলমুক্ত করতে চায়। লিঙ্গভিত্তিক বৈষম্য, প্রতিকূলতা এবং বঞ্চনা থেকে মুক্তি দিতে চায়।' এই প্রসঙ্গে বিচারপতি নাগারথনা বলেন, 'এই আইন সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১৫(৩)-এর অধীনে মহিলাদের জন্য বিশেষ আইন তৈরির ক্ষমতাকে সংবিধানের ৩৯(ই) অনুচ্ছেদের অধীনে রাষ্ট্রীয় বাধ্যবাধকতার সঙ্গে যুক্ত করেছে। যাতে নাগরিকরা বয়সজনিত বা শক্তিহীনতার কারণে অর্থনৈতিক সমস্যায় না পড়েন, সেই জন্য।'